পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

®গ্ৰেীৰ লাভ হবে না। তোকে সংসার করতেই হবে। তোর সাধ্য নেই অস্ত পথে বাবার। ষা চলে যা—তোকে আশীৰ্ব্বাদ করছি সংসারে তোর উন্নতি হবে। আর সাহস করলুম না তার অনুসরণ করতে, কি একটা শক্তি আমার ইচ্ছা সত্বেও যেন তার পিছনে পিছনে যেতে আমায় বাধা দিলে। দাড়িয়ে কিছুক্ষণ পরে সামনের দিকে চেয়ে দেখি তিনি নেই। বুঝতে পারলুম না কোন গলির মধ্যে তিনি ঢুকে পড়েছেন বা কোন দিকে গেলেন। প্রসঙ্গক্রমে বলে নিই, অনেক দিন পরে বাড়ী ফিরে এসে দেশের খুব বৃদ্ধ লোকদের কাছে খোজ নিয়েও রামরূপ সাম্যালের কোন হদিস মেলাতে পারলাম না। সাম্যালদের বাড়ীর ছেলেছোকরার দল ত কিছুই বলতে পারে না। ওদের এক সরিক জলপাইগুড়িতে ডাকঘরে কাজ করতেন, তিনি পেন্সন নিয়ে সেবার শীতকালে বাড়ী এলেন। কথায় কথায় তাকে একদিন প্রশ্নটা করাতে তিনি বললেন—দেখ, আমার ছেলেবেলায় বড় জ্যাঠামশায়ের কাছে একখানা খাতা দেখেছি, তাতে আমাদের বংশের অনেক কথা লেখা ছিল। বড় জ্যাঠামশায়ের ঐ সব সর্থ ছিল, অনেক কষ্ট করে নানা জায়গায় হাটাইটি করে বংশের কুলজী যোগাড় করতেন। তার মুখে শুনেছি চার-পাচ পুরুষ আগে আমাদেরই বংশে রামরূপ সাম্যাল নদীর ধারে ঐ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। রামরূপ সাধক পুরুষ ছিলেন, বিবাহ করেছিলেন, ছেলেমেয়েও হয়েছিল—কিন্তু সংসারে তিনি বড় একটা লিপ্ত ছিলেন না। রামরূপের বড়ভাই ছিলেন রামনিধি, প্রথম যৌবনেই অবিবাহিত অবস্থায় তিনি অ্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেন, আর কখনও দেশে ফেরেন নি। স্থত দেড়শ বছর আগের কথা হবে। • জিজ্ঞাসা করলুম—ঐ শিবমন্দিরট ও-রকম মাঠের মধ্যে tাঙ্গা জায়গায় কেন ? —তা নয়। ওখানে তখন বহতা নদী ছিল। খুব স্রোত । বড় বড় কিন্তী চলতো। কোন নৌকা একবার ওই রের নীচের ঘাটে মারা পড়ে বলে ওর নাম লা-ভাঙার iাঘাট । প্রাচীৎকার করে বলে উলু,ধোবাট । ठिनि श्रदांक एरव्र चांभांद्र भिरक cळ्रब बलष्णन-ईrl, জ্যাঠামশায়ের মুখে শুনেছি, বাবার মুখে শুনেছি, তা ছাড়া আমাদের পুরনো কাগজপত্রে আছে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লা-ভাঙার খেয়াঘাটের ওপর। কেন বল ত, ५नव कथl cडांभांद्र खांनवांब्र क् िशब्रकांब्र श्ल ? बहे?ई লিখছ না কি ? te ওদের কাছে কোন কথা বলি নি, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস হ’ল এবং সে বিশ্বাস আজও আছে যে কাশীর সেই সন্ন্যাসী রামরূপের দাদা রামনিধি সন্ন্যাসী নিজেই। কোন অদ্ভুত যৌগিক শক্তির বলে দেড়-শ বছর পরেও বেঁচে श्रांtछ्न । বাড়ী থেকে কিছুদিন পরে আবার সাধুসন্ন্যাসীর সন্ধানে বেরই। বীরভূমের এক গ্রামে শুনলাম সেখানকার শ্মশানে এক পাগলী থাকে, সে আসলে খুব বড় তান্ত্রিক সন্ন্যালিনী। পাগলীর সঙ্গে দেখা করলাম, নদীর ধারের শ্মশানে। ছেড়া একটা কথা জড়িয়ে পড়ে আছে, যেমন ময়লা কাপড়চোপড় পরনে, তেমনই মলিন জটপাকানো চুল। আমাকে দেখেই সে গেল মহা চটে। বললে—বেরো এখান থেকে, কে বলেছে তোকে এখানে আসতে ? ওর আলুথালু বিকট মলিন চেহারা দেখে মনে ষে ভাব এসেছিল, সেটাকে অতি কষ্টে চেপে বললাম— ম, আমাকে আপনার শিন্য করে নিন, অনেক দূর থেকে এসেছি, দয়া করুন আমার ওপর। পাগলী চেচিয়ে উঠে বললে—পালা এখান থেকে। বিপদে পড়বি— আঙুল দিয়ে গ্রামের দিকে দেখিয়ে বললে—যা— নির্জন শ্মশান, ভয় হল ওর মূৰ্ত্তি দেখে, কি জানি মারবে টারবে নাকি—পাগল মানুষকে বিশ্বাস নেই। সেদিন চলে এলাম, কিন্তু আবার গেলাম তার পর দিন। পাগলী বললে—আবার কেন এলি ? বললাম—ম, আমাকে দয়া কর— পাগলী বললে—সুর হ দূর হ, বেরো এখান থেকে— তার পর রেগে আমায় মারলে এক লাথি । বললে— ফের যদি আসিস, তবে বিপদে পড়বি, খুব সাবধান। রাত্রে গুয়ে গুয়ে ভাবলাম, ন, এখান থেকে চলে যাই, আর এখানে-নয়। কি এক পাগলের পাল্লায় পড়ে প্রাপট