পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరి:Rవ প্রবাসী SNHHNO উত্তর-পশ্চিমে। গোরখপুর হইতে রেলযোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে পৌছান যায়। সেখানকার স্থানীয় জমিদার উত্তরাধিকারসূত্রে রাজা উপাধি লাভ করেন। সম্প্রতি সেখানে একটি চিনির কল প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। পাড্রোনাতে বৌদ্ধ যুগের ধ্বংসাবশেষ এখনও কিছু আবিষ্কৃত হয় নাই । কুশীনারা বৈশাখী পূর্ণিমারাত্রির শেয-যমে ভগবান বুদ্ধ কুশীনারাতে দেহত্যাগ করেন। ভগবান বুদ্ধ এই স্থানে পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ কয়িছিলেন বলিয়া কুশীনারা বৌদ্ধদের একটি মহাতীৰ্থ । রোগাক্রাস্ত হইয়া পাবা হইতে অতি কণ্ঠে চলিতে চলিতে বুদ্ধদেব অপরাত্নকালে হিরণ্যবতী নদী কুশীনারার প্রাচীন গুপেৰ দৃত পার হইয়া কুশীনারার শালবনে এক যুগ্মশালতরুমূলে উপবেশন করিয়া প্রিয়শিষ্য আনন্দকে বলিলেন, “আনন্দ, তুমি কুশীনারাবাসী মল্লদের সংবাদ দাও যে আমি এখানে আসিয়াছি, এবং আজই রাত্রির চতুর্থ যামে দেহত্যাগ করিব।” আনন্দ কাতর হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভগবন, চম্প, রাজগৃহ, শ্রাবস্তী, সাকেত, কৌশাম্বী ও বারাণসী ইত্যাদি বড় বড় নগর থাকিতে, কুশীনারার মত এমন ক্ষুদ্র নগরীতে পরিনিৰ্ব্বাণ লাভের ইচ্ছা কেন করিলেন?” ভগবান বুদ্ধ বলিলেন, “বংস আনন্দ, ইহা নহে। কুশীনারা অতি প্রাচীন নগর। পূৰ্ব্বে ইহা রাজচক্রবর্তী ধৰ্ম্মপ্রাণ মহাস্থদর্শনের রাজধানী ছিল। তখন ইহার নাম কুশবতী ছিল। কুশবর্তী অতি বিস্তীর্ণ, জনাকীর্ণ ও ধনশালী নগর ছিল। অশ্ব, হস্তী ও রথের চলাচলে এ স্থান সৰ্ব্বদা মুখর থাকিত। এখানে খাদ্য-পানীয়ের কোন অভাব ছিল না। এখানকার লোকেরা হাসিয়া থেলিয়া, নৃত্যগীত ও বাদ্য করিয়া আনন্দে দিন কাটাইত। তুমি কুশীনারাবাসীদের সংবাদ দাও। আমি তাহাদিগকে আমার শেষ উপদেশ প্রদান করিয়া এইখানেষ্ট দেহত্যাগ করিব।” কুশীনারার ধ্বংসস্ত প এই সংবাদ নগরে প্রচারিত হইলে কুশীনারার আবালবুদ্ধ নরনারী সকলে শোক করিতে করিতে সেই শালবনে উপস্থিত হইল, এবং আনন্দের নির্দেশাতুযায়ী ভগবানের দর্শন লাভ এবং তাহার শেষ বাণী শ্রবণ করিল। এই প্রকার উপদেশ দান করিতে করিতে রাত্রির তৃতীয় যাম শেষ হইলে চতুর্থ যামে ভগবান বুদ্ধ দক্ষিণ পাশ্বে ভর দিয়া শয়ন করিয়া নিস্তব্ধ হইলেন, এবং স্বৰ্য্যোদয়ের পূর্বমুহূর্তে দেহত্যাগ করিলেন । অত:পর সাত দিন ধরিয়া কুশীনারার নরনারীর ভগবান বুদ্ধের মৃত্যুতে শোক করিল, এবং অষ্টম দিবসে শবদেহ শুভ্র বস্ত্রে আবৃত করিয়া ও স্বতচন্দন ও অন্যান্য সুবাসে সিক্ত করিয়া তাহা উত্তর দ্বার দিয়া নগরে লইয়৷ আসিল । শবদেহ নগরের চারি দিক্‌ প্ৰদক্ষিণ করাইয়া পূৰ্ব্বদ্বার দিয়া বাহির করিয়া নগরের অৰ্দ্ধক্রোশ পূৰ্ব্বে হিরণ্যবতীর তীরে শ্মশানভূমিতে দাহুক্রিয়া সম্পন্ন করিল। এই প্রকারে মহাসমারোহে বুদ্ধদেবের অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন