পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عسياحي وتبعه প্রশ্বাসী ఫిesN9 দুই-তিন পরে আমার একদিন জ্যোতি দর্শন হ’ল। মনে ভাবিলাম-চন্দ্রদর্শনের মত নাকি ? মুখে জিজ্ঞাসা করলাম কি ধরণের জ্যোতি ? —ঠক নীল বিদ্যুৎশিখার মত। প্রথম একদিন দেখলাম সন্ধ্যার কিছু আগে—বাড়ীর পিছনে পেয়ারাতলায় বসে সাধুর কথামত নাকের উপর দিকে ঘন্টাখানেক চেয়ে থাকতাম,—সব দিন ঘটে উঠত না, হস্তার মধ্যে দু-তিন দিন বসতাম। মাস-তিনেক পরে প্রথম জ্যোতি দর্শন হ’ল। নীল, লিকৃলিকে একটা শিখা আমার কপালের মাঝখানের ঠিক সামনে, খুব স্থির, মিনিট থানেক ছিল প্রথম দিন। এই ভাবে ছেলেবেলাতেই সাধু সন্ন্যাসী ও যোগ ইত্যাদি ব্যাপারে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। বাড়ীতে আর মন টেকে না, ঠাকুরমার বাক্স ভেঙে এক দিন কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলাম একেবারে সোজা কাশীতে। এক দিন অহল্যা বাঈয়ের ঘাটে বসে আছি, সন্ধ্যা তখনও উত্তীর্ণ হয় নি, মন্দিরে মন্দিরে আরতি চলছে, এমন সময় একজন লম্বা-চওড়া চেহারার সাধুকে খড়ম পায়ে দিয়ে কমণ্ডলুহাতে ঘাটের পৈঠায় নামতে দেখলাম। র্তার সারা দেহে এমন কিছু একটা ছিল, যা আমাকে আর অন্যদিকে চোখ ফেরাতে দিলে না, সাধু ত কতই দেখি । চুপ করে আছি, সাধুবাবাজী জল ভরে পৈঠা বেয়ে উঠতে উঠতে হঠাৎ আমার দিকে চেয়ে খাসা বাংলায় বললেন—বাবাজীর বাড়ী কোথায় ? আমি বললাম—বাঁকুড়া জেলায়, মালিয়াড়-রুদ্রপুর। সাধু থমকে দাড়ালেন। বললেন—মালিয়াড়-রুদ্রপুর ? তার পর কি যেন একটা ভাবলেন, খুব অল্পক্ষণ, একটু যেন অন্তমনস্ক হয়ে গেলেন। তার পর বললেন–রুত্বপুরের রামরূপ সাম্যালের নাম গুনেছ ? তাদের বংশে এখন কে আছে জান ? অামাদের গ্রামে সায়্যালের এক সময়ে খুব অবস্থাপন্ন ছিল, খুব বড় বাড়ীম্বর, দরজায় হাতী বাধা থাকতে শুনেছি— কিন্তু এখন তাদের অবস্থা খুব খারাপ । কিন্তু রামরূপ সার্যালের নাম ত কখন শুনি নি। সন্ন্যাসীকে সসন্ত্রমে সে কথা বলতে তিনি হেসে বললেন—তোমার বয়েস আর क्छप्लेइ । छूमि छांनाव क् िक्रब्र ! cषदांघांdब्र कांग्रह শিবমন্দিরটা আছে ত ? খেয়াঘাট। ক্ষয়পুরে নদীই নেই, মজে গিয়েছে কোন কালে, এখন তার ওপর দিয়ে মাকুব-গরু হেঁটে চলে যায়। তবে পুরনো নদীর খাতের ধারে একটা বহু প্রাচীন জীর্ণ শিবমন্দির জঙ্গলাবৃত হয়ে পড়ে আছে বটে। শুনেছি সায়ালদেরই কোন পূর্বপুরুষ ঐ শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এসব কথা ইনি কি করে জানলেন ? বিস্ময়ের স্বরে বললাম—আপনি আমাদের গায়ের কথা জানেন অনেক দেখছি ? সন্ন্যাসী মৃদ্ধ হাসলেন, এমন হাসি শুধু স্নেহময় বৃক্ষপিতামহের মুখে দেখা যায় তার অতি তরুণ, অবোধ পৌত্রের কোন ছেলেমামুষি কথার জন্ত । সত্যি বলছি, সে হাসির স্বতি আমি এখনও ভুলতে পারি নি, খুব উচু না হলে অমন হাসি মানুষে হাসতে পারে না। তার পর খুব শাস্ত, সস্নেহ কৌতুকের স্বরে বললেন—বাড়ী থেকে বেরিয়েছিল কেন ? ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করবি বলে ? в আমি কিছু উত্তর দেবার আগেই তিনি আবার বললে —বাড়ী ফিরে যা, সংসারধৰ্ম্ম করগে যা। এপথ তোর নয়, আমার কথা শোন। বললাম—এমন নিষ্ঠুর কথা বলবেন না, কিছু হবে না কেন ? আমার সংসারে মন নেই। সংসার ছেড়েই এসেছি । তিনি হেসে বললেন—ওর নাম সংসার ছাড়া নয় । সংসার তুই ছাড়িস নি, ছাড়তে পারবিও নি। তুই ছেলেমানুষ, নিৰ্ব্বোধ। কিছু বোঝবার বয়েস হয় নি। ধ বাড়ী স্থা। মা বাপের মনে কষ্ট দিল নে । কথা শেষ করে তিনি চলে যাচ্ছেন দেখে আমি বললুম— কিন্তু আমাদের গায়ের কথা কি করে জানলেন বলবেন না ? দয়া করে বলুন— তিনি কোন কথার উত্তর না দিয়ে জোরে জোরে পা ফেলে চলতে লাগলেন--আমিও নাছোড়বান্দা হয়ে তার निङ्ग निणांभ। थानिक जूब गिटब डिनि चांमांटक नैफ़िरब्र বললেন—কেন আসছিল, 7 —আপনাকে ছাড়ব না। আমি কিছু চাই নে, আপনার जण छहे । তিনি সক্ষেহে বললেন—আমার সঙ্গে এলে তেীয় কোন