পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O ولماو!تا করিয়া হাসিয়া বলিল, “ভাল কোথায় ? কালে নাকি ভাল ट्झ f” একরঙ, কোন রকম নক্সাবিহীন কালে পাড় । একে কালোই, ময়লা কাপড়ে আবার সত্যই তেমন ভাল দেখাইতেছিল না। হাবুল একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিল, “ভাল মানে— ভাল অর্থাৎ—তোমার গায়ে বেশ ভাল দেখাচ্ছে ।" সাহস বাড়িয়া যাওয়ায় অঞ্চলটা মুঠায় ভরিয়া লইয়া নিজের নাকে চাপিয়া ধরিল, বোধ করি অধরেও একটু চাপিল, তাহার পর প্রশ্ন করিল, “এসেন্স লাগিয়েছ বুঝি নৃত্য ?...আমার বড় ভাল লাগে, বুঝেছ ?” নৃত্যকালী মুখ নীচু করিয়া একটু হাসিল, এবং একটু বোধ হয় বেশী করিয়া বুঝিয়াই বলিল, “এবার থেকে ফরসা কাপড়ও পরে আসব। --আজ দিদি...” প্রবণসী ృNరిgNరి হাবুল হঠাৎ এতটা সচকিত হইয়া গেল যে তাহার হাত হইতে অণচলটা আবার মাটিতে পড়িয়া গেল। চোখ দুইটা কপালে তুলিয়া বলিল, “ন, না, অমন কাজ ক'রো না . সবাই জানে আমি নোংরা দু-চক্ষে দেখতে পারি না— নিশ্চিন্দি আছি,—পরিষ্কার হতে গেলেই সৰ্ব্বনাশ ! ভাববে মেয়েটা হঠাং... তুমি বরং কাপড়টা কেচে এসেন্সের গন্ধটাও ধুয়ে ফেলে দিও।” ছেলেমানুষ, অবুঝ—তাহাকে এমনি বলিয়া নিশ্চিন্ত হইতে পারিল না। বোধ হয় সেই জন্য টেবিলের উপর হইতে নৃত্যর হাতটা—আলতার ছোপধর হাতটা—তুলিয়া লইয়া নিজের গালে চাপিয়া ধরিয়া বলিল, “এই আমার গা ছুয়ে দিব্যি করছ?—ফেলবে ধুয়ে ?...আর, কখন পরিষ্কারও হ’তে যাবে না ? ” - ভারতীয় সাহিত্য-পরিষৎ ঐচিস্তাহরণ চক্রবর্তী ভারতের বিভিন্ন প্রাদেশিক সাহিত্য অনতিনবীন বিপুল রত্নসম্পদে সম্পন্ন। প্রতি প্রদেশই তাহার প্রাচীন কবি, কাব্য, কবিতা লষ্টয়া গৌরব করিয়া থাকে— সংসারের নানা দুঃখদৈন্তোর মধ্যে এই সাহিত্যই বিভিন্ন প্রদেশের জনসাধারণের তাপদগ্ধ হৃদয়কে শান্ত ও উৎসাহিত করে । তবে শুধু প্রাচীন সাহিত্যই যে বিভিন্ন প্রদেশের একমাত্র সম্বল তাহ! নহে । বৰ্তমান যুগেও নানা প্রদেশের সাহিত্যস্তষ্টির ইতিহাস উপেক্ষণীয় নহে। এক দিকে এক সম্প্রদায় দেশের প্রাচীন ইতিবৃত্ত সঙ্কলনে প্রবৃত্ত হইয়া দেশের প্রাচীন সাহিত্যের ইতিহাস প্রণয়ন করিতেছেন এবং তাহারই উপকরণ হিসাবে নানাস্থানে বিক্ষিপ্ত উপেক্ষিত বিনষ্টপ্রায় পুথিপত্র সংগ্ৰহ করিয়া অজ্ঞাত অপরিচিত পুরাতন সাহিত্যের বহুমূল্য রত্নসমূহ বহু আয়াসে উদ্ধার করিতেছেন-অার এক দিকে বহু উৎসাহী সাহিত্যরসিক কাব্য কবিতা গল্প উপন্যাস রচনা করিয়া জনসাধারণের মনোরঞ্জন করিতেছেন এবং দেশের সাহিত্যসৌধকে মুসজ্জিত করিয়া তুলিতেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত নানা সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এই সাহিত্যপ্রচার ও সাহিত্যসৃষ্টি কযে মান ভাবে সহায়তা করিতেছে—উৎসাহ যোগাইতেছে এবং দেশের লোকের মধ্যে সাহিত্যরসপিপাসার উদ্রেক করিতেছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় এক প্রদেশের সাহিত্যপুষ্টি-বিষয়ক কম সমূহ সম্বন্ধে আর এক প্রদেশের সাধারণ লোক ত দূরের কথা— শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গেরও বিশেষ কোনও ধারণ নাই । এক প্রদেশের লোক যে সাহিত্যের রস আস্বাদন করিয়া মুগ্ধ হয়—তৃপ্তি লাভ করে তাহার সহিত অন্ত প্রদেশের লোকের পরিচয় নাই বা পরিচয় লাভ করিবার তেমন কোনও ব্যাপক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা নাই ।