পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—অধ্যাপক সুশীলকুমার রুদ্র NV হয়, তাহারা তাহাদের আসল উদ্বেগুটাকে একটা শোভন আবরণে আচ্ছাদিত করিতে অভ্যস্ত হইয়া যায় । সোজা কথায় বল, যে, ভারতবর্ষ আমাদের কামধেন্থ, চিরকাল দোহন করিব এবং তাহা করিবার নিমিত্ত উহাকে চিরপদানত রাখিব। কিন্তু তাহ বলিলে নিজেদের কাছে ও জগতের অপর লোকদের নিকট খাট হুইতে হয় । সেইজন্য বলা হইতেছে, আমরা ভারতবর্ষীয় সভ্য হাকে বঁাচাইবার জন্ত সে-দেশে গিয়াছিলাম, সেদেশের আমরা আছি, তাহ রক্ষা করিবার ঐতিহাসিক দায়িত্ব একমাত্র আমাদেরই আছে, এবং সেই দায়িত্ব আমরা চিরকালই পালন করিতে থাকিব । এসব হইতেছে স্বার্থপর প্রভুত্ত্বপ্রিয় ভণ্ড লোকদের ইতিহাস-ব্যাখ্য। কিন্তু ভারতের ইতিহাসে ইংরেজদের অন্যরকম প্রতিশ্রুতির কথাও আছে । সেই সব জঙ্গীকারের ঋণশোধ-সম্বন্ধে ভারত-সচিব একটি কথাও বলেন নাই কেন ? এক শতাব্দীরও অধিক পূৰ্ব্বে বড়লাট মাকু ইস্ অব হেষ্টিংস তাহার ডায়েরীতে }লখিয়াছিলেন, এমন ‘দিন আসিবে যখন ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট বন্ধুভাবে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করিয়া চলিয়া যাইবে ; লর্ড মেকলেণ্ড ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তনের ফলে ঐরুপ কিছু-একটা গৌরবময় ফল ফলিবে আশ। করিয়াছিলেন । কিন্তু এইরূপ কথার তালিকা করিতে চাই না কারণ, এগুলো ব্রিটেনের রাজার বা ব্রিটিশ গবর্ণমেন্টের কথা নহে। গবর্ণমেণ্টের ও রাজার কথাই বলিব । মহারাণী ভিক্টোরিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন, জাতিধৰ্ম্ম বর্ণ-নির্বিশেষে তাহার সব প্রজাকে তিনি সমানচক্ষে দেখিবেন । তাহা হইলে, ইংরেজরা যেমন নিজের দেশকে রক্ষা করে, আমরা কেন সেইরূপ নিজের দেশ ক্ষার দায়িত্ব, অধিকার, সুযোগ পাইব মা ? আমরা অবশ্য জানি, যে, এসব কেহ কাহাকেও দিতে পারে না, পীরুষের দ্বারা অর্জন ও রক্ষা করিতে হয়, কিন্তু ভারতচিব ঐতিহাসিক দায়ের, বাধ্যতার, কথা বলিয়াছেন বলিয়া উহাকে জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে, মহারাণী ভিক্টোরিয়ার অঙ্গীকার পালন করিতে ব্রিটিশ গবর্ণমেন্টবাধ্য কি না ? যদি সে-দায়িত্ব উহার না থাকে, তাই ‘AG!-->br হুইলে মহারাণীর ঘোষণার উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন কি . ছিল ? আমাদের দেশের লিখন-পঠনক্ষম তরুণদেরও জীবিত কালের দুটা ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির কথা বলি । সালে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট ভারতবর্ষে রেস্পনসিক ল গবর্ণমেণ্ট অর্থাৎ দেশের লোকদের কাছে দায়ী শাসনযন্ত্র দিবার অঙ্গীকার করিয়াছিল। সেই অঙ্গীকারের দায়িত্বটা কোথায় গেল ? ইংলণ্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ, “স্বরাজ উইদিন মাই এম্পায়ার”, “আমার সাম্রাজ্যের মধ্যে স্বরাঙ্গ,” ভারতীয়দিগকে দিতে প্রতিশ্রত হইয়াছিলেন । তাহার কোন উল্লেখও ভারত-সচিবের বক্তৃতায় দেখা গেল না । কেবল দেখান হইতেছে, ভারতীয়েরা চিরকাল অপরের তলোয়ারের দ্বারা মুক্ষিত হইবার গৌরব ভোগ করিবে ; "দায়ী গবর্ণমেণ্টের’ বা “আমার সাম্রাজ্যের মধ্যে স্বরাজের” অঙ্গীকার মহারাণী ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্রের মত রদ কাগজের টুকরার দশ পাইতে বসিয়াছে । > > >" অধ্যাপক স্বশীলকুমার রুদ্র আটত্রিশ বৎসর অধ্যাপকের কাজ করিয়া শ্ৰীযুক্ত স্বশীলকুমার রুদ্র কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে দিল্লীর সেন্ট স্টফেন্স কলেজের প্রিন্সিপ্যালের পদ হইতে অবসর গ্রহণ করেন। সম্প্রতি সিমলা-শৈলের সোলন-নামক স্থানে उँाइाग्न श्रृङ्का झ्हेब्राप्झ । তাহার পূর্বে বোধ হয় কোন ভারতীয় অধ্যাপক খৃষ্টীয় মিশনারী কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হন নাই। তাহার সহকৰ্ম্মীদের মধ্যে আটজন ইউরোপীয় অধ্যাপক ছিলেন । র্তাহারা সকলে যে একবাক্যে র্তাহাকে কলেজের অধ্যক্ষ মনোনীত করেন, অন্ত কোন প্রমাণ না থাকিলেও ইহা হইতেই তাহার বিদ্যাবত্তা, শিক্ষা-দানকর্শ্বে অভিজ্ঞতা, এবং সাধু চরিত্রের প্রমাণ পাওয়া যাইত। কিন্তু অন্ত প্রমাণও বিস্তর আছে। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও তাহার সীণ্ডিকেটের সভ্যরূপে তিনি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পঞ্জাবের অনেক উপকার করিয়া গিয়াছেন। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেও তাহার সহযোগিতা ছিল; তিনি স্বদেশগ্রেমিক বিশ্ব-প্রেমিক লোক ছিলেন । ১৯১৯ সালে দিল্লীতে