পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ধরিবে, তাহার প্রবঞ্চনা করিয়া চলিয়া আসার কথাও জাহির হইয়া পড়িবে এবং সে-জাসার উদ্দেপ্তও কাহারও জবিদিত থাকিবে না। হা ঈশ্বর, স্বপ্নে দেখাইয়াছিলে মধুর মিলন, আর বাস্তবে দাড় করাইলে কাঠগড়ায় দাড়াইয়া ডাকাতির দায়ের এজাহার। নীচে ঠাকুরের সঙ্গে যেন একটি ভদ্রলোকের কথাবাৰ্ত্তার আওয়াজ শুনা গেল ; তাহার পর সিড়িতে পায়ের শব্দ-রামতন্তু উৎকৰ্ণ হইয়া রহিল। শঙ্কট যেন তাঙ্গরই ঘরের পানে আসিতেছে ; বিবশাঙ্গ রামতন্ত্র দরজার দিকে অপলক-নেত্ৰে চাহিয়৷ রঙ্গিল । ভদ্রলোকটি দরজার সামনে আসিয়া রামতনুকে নমস্কার করিলেন, তাঙ্গার পর ভিতরে প্রবেশ করিয়া বিনা-বাক্য-ব্যয়ে চেয়ারখানায় বসিয়া বলিলেন, *মশায়-- ** - বামত ৪ ঠিক এতক্ষণে সাহস সঞ্চার কবিয়া বলিল, “মশায়—” দুজনের কথা একসঙ্গে বহির হওয়ায় দুজনেই একটু থক্ৰমত থাষ্টয়া গেল। সাম্‌লাইয়। রামতন্ত কি বলিতে যাইভে ছিল, তাহার আগেই ভদ্রলোকটি বলিলেন, *এপনে বাম—এই রাম—অর্থাং রামতারণ ব’লে কেউ থাকেন ?” রামতঃ বুঝিল এ সাক্ষাৎ ডিটেকটিভ, আর রক্ষা নাই । তাহার ক্ষীণ তত্বটি ভিতরে-ভেতরে র্কাপিয়া উ*ল । ঢোক গিলিয়া জড়িত-স্বরে বলিল, “আন্দ্রে कहे ना ?” “থাকেন না ?—তাই ত•••আiচ্ছা ধরুন রামের সঙ্গে কিছু যোগ ক’রে...যেমন ধরুন•••রাম---রাষ্ণু--” রামভকুর বক্ষে সঙ্গোরে ঢিপ -টিপ করিয়া আওয়াজ হইতেছিল। সে ব্যস্তভাবে বলিল, “ন, না মশায় ওরকমধরণের নাম.--রামায়ণ থেকে কোনো নামই এ-বাড়ীতে নেই...আপনি বোধ হয় ভুল ঠিকানায় এসেছেন।” লোকটি রামতন্থর পানে একটু অপ্রতিভভাবে চাহিলেন ও বলিলেন, “মশায় মাফ করবেন, আপনাকে বোধ হয় বিরক্ত করছি ; আপনি অস্বস্থও বোধ হচ্চেন , কিন্তু একটু হাঙ্গামে পড়া গেছে”..-বলিয়া পকেটে হাত t) سیاستهای ع “বিয়ের ফুল” २०> দিলেন এবং কোণাকোণি ছিন্ন একটা কার্ড, বাহির করিয়া পড়িয়া বলিলেন, “আঙ্গে না, ঠিকানা ঠিক এই ; এই দেখুন না।” রামতন্তু কার্ড দেখিবে কি, সব আঁধার দেখিতেছিল। এ সেই তাহারই কার্ড --রামটহলের হাতে ছেড়া। সে মন্ত্ৰমুগ্ধের মতন কার্ড টার দিকে চাহিয়া রহিল, তাহার আর বাক্যন্মুক্তি হইল না। হঠাৎ লোকটি বলিলেন, “আচ্ছ। আপনি এখানে আছেন ক'দিন ? . সবাইকে চেনেন ?” রামতকুর নেশার মতো ভাবট ছাৎ করিয়া কাটিয়া গেল ; সে মুখ তুলিয়া পাগলের মতো ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল । - লোকটিও ব্যাপারটা আন্দাজ করিতে পারিলেন না । নিজেকে সাম্‌লাইয়া লইয়া বলিলেন, “ন, আপনি রেস্ট, নিন, আপনাকে জালাতন করে বড় অন্যায় করছি। আমি বোধ হয় ভুল ঘরেই ঢুকেছি ; কিন্তু অন্ত ঘরগুলাও বন্ধ । তা আমি এই বইটা নিয়ে বসি। অন্যাস্ত ভদ্রলোকের এলে খোজ নেবো ।” তাঙ্কার পর তিনি চিন্তিতভাবে নিজের মনে-মনেই বলিলেন, “কিম্বা হ’তেও পারে---নিজেই বোধ হয় ভুল বুঝেছি”...বলিয়া বইখানার পাতা উন্টাইতে লাগিলেন । বলে কি ?---বসিয়া থাকিবে । রামতন্থর মাথায় বাজ পডুিল। বিপদে বুদ্ধিবৃত্তিকে একটু গুছাইয়া লষ্টয়া বলিল, “আজ্ঞে বসে থেকে ত কোনো ফল নেই ; আমি এ মেসের সবাইকেই জানি,--আঞ্জ ৪ বছর একটান। এখানে রয়েছি। আপনি মিছিমিছি সময় নষ্ট করছেন—” ভঞ্জলোক উত্তর দিলেন না, শুধু চক্ষু কুঞ্চিত কবিয়া বইয়ের এক জায়গায় কি যেন পড়িবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । তাহার পর সন্দিগ্ধভাবে রামতন্থর মুখের পানে খানিক ক্ষণ চাহিয়া হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন । বলিছলন “তা থাকুন মশায় ৪ বছর, কিন্তু ২ মিনিটে ज्राभि যা টের পেয়েছি আপনি ৪ বছরে কেন টের পাননি তা জানিনে। অর্থাৎ রামতন্তু ব’লে এখানে কেউ আছেন, সম্ভবতঃ এই মেসেই থাকেন, আর সম্ভবতঃ আমার সামনেই বসে আছেন। দেখুন ত এই বইখানা