পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठेक्काछे হইলে তাহার সেই পবিত্ৰ দেহাবশিষ্ট অস্থিসমূহ আট ভাগে বিভক্ত হইল। যাহারা ঐ পবিত্র অস্থির অংশ পাইয়াছিলেন তাহারা স্ব স্ব দেশে তাহার উপর এক-একটি স্তুপ নিৰ্ম্মাণ করিলেন । এই প্রকারে ভগবান বুদ্ধের দেহবিশিষ্টের উপর সৰ্ব্বপ্রথম আট জায়গায় স্তুপ নিৰ্ম্মিত হয়। সেই আটটি স্থান রাজগৃহ, বৈশালী, কপিলবস্তু, অল্পক%, রাণগ্রাম, বেঠদীপ, পাব ও কুশীনার । অশোকাবদানে লিখিত আছে ধে রাজ অশোক রামগ্রাম ব্যতীত বাকী সাত জায়গার স্তপ খনন করিয়া সেই পবিত্র অস্থিসমূহ চুরাশি হাজার ভাগে বিভক্ত করিয়া হিন্দুকুশ হইতে কুমারিক। পয্যন্ত বিস্তৃত র্তাহার প্রকাও সাম্রাজ্যের নানা জায়গায় স্তুপ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । * 8ছু দিন হঠল পেশাওয়ার ও তক্ষশিলাতে বুদ্ধদেবের অস্থি পাওয়া গিয়াছে ; ভারত-সরকার তাহ মূলগন্ধকুটিবিহারে রাখিবার জন্য মহাবোধি সোসাইটিকে অৰ্পণ করিয়াড়েন । কুশীনারার আধুনিক নাম কাসিয়া। এই স্থান বি. এন. ৮৪. আর-এর দেওরিয়া ষ্টেশন হইতে বারো মাইল ও গোরখপুব হইতে একুশ মাইল । দুষ্ট জায়গা হইতেই বাস্ত্র এখানে আস যায়। কাসিয়াতে যে-স্থানে বুদ্ধদেব পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করিয়াছিলেন সে-স্থানে রাজা অশোক একটি স্তুপ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। সেই স্তুপ খননের ফলে এক তাম্রলিপি পাওয়া গিয়াছে যাহাতে "বুদ্ধ পরিনিৰ্ব্বাণ চৈত্যম্ ইতি" কথাগুলি লিখিত আছে। আগ্ৰা-অষোধ্য প্রদেশে কতিপয় বৌদ্ধ ধংসাবশেষ ২৩৩ এই প্রমাণের দ্বারা আধুনিক কাসিয়াই যে প্রাচীন কুশীনারা তাহ নিঃসন্দেহে নির্দিষ্ট হুইয়াছে। ফুশীনারার অপর নাম ‘মোত কোআর অর্থাৎ রাজকুমারের মুতু্যস্থান। ইহাও ঐ স্থাননির্দেশের পক্ষে একটি প্রমাণ। পালিতে কুশীনারার পূৰ্ব্বে অবস্থিত হিরণ্যবতী নদীর উল্লেখ আছে, এবং বুদ্ধদেবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয় নগরের পূৰ্ব্বদিকে হইয়াছিল তাহাও লিখিত আছে। আমরা আধুনিক কাসিয়া হইতে প্রায় দেড় মাইল পথ মাঠের উপর দিয়া হঁটিয়া একটি নদী দেখিতে পাইলাম, যাহার নাম ‘সোনহরা’, ও তাহার তীরেই একটি উচ্চ ভূমি দেখিতে পাইলাম যাহাকে ‘অঙ্গার-স্তুপ" বলে । সেই অঙ্গার-স্তুপের উপর এক জন চীন ভিক্ষু বাস করেন। পরিনিৰ্ব্বাণ স্তুপের উপর একটি লম্ব পাকা গৃহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সেখানে বুদ্ধের প্রস্তরনিৰ্ম্মিত এক অতিকায় মূর্তি দক্ষিণ পার্থে শয়ান অবস্থায় রাখা আছে। সেই গৃহের ঠিক পশ্চাতেই এক উচ্চ ভূমির উপর একটি স্বদুখ বৃহৎ মন্দির এক ধৰ্ম্মপ্রাণ ব্রহ্মবাসী ধনী ১৯২৭ সালে নিৰ্ম্মাণ করিমু দিয়াছেন । মন্দিরের উচ্চ চুড়া স্বর্ণপত্রে মণ্ডিত। ইহা পরিনিৰ্ব্বণ-মন্দির নামে পরিচিত। একটি বৌদ্ধ বিহারও এখানে আছে। ব্ৰহ্মবাসী ভিক্ষু চন্দ্রমণি গুটিকয়েক শ্রমণ লইয়৷ এই বিহারে বাস করেন। বিহার-গৃহটি বেশ বড়, কয়েকটি ঘর যাত্রীদের বাসের জন্য নির্দিষ্ট আছে। ভিক্ষু চন্দ্রমণি পালি ও হিন্দী ভাষায় পণ্ডিত । তাহার সঙ্গে কথা বলিলে অনেক নুতন কথা জানা যায় । va => :)