পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soఆ প্রবাসী SNeove করিয়াছিলেন । এই অনুবাদের পরিমাণের ধারণা করিতে হইলে এখানে কংগুর ও তংগু্যর নামে যে দুইখানি বিশাল সংস্কৃত গ্রন্থতুিবাদসংগ্রহ প্রচলিত তাহ দেখিতে হয়। এই দুইখানি সংগ্রহে বিশ লক্ষের অধিক অন্তঃপ শ্লোক আছে । তিব্বতীয়ের যে-বচনগুলিকে ভগবান বুদ্ধের শ্ৰীমুখনিঃস্থত বলিয়া মনে করে কংগুর তাহারই সংগ্রহ ; ইহা মুখ্যত স্বত্র, বিনয় ও তন্ত্র এই তিন ভাগে বিভক্ত । কংগু্যর এক শত বেষ্টনীতে বাধা, সেই জন্য ইহ শত-পুস্তক নামে কথিত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইহাতে সাত শত পুস্তকের সংগ্রহ আছে । কংগুর-সংগ্রহের কতক পুস্তক সংস্কৃত হইতে চীন ভাষায় অম্বুবাদ হইতে গুহাত । কংণ্ড্যরস্থ অনেক গ্রন্থের টীকা, উপরন্তু দর্শন, সেব্য, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, বৈদ্যশাস্ত্র, মন্ত্রতন্ত্রের পুস্তক প্রভৃতি কয়েক শত গ্রন্থের ভাষান্তর তৎগুরে আছে । এই সকল সংগ্ৰহ দুই শত পুর্থীতে নিবদ্ধ। ভারতীয় দর্শন মভোমণ্ডলের প্রখর জ্যোতিষ্ক আর্য্যদেব, fদঙলাগ, ধৰ্ম্মরক্ষিত, চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি, শাস্তরক্ষিত, কমলশীল প্রভৃতির মূল গ্রন্থ এই দুইপানি সংগ্রহে রক্ষিত আছে, যদিও ভারতে উহাদের কীৰ্ত্তির চিহ্নমাত্র বর্তমান নাই, কেবল তিববতী অন্তবাদে তাহার অস্তিত্ব দেখিতে পাই । আচাৰ্য্য চন্দ্রগোমীর চান্দ্র ব্যাকরণ— সুত্র, ধাতু, উনাদি পাঠ, বৃত্তি, টাকা, পঞ্জিকাদির সহিত এখনও বিদ্যমান । “ইন্দ্রশ্চন্দ্র কাশরুৎস্নঃ” শ্লোক অনুসারে অষ্ট মহাবৈয়াকরণ মধ্যে চন্দ্রগোমী এক জন মহাবৈয়াকরণ ছিলেন সন্দেহ নাই । অধিকন্তু ভংগু্যর-সংগ্রহে তাহার লোকানন্দ-নাটক, বাদন্তায় টাকা প্রভূতি হইতে আমরা তাহার কাব্যে ও দর্শনশাস্ত্রে অধিকার ও ব্যুৎপত্তির পরিচয় পাষ্টয়াছি। অশ্বঘোষ, মতিচিত্র ( মাতৃচেতা ) হরিভদ্র, আধ্যশূর প্রভৃতি মহাকবির কত-না বিনষ্ট কীৰ্ত্তি তংগুরসংগ্রহে কালিদাস, দণ্ডী, হৰ্ষবৰ্দ্ধন, ক্ষেমেন্দ্র প্রভৃতির সংস্কৃতে স্থলভ গ্রন্থাদির সঙ্গে একত্রে রক্ষিত আছে । এই অমূল্য সংগ্রহেই অষ্টাঙ্গ হৃদয়, শালিহোত্র আদি বৈদ্যক-গ্রন্থ টাকাউপটীকার সহিত রহিয়াছে, ইহাতেই মহারাজ কনিষ্ককে লিথিত মতিচিত্রের পত্র, মহারাজ চন্দ্রকে লিখিত যোগীশ্বর জগন্দ্রত্বের পত্র, পালবংশীয় রাজা জয়পালের প্রতি দ্বীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের পত্র ও অন্যান্য বহু অমূল্য পত্রাবলী রহিয়াছে। ইহা ছাড়া একাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের বহু বৌদ্ধ যোগী অবধূত বৈরাগীর বচন দোহা প্রভৃতির হিন্দী এবং অন্যান্য ভাষা হইতে অনুবাদ-সংগ্রহও ইহাতে সঞ্চিত আছে । ঐ দুই বিরাট সংগ্রহ ছাড়া ভোট ভাষায় নাগাৰ্জ্জুন আৰ্য্যদেব, অসঙ্গ বম্ববন্ধু, শাস্তরক্ষিত, চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি, ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি চন্দ্রগোমী, কমলশীল, শীল দীপঙ্কর শ্ৰীজ্ঞান প্রভৃতি ভারতীয় পণ্ডিতদিগের জীবনচরিত এবং তারানাথ, বুতোল পদ্মকর পো বেদুরিয়া সেরপো, কুনগ্যল প্রভৃতি লেখকের বহু • “ছোজুঙ ( ধৰ্ম্ম-ইতিহাস ) আছে, যাহা হইতে ভারতীয় ইতিহাসের বহু গ্রন্থের আভাস ও প্রকাশ পাওয়া যায় । এইগুলি ছাড়াও অনেক গ্রন্থ আছে যাহা হইতে তৎকালীন ভারতের সাক্ষাৎ পরিচয় না পাইলেও পরোক্ষভাবে অনেক তথ্য পাওয়া যায় | উক্ত গ্ৰন্থরাজির অধিকাংশই কৈলাস-মানস সরোবরের নিকটস্থ থোলিং গুদা ও মধ্য তিব্বতের সক্য, সময়ে গুম্ব। প্রভৃতি বিহারে অনূদিত হইয়াছিল। বিদেশীয়ের ধ্বংস নী করিলে আজও সে-সকল স্থানে মূল সংস্কৃত গ্রন্থ পাওয়া যাইত। এখনও খুজিলে একাদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বেকার কিছু কিছু পুথি দেখিতে পাওয়া যায় । 舉 舉 毒 সম্রাট অশোকের পুত্র যেমন সিংহলে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, ভোটদেশে আচাৰ্য্য শাস্তরক্ষিত কত্ত্বক তেমনি ধৰ্ম্ম দৃঢ় ভাবে স্থাপিত হয়। সত্য বটে শাস্তরক্ষিতের আগমনের পূর্বেই ভোট সম্রাট স্রোঙচন-স্গেম-পোর সময় বৌদ্ধধৰ্ম্ম তিব্বতে প্রবেশ করিয়াছিল। এই সম্রাটক্ট (খ্ৰী: ৬১৮-৫০ ) নেপাল জয় করিয়া অংশুবৰ্ম্মার রাজকুমারীকে বিবাহ করেন এবং চীন সীমাস্তের বহু প্রদেশ নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করিয়া চীন সম্রাটের রাজকন্যারও পাণিগ্রহণ করেন । এই দুই রাণীই বৌদ্ধ ছিলেন এবং ইহাদের সঙ্গেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভোট দেশে প্রবেশ করে ; লাসার প্রাচীনতম বৌদ্ধ মন্দিরদ্বয় রশেছে ও চীরে স্পোছে সম্রাট স্রোঙচনই নিৰ্ম্মাণ করেন। ভাহা হইলেও ঐ সময়ে তিব্বতে ভিক্ষু বিহারও ছিল না বা কেহ ভিক্ষু হয় নাই, এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মেরও কোন দৃঢ় স্থিতি ছিল না, সে কীৰ্ত্তি আচার্ষ্য শাস্তরক্ষিতের ; র্তাহার প্রতিভায় ঐদেশে স্থায়ীভাবে বৌদ্ধধৰ্ম্মের ছাপ লাগে । ইহার সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত (তিব্বতী গ্রন্থের স্বত্রে ) পাঠকদিগকে দিলাম । মগধের পূৰ্ব্বসীমাস্থিত অঙ্গপ্রদেশ পালি ও সংস্কৃত সাহিত্যে প্রসিদ্ধ, মধ্যযুগে ইহার পূর্বাঞ্চল সহোর নামে বিদিত ছিল । ভোটিয়েরা এই সহোরকে জহোর নামকরণ করিয়াছে। ইহার অন্ত নাম ভঙ্গল বা ভগলরূপে পাওয়া যায়, সে নামের ছায়া ঐ প্রদেশের প্রধান নগরী ভগলপুরে আজিও পাওয়া যায়। এই প্রদেশে গঙ্গার তটে এক ছোট পাহাড়ের নীচে পালবংশীয় নৃপতি দেবপাল ( খ্ৰীঃ ৮০০-৮৩৭ ) এক বিহার নির্মাণ করেন, তাহার নাম নিকটস্থ রাজপুরী বিক্রমপুরী হইতে বিক্রমশীলা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ইহা উক্ত বিক্রমপুরীর নিকটে উত্তর দিকে ছিল। ভোটীয় সাহিত্যে বিক্রমপুরীর অন্ত নাম ভাগলপুর বলিয়া পাওয়া যায়, তাহাতে লিখিত আছে যে উহা এক মাগুলিক