পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাৰ ত্রিশ্ৰেণী (\94 এমপুলটা দেখাই । তখনি ভাবলাম—মরুকগে যদি কিছু বার করতে পারি ত তার ক্রেডিটটা ও ব্যাট আত্মসাৎ করে কেন। তবু আমি তাকে সাবুর বাট দেখালাম। সাহেবের মাথায় তখন ভিখারীর থিওরী জমে বসেছে । বললে, “কেউ দয়া করে দিয়ে গেছে; খাবার আগেই কাবার হয়েছে। কিংবা বেটা নিজেই তৈরি করে থাকবে, হঠাৎ বোধ হয় হার্টফেল করে মরেছে। ঐ ত চেহারা; যক্ষ্ম, হে যক্ষ্ম, নিশ্চয়, যাকে বলে কনসম্পশন। এখানে বেশী ক্ষণ থেক না ; আজ বরং ছু জন সেপাই পাহারায় রেখে যাও। উৎসাহ থাকে ত কাল দিনের বেলা এসে দেখো খুঁজে কোন গুপ্তধন পাও কি না।” বলে একটু ঠাট্টার হাসি হাসলে। আমি আর তর্ক করলাম না। পর দিন গিয়েছিলাম। “আমার একটুও আর সন্দেহ নেই—যে মৃতদেহটা দেখেছিলাম তা সত্যবানের ; এবং শেষ পয্যন্ত তার চিকিৎসা হয়েছিল। তবু সে কথা আমি প্রকাশ করি নি—না-করার আমার উদ্দেশু আছে । সত্যবান যে একলা ছিল না, তা ঘুরে ঘুরে পরদিন অনেকগুলি জিনিষ থেকে টের পেয়েছিলাম ।” “ইনফরমেশনের একটা কথাও ভুল মধু। আমার বিশ্বাস ভেলোয়ারের কাগুর পর যে মেয়েটাকে পুলিস গিরিডি অবধি ধাওয়া করেছিল সেই ওর সঙ্গে ছিল । ভীষণ ধড়িবাজ মেয়ে হে । পুলিসকে একেবারে ঘোল খাইয়ে দিয়েছে । তাই ভেবেছিলাম যে একেবারে গ্যাং শুদ্ধ, গ্রেপ্তার করার ক্রেডিটটা একলাই নেবো। তা আর হ’ল মা—ফস্কে গেল । যাক, আমি ছাড়বার ছেলে নই—ও একদিন বুলডগের মুখে পড়তেই হবে দাদা, হে হে” ব’লে গব্বিত হাস্তে তার অকৃতকাৰ্য্যতা যেন চাপা দিয়ে ফেললে । নিখিল মনে মনে একটু অস্বস্তি অনুভব করে বলে ফেললে, “ও নিয়ে আর মিছে মাথা ঘামিয়ে লাভ কি ? পালের গোদাই যখন মারা পড়েছে তখন বাকী ক-টা এতদিনে দেখ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে ঘর-সংসার করছে। চাই কি তোমার পুলিসে নুতন যারা ভৰ্ত্তি হয়েছে তাদেরও মধ্যে খোজ করে দেখ দু-এক জনকে পাওয়া বিচিত্র নয়। তারাই জাবার তোমাদের দক্ষিণ হস্ত হবে—” জুলু দত্ত হা হা করে হেসে উঠল বললে, “বেশ বলেছ ভাই, এই আমাকেই দেখ না। আমি যত টেররিষ্টদের ‘ঘাৎ ঘোৎ জানি আর কোন ব্যাটা জানে তত ? তাও বলি ভাই, আমার জন্তেই আবার অনেকগুলো নিরপরাধ ছোকরা বেঁচে গেছে । কৰ্ত্তারা ত হন্তে হয়ে আছে । ছায়া দেখলেই স্বাংকে ওঠে ; আর তথন দোষী-নিৰ্দ্দোষী বাছবার সময় হয় না। তুমি যদি নির্দোষী হও—তবে প্রমাণ করে খালাস হও ; নইলে থাক বন্দী হয়ে। আরে, ওতে যে ডিস্এফেকশন প্রেড, করে দেশে—তা কোন বড়কৰ্ত্তা বা ছোটকৰ্ত্তাকে বোঝানো যায় না । যাকৃ গে, কে আবার কোন দিক থেকে শুনে আমার দফাটি সারবে ---” একটু মুচকি হেসে নিখিল বললে, “কিন্তু মুখ লোকের ধারণা যে, যেমন চোর ডাকাত গুও না থাকৃলে পুলিস পোখ অনাবশ্যক হয়, মিলিটরী আর সি আই ডি-ও অনাবশ্যক হয় তেমনি দেশে এইসব মৃভমেণ্ট না থাকলে। তা ছাড়া সময় অসময়ে এই সব হতচ্ছাড়া মুভমেণ্টগুলোই নাকি নানা রকম "নাগ-পাশ আইন প্রবর্তনের ওজুহাত জোগায় ” ভুলু দত্ত প্রসঙ্গটা আর চলতে না দিয়ে একটু শুষ্ক উগ্রস্বরে বললে, “কি জানি ভাই অত পলিটিকস্ আমি বুঝি নে । আমাদের উপর হুকুম টেররিজমৃ উচ্ছেদ করবার—তোমরা আবার তারও একটা উণ্টো মানে বের করবে। এই জন্যেই ত বাঙালীদের ওপর ওরা চটে। ধত নেই কথাকে ফেনিয়ে খই ভাজা । এ যেন সেঈ তোমাদের রবি ঠাকুরের কবিতা । তার একটা আধ্যাত্মিক মানে বের করাই চাই, নইলে লোকে নিৰ্ব্বোধ বলবে। ভসব আমি বুঝি নে- আমি বুঝি কাজ । টেররিজমৃকে দেশ থেকে আগাছার মত উপড়ে ফেলতে হবে—য়্যাণ্ড আই উইল ডু দ্যাট ।” নিখিল বললে, “আরে চট কেন ভাই ; টেররিজমের উচ্ছেদ হ’লে আমি যতটা খুলী হব - তুমি অস্ততঃ ততটা হবে না। কারণ ওটাই তোমার খোরাক যোগায় কিনা ! রাগ কর না ভাই। বন্ধু বলেই এসব বলছি।” “হাঃ হাঃ ! রাগ কি হে? বেশ বলেছ। আজ সি. আই. ভি. উঠে গেলে ভুলু দত্তকে কেউ পচিশ টাকার একটা মাষ্টারীও দেবে না। তবে কিনা, আগাছ কাটবার জন্তে,