si - প্রবণসী °్సo o বিনা কারণে কাঙাল মন অধীর হয়ে ওঠে, } দুই হাত বাড়িয়ে দিই, নাগাল পাই নে কিছুই কোনোদিকে। বেলা তো কাটে না, বসে থাকি জোয়ারজলের দিকে চেয়ে, ভেসে যায় মুক্তিপারের খেয়া, ভেসে যায় ধনপতির ডিঙা, ভেসে যায় চলতি বেলার আলোছায়া । এমন সময় বাজে তোমার বাশি ভরা জীবনের সুরে । মরা দিনের নাড়ীর মধ্যে দর্দবিয়ে ফিরে আসে প্রাণের বেগ । কী বাজাও তুমি, জানি নে সে সুর জাগায় কার মনে কী ব্যথা । বুঝি বাজাও পঞ্চম রাগে দক্ষিণ হাওয়ার নব যৌবনের ভাটিয়ারি । শুনতে শুনতে নিজেকে মনে হয়, যে ছিল পাহাড়তলীর ঝিরঝিরে নদী, তার বুকে হঠাৎ উঠেছে ঘনিয়ে শ্রাবণের বাদল রাত্রি । সকালে উঠে দেখা যায় পাড়ি গেছে ভেসে, একগুঁয়ে পাথরগুলোকে ঠেলা দিচ্ছে অসহ্য স্রোতের ঘূর্ণি-মাতন । আমার রক্তে নিয়ে আসে তোমার মুর ঝড়ের ডাক, বস্যার ডাক, আগুনের ডাক,— পাজরের উপরে আছাড়-খাওয়া মরণ-সাগরের ডাক, ঘরের শিকলনাড়া উদাসী হাওয়ার ডাক ।
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮০
অবয়ব