পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একেতে হয় তিনটি আকার অজনী সহজ সংস্কার হে, ঘদি, ভাব-তরঙ্গে তর মাকুব চিনে ধর দিনমণি গেলে কি হবে উপায় । মূল হতে হয় ডালের স্বজন ডাল হতে পায় মূল জম্বেষণ হে তেমনি রূপ হ’তে স্বরূপ তারে ভেবে রূপ অধীন লালন সদা নিরূপ ধৰ্ত্তে চায় । সাইজীর সাধন-সৌধের প্রথম সোপান ভক্তি । ভক্তিভাবই তিনি সাধকের হৃদয়ে সঞ্চার করিতে প্রয়াসী হইতেন। সে-ভাব সহজ নহে। বিশ্ব ভুলিয়া প্রাণের একমাত্র আরাধ্য দেবতাকে আত্মহারা হইয়া ভালবাসা । যাহা একদিন যমুনা-পুলিন-বিহারিণী, বেণুধ্বনি-উন্মন গোপিনীগণকে উন্মত্ত করিয়াছিল, ইহার অন্ত নাম ব্রজের ভাব। ইহারই উল্লেখ করিয়া সাইজী বলিয়াছেন, সে ভাব সবাই কি জানে ? যে ভাবে শু্যাম আছে বাধা গোপার সনে । গোপী বিনে জানে কেবা শুদ্ধরস অমৃত সেব! গোপীর পাপ-পুণ্য জ্ঞান থাকে না কৃষ্ণ-দরশনে। গোপী অতুগত যার ব্ৰজের সেভাৰ জানে তারা, নীর হেতু অধর ধরা গোপীর মনে । টলে জীব অটল ঈশ্বর তাইতে কি হয় রসিক নাগর ; লালন কয় রসিক বিভোর রস-ভিয়ানে । ८कवण इंशहे नद्दश् ॥ ६sउछ, निडय़ांमम, अटेषङ প্রভৃতির ভাবেও তিনি বিভোর ছিলেন। এই ভাব যে তিনি কেমন করিয়া হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন নিম্নের গানটিতে তাহার আভাস পাওয়া যাইবে, তোরা কেউ যা’সনে ও পাগলের কাছে, তিন পাগলের হ’ল মেলা নন্দে এসে । দেখ তে যে যাবি পাগল সেইত হবি পাগল, বুক বি শেষে, ' ছেড়ে তার ঘর দুয়ার ফিরৰি নে যে । একটি নারিকেলের মালা, তাইতে জল তোলা ফেলা—করণ যে, হরি বলে পড়ছে ঢ’লে খুলার মাঝে। প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAA AS AAAAA ASASASA AAA AAA AAAA AAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAAA পাগলের নামটি এমন শুনিতে অধীন লালন হয় তরাসে, চৈতে, নিতে, অদ্বে, পাগল নাম ধ’রেছে । মানবের চিত্তচকোর যখন সেই জগজ্যোতিময় স্থধাকরের স্থধাপানে মাতোয়ারা হয়, তখন সে আর সাধারণ মানব বলিয়া বিবেচিত হয় না, বিশ্বগ্রাসী বিষয়-বাসনার প্রতি বিতৃষ্ণ হুইয়া কোনো অনিৰ্ব্বচনীয় এবং অনাস্ত্ৰাত রস আস্বাদন করিতে নিরস্তর উন্মত্ত রহিয়া যায়, তখন সে সংসারে পাগল বলিয়া অখ্যাত হয়। সাইজীর সঙ্গীতো জ্ঞ মহাত্ম-ত্রয়ও এইরূপ পাগল ছিলেন । তিনি ইহা অস্তরের সহিত উপলব্ধি করিয়া এই সঙ্গীত গাহিয়াছেন । সাইজী যে কেবল এই ভাবই পোষণ করিতেন, তাহা নহে । তিনি সাৰ্ব্বজনীন ভাবের ভাবুক ছিলেন । যিনি যে পথেই ঘান না কেন, অস্তিমে সকলকেই ধে একই স্থানে সম্মিলিত হইতে হইবে ইহা বুঝাইয়া তিনি আত্মত্যাগ, আমিত্ব লোপ ও বৃথা আড়ম্বর পরিহার করিয়া “অধরে” মিশিবার উপদেশ দিয়া গাহিয়াছেন— সাই দরবেশ ধারা,— আপনারে ফণা করে অধরে মেশে তারা ; মন যদি আজ হওরে ফকির, নাও জেনে সে ফাণার ফিকির, ফাণার ফিকির না জানিলে ভস্মমাখা হয় মস্কারা । কুপ জ্বলে যে গঙ্গার জল পড়িলে সে হয় রে মিশাল উভয় একধারা । তেমুনি জেনো ফাশার করণ রূপে রূপ মিলন করা। মুরলীগ রূপ আর আলেক হুরী - একমনে কেমনে করি দু রূপ নিহারা ; লালন বলে রূপ সাধিলে হ’লনে যেন রূপহার ।