পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షిపెb> প্রবাসী $NesNe জ্ঞানার্জনের কাজ সম্পূর্ণরূপে করিয়া অবশিষ্ট সময় ও শক্তি রাজনৈতিক বিষয়ের আলোচনায় এবং রাজনৈতিক কাজে দিতে পারেন—শুধু দিতে পারেন না, দেওয়া তাহাদের কৰ্ত্তব্য । না দিলে ছাত্রাবস্থার পরে তাহারা ভবিষ্যতে পৌরজনপদ সৰ্ব্ববিধ কৰ্ত্তব্য (সমুদয় সিভিক ও পলিটিকাল কৰ্ত্তব্য ) সাধন করিতে প্রস্তুত হইয়া না-থাকায় তাহা করিতে পারিবেন না। শ্ৰীমতী আনিলা দাসগুপ্ত র্তাহার অভিভাষণে বলেন, যে, সাম্প্রদায়িকতা প্রত্যেক প্রগতিকামী ছাত্রছাত্রীর একান্ত পরিত্যজ্য। ধৰ্ম্মসম্প্রদায়সমূহের গোড়ামিপ্রস্থত ঝগড়াবিবাদ হিংসাম্বেষ ও সঙ্কীর্ণ স্বার্থাম্বেষণ ছাত্রছাত্রীদের এবং তাহীদের বয়োজ্যেষ্ঠদেরও বর্জনীয়। আর এক রকমের দলাদলিও ছাত্রছাত্রীদের বর্জনীয়। তাহ রাজনৈতিক দলাদলি । ইহার মানে এ নয়, যে, তাঁহাদের বিশেষ কোন রাজনৈতিক মত থাকিবে না । তাহ থাকা অনিবাৰ্য্য। কিন্তু তাহাদের বয়সে মনটা প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের চেয়েও বেশী মুক্ত প্রশস্ত ও উদার থাকা আবশ্বক। নতুবা তাহারা যথেষ্ট পরিমাণে সত্যের উপলব্ধি ও অনুভব করিতে পারিবে না। কংগ্রেসের সব মতই ভ্রান্ত বা অভ্রান্ত, উহার প্রত্যেক নেতার সব মত ও কাজই ভাল বা মন্দ, কিংবা উদারনৈতিক দলের ও তাহার প্রত্যেক নেতার সব মত ও কাজ ভাল বা মন্দ– ছাত্রছাত্রীদের মনের ভাব এরূপ হওয়া উচিত নহে । ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনস্বন্দ্বে র্যাহারা অবতীর্ণ হন, র্তাহাদের ও র্তাহাদের পক্ষসমর্থক অবৈতনিক ও বেতনভোগী কৰ্ম্মীদের মনের ভাব বিশেষ করিয়া এই প্রকার হইয় থাকে। এইজন্ত নিৰ্ব্বাচনদ্বন্দ্বঘটিত কাজে ছাত্রছাত্রীদিগকে নিযুক্ত করা ও র্তাহাদের তাহাতে প্রবৃত্ত হওয়া সম্পূর্ণ অনুচিত। ছাত্ৰসম্মেলনে শরৎচন্দ্র বসুর অভিভাষণ নিখিল-বঙ্গ ছাত্ৰসম্মেলনে সভাপতি শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্র বস্থ তাহার অভিভাষণে অন্তান্ত কথার মধ্যে বলেন, দাক্ষিত্র্য নিরক্ষরতা প্রভৃতি চিরন্তন সমস্যার তিনি আলোচনা করিতে कांग्रहन मां ॥ कांग्रन, छांउँौब्र अंकग्र*छ ●थछिछैिठ न हरेण ●रे जव সমস্যার সমাধান হইৰে লা । প্রত্যেক বৃহৎ সভায় প্রত্যেক নেতার অভিভাষণে দারিন্দ্র্য ও নিরক্ষরতার আলোচনা একান্ত আবণ্ডক নহে। কিন্তু জাতীয় গবন্মেণ্ট প্রতিষ্ঠিত না হইলে দারিদ্র্য সমস্তার ও নিরক্ষরতা সমস্তার সমাধান হইবে না, ইহা তাহার আলোচনা হইতে নিবৃত্ত থাকিবার যথেষ্ট কারণ মনে করি না। জাতীয় গবন্মেণ্ট প্রতিষ্ঠিত না হইলে এগুলির সম্পূর্ণ সমাধান হইবে না, ইহা সত্য। কিন্তু কিছু সমাধান ত হইতে পারে ? জাতীয় গবক্সেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হইবার আগে পর্য্যন্ত লক্ষ লক্ষ লোক ক্ষুধায় ও অজ্ঞানতার অন্ধকারে কালযাপন করিবে, এবং ক্ষুধিত ও নিরক্ষর অবস্থাতেই প্রাণত্যাগ করিবে, ইহা বাঞ্ছনীয় হইতে পারে না। মানবিক শক্তিতে যতটা সম্ভব আমরা দেশের ততটা ভাগ্যনিয়ন্ত হইবার আগেও দেশের কিছু দারিদ্র্য দূর নিশ্চয়ই করিতে পারি। তাহা সত্য না হইলে, বৰ্ত্তমান স্বদেশী প্রচেষ্টাটা অর্থহীন ও উদেশ্বহীন মনে করিতে হয়, নানাবিধ কারখানা ও কুটারশিল্পের বর্তমান আয়োজনেরও কোন সার্থকতা থাকে না ; কারণ দেশে এখনও জাতীয় গবন্মেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। দেশে জাতীয় গবন্মেণ্ট প্রতিষ্ঠিত করা আমরাও একান্ত আবগুক বলিয়া মনে করি। যতটা মনে পড়ে, কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার আগে হইতে এই লেখক তাহ আবশ্যক মনে করিত। কিন্তু আমরা ইহাও মনে করি, যে, মানবজীবনের অন্য সব দিকে প্রগতির জন্য যেমন নিরক্ষরতা দূর করা আবশ্বক, দেশে জাতীয় গবন্মেণ্ট প্রতিষ্ঠিত করিবার নিমিত্ত প্রচেষ্টার জন্তও তেমনই উহা আবশ্বক। এবং নিরক্ষরতাদূরীকরণ-কার্ধ্যে ছাত্রছাত্রীরাবিশেষ সাহায্য করিতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাহাজের অসংযুক্ত ও সংযুক্ত বর্ণপরিচয় হইয়াছে, এরূপ অল্পবয়স্ক বালকবালিকার পৰ্যন্ত নিরক্ষরতাদূরীকরণ-কার্ধ্যে আত্মনিয়োগ করিতে পারে। তাহারা তাহা করিলে যে স্বফল লন্ধ হয়, তাহা আমরা সাক্ষাৎভাবে অবগত আছি। তবে, ইহা অবশু স্বীকাৰ্য্য, যে, রাজনীতির আলোচনায় ও রাজনৈতিক কাজে যে উত্তেজনা-উন্মাদন আছে, নিরক্ষতাদূরীকরণের কাজে তাহা নাই। কিন্তু তথাপি ইহা একান্ত আবণ্ডক কাজ । মানুষ যেমন কেবল চাটনী খাইয়া স্থস্থ সবল হইতে ও থাকিতে পারে না, তেমনি কেবল উত্তেজনা-উক্ষাদনার