পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

еън, ৰিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেস জয়ের বয়স্ট ২ষ্ণুরঞ্চরিৰেন ? మ్సౌ^ করিবেন ? কংগ্রেসপক্ষীয় সদস্যেরা কি মঞ্জিত্ব গ্রহণ করিবেন ? তাহ দুই এক দিনের মধ্যেই কংগ্রেসের ' নেতারা স্থির করিবেন। কংগ্রেস বলিয়াছেন, কংগ্রেসওয়ালার ব্যবস্তাপক সভায় যাইতেছেন, ভারতশাসন আইন অচল করিবার নিমিত্ত এবং ব্যবস্থাপক সভাগুলাকে ভাঙিম্বা দিবীর বা অকেজে করিবার নিমিন্ত । এখন আবার র্যাহারা মঞ্জিত্বগ্রহণের পক্ষপাতী তাঙ্গরা বলিতেছেন, তাহারা মস্বিত্ব গ্রহণ করিবেল ঐ উদ্দেশ্রেী । কিন্তু স্ত্ৰে যে ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেস একাই বলধাত্তম, সেখানে তাহার। মস্থিত্ব লা লইয়াও উদ্দেশ্যসিদ্ধ BBB BBBB SBBBS BB BB BBBBB BB BBB জবাহৰলাল নেহরু স্বীকার করিয়াছেন, যে, শুধু ব্যবস্থাপক সভার মধ্যে কাজ কবিসু নৃত্ন শাসনবিধিটাকে আচল ও তাকেজে কল্প সাইবে না। তাহার জন্য ব্যবস্থাপক সভার বাহিরে জনগণের সমষ্টিগত কাজ চাই । ইহ। ঠিক কথা । মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সপক্ষে একটি সত্যিকার প্রবল যুক্তি আছে । দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর কেন কংগ্রেসওয়ালা নিৰ্ব্বাচন-প্রাথদিগকেই ভোট দেওয়া উচিত, তাহার কারণ দেখাইতে গিয়া কংগ্রেসের নির্বাচন ম্যানিফেষ্টোতে (election unnifestoতে ) ক্লষকদিগকে খাজনা কমাইবার আশা দেওয়া হইয়াছিল, শ্রমিকদের কোন কোন সুবিধা কfরয় দিকার আশা দেওয়৷ ইয়াছিল, ইত্যাদি । বর্তমান আইন পরিবর্তন বা একেবারে নৃত্তন আইন প্রণয়ন ব্যতিরেকে এসব আশা পূর্ণ করা যাইবে না। কংগ্রেসওয়ালার মন্ত্রী না হইলে স্বয়ং আইন পরিবর্তন বা নুতন আইন প্রণয়ন করাইতে পরিবেন না । অতএব নিজের কথা রাখিতে হইলে কংগ্রেসওয়ালাদিগকে মন্ত্রীর পদ লইতে হইবে । কিন্তু এই যুক্তিটি কংগ্রেসওয়ালারা প্রয়োগ করিতেছেন না । তাহার কেবল বলিতেছেন, মঙ্গী হইয়া আইনটা অচল করিবেন, ব্যবস্থাপক সভা ও শাসনবিধি অকেজো করিবেন ইত্যাদি, কেবল ব্যবস্থাপক সভার ভিতরে কাজের দ্বারা যাহার অসাধ্যতা বা দুঃসাধ্যতা নেহরু মহাশয় স্বীকার করিয়াছেন । আর দু-একটা অপ্রকাশ কারণ থাকিতে পারে, যাহা কংগ্রেসওয়ালা বা " অকংগ্রেসওযাল , কোন মঞ্জিত্বপ্রার্থীই স্বীকার করিবেন না । মন্ত্রীদের বেতনটা নিতান্ত সামান্ত নয় । সকলের পক্ষে না হক্টলেও অনেকের পক্ষে ইহা সত্য, যে, তাহারা এখন যাহা রোজগার করেন, ঐ বেতনটা তার চেয়ে বেশী । তার উপর “পদমর্য্যাদা"টা আছে । ইংরেজীতে যাহাকে বলে পেট্রনেজ (patronage)--লোকজনকে চাকরি ও নানা রকম ঠিক (contract) দিবার ক্ষমতা, এটাও তুচ্ছ নয়। দুৰ্ম্মতিগ্রস্ত লোকদের বেশ উপরিপাওনাও যে না-শুহঁতে পারে বা কাহারও কখনও হয় নাই, এমন নয় । এই সমস্তই নিন্দনীয় কারণ। কোন মন্ত্রিত্বপ্রার্থীরই সম্বন্ধে এরূপ কোন কারণ •ti থাকিলে তাহা মুখের বিযয় । মথিত্ব গ্ৰহণ না করিবার পক্ষে প্রবলতম যুক্তি এই, যে, কংগ্রেস বলিয়াতেল, মৃত্তম শাসনবিধি অগ্রহণীয়, সাম্রাজ্যবাদ অতি নিননায় । কিন্তু প্রবলতম ও স্বাধীনচিত্ততম কংগ্রেসওয়ালাও মন্ত্রী ইষ্টলে তাহাকে শাসনবিধি অনুযায়ী কিছু কাজ করিতেষ্ট হইবে, সাম্রাজ্যবাদদুষ্ট কোণ-ন-কোন নীতির কিঞ্চিং সমর্থন করিতে হইবে—হয়ত বহুনিন্দিত দমননীতির সাক্ষাং ল! পবোক্ষ সমর্শন—এমন কি প্রয়োগ৪—করিতে হইবে । অতএব মস্থিত্ব গ্রহণ করিলে কংগ্রেসের কথা ও কাজে মিল থাকিবে না । মধিত্ব গ্রহণের বিরুদ্ধে আর একটা কথা বলা আবশ্যক । কংগ্রেসের নীতি সব প্রদেশে সমভাবে প্রধোজ্য ও অসুস্থত হওয়া আবশ্যক। নতুবা কংগ্রেস পক্ষপাতদুষ্ট হইবেন— এখনও যে সম্পূর্ণ পক্ষপাতমুক্ত আসেন তাত বলিতেছি না। কংগ্রেসের পক্ষে সকল প্রদেশেই একই নীতির অমুসরণ হইতে পারে কেবলমাত্র মন্ত্রিত্ব অগ্রহণের দ্বারা— কোথাও মস্ত্রিত্ব গ্রহণ ন'-করিয়া । যদি কংগ্রেস প্রদেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন নীতির অনুসরণ করেন, তাহা হইলে কংগ্রেসের কার্য্যে স্ববিরোধ ও অসঙ্গতি দোষ আসিবে । কংগ্রেস মস্থিত্ব পাইভে পারেন ছয়টি প্রদেশে। ঐ কয়টিতে যদি কংগ্রেস মন্ত্রিত্ব গ্ৰহণ করেন, ভাঙ্গ নিশ্চয়ই কোন প্রকার সুবিধার জন্য । কংগ্রেস বলিবেন, সে স্থবিধাটা ধ্বংস করিবার স্ববিধা ; অন্যেরা বলিবে হয় জাতিগঠমমুলক কিছু করিবার সুবিধা, নয় বেতনের, পদমৰ্য্যাদার ও মুরুলিব হওয়ার লোভ । ধরিয়া লওয়া যাক, কংগ্রেস মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিবেন ধ্বংস