পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ তার তুমি আছ মাঘোৎসব ৩ । তাপন কৃপণতার পাণ্ডুর মরুদেশে, পিপাসিতের জন্তে জল নেই সেখানে, পিপাসাকে ছলনা করতে পারে নেই এমন মরীচিকারও সম্বল ॥ x to কেয়ারি, ン* Zッ

  • শুিনিকে হুন

মাঘোৎসব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর s ক'রে নেম, সত্যকে সন্ধান ক'রে তিনি সেই গভীরকে সেই মাহমু সন্ধানী। আদিকাল হ’তে সে কেবল খুঁজে খুঁজেই বেড়িয়েছে । যখন তার সমস্ত চিহ্নের উন্মেস হয় নি, তখনও সে আপনার সঙ্গ:ম-প্রবৃত্তিকে ক্রমাগত জাগিয়েছে । এই ৯লার পথে পরিশ্রাস্ত হয়ে সে কত বার তার চার দিকে একটা গণ্ডী টেনে দিয়ে বলেছে—এই হ’ল আমার গম্যস্থলে, এখান থেকে অ্যর এক পা ও নড়িব না । অভ্যাস তার অনুষ্ঠানের বেড় শ'ড়ে তুলে নিজেকে বন্দ করে রেখেছে যাতে তাকে আর সাধনা করতে না হয়, সন্ধান ক'রে বেড়াতে না হয় । মঙ্গকে খুঁটির মতো তৈরি করে সে তার চর দিকে কেবলই ঘানিব বলদের মতো ঘুরেছে। পরিচিত কতকগুলে: অভ্যাস অবলম্বন ক'রে মাতুম্ব আরাম চেয়েছে । কিন্তু মাগুষ তো আরামের জীব নয়। স্থির হয়ে আপাত পরিতৃপি নিয়ে সে যখন বসে থাকে, তখন তবে সেই আরামলোভী সমাজের মধ্যেই প্রকৃত মঞ্জস্যত্ব নিয়ে মহামাতুষ জন্মায় । সে বলে-আমরা তো গহারচর জীব নই, একটা নিত্যনিয়মিত গতিহার রুদ্ধজীবনের আহার বিহার ও আরাম নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলে জার্থীদেব চলবে না তো ! মহাপুরুষ সাধনার পথকে স্বীকার স্থাণুর মতো অসীমকে উপলব্ধি করতে চান। সমস্ত ক্ষুদ্রত ও তুচ্ছতার. সীমা অতিক্রম করার জন্যে তিনি তার বেড়াভাঙার বাণী নিয়ে আসেন । মনে করিয়ে দেন যে, আরামের মধ্যে আনন্দ নেই, আনন্দকে মিলবে কেবল সেই অসীমের প্রাঙ্গণে । লোকে বলে এতদিনকার অভ্যাস আর অশ্লষ্টান দিয়ে বেড় তৈরি করেছি, এখন সে গণ্ডী ভাঙবো কী ক’রে ? এসেছি আমরা আমাদের গম্যস্থানে, আরামে আছি, আর খুঁজে বেড়াতে চাই না। তারা তাদের মিথ্যাকেই আঁকড়ে ধ'রে মহাপুরুষের সত্যবাণীকে অস্বীকার করে , তীকে গ’ল দেয়, অপমানও করে। বিজ্ঞানের দিক দিয়েও আমরা দেখি মাহয় আরাম পাবার জন্যে তার বুদ্ধিকে একদা আষ্ট্রেপৃষ্ঠে বেঁধেছে । প্রাচীনকালে লোক বলতে যে, আকাশ একটা কঠিন গোলকন্ধ, তাতে নড়াচড়-নেই, মাথার ওপূব এই ফৰ্ম্মামেন্ট firmanent ) কল্পনা করে নিয়ে এবং জগৎ-সংসারের সমস্ত নিয়ম একেবারে বেঁধে ফেলে মাক্ষ আরাম পেলে— যেন বিভ্রমের পথে তার ভ্ৰাম্যমান বুদ্ধির একটা স্থিতি হ'ল । আমাদের দেশের জ্ঞানবুদ্ধেরও বলেছেন যে, সুমেরুশিখরের এক দিক দিয়ে স্যা ওঠে, এবং আর এক দিকে