পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কাব্য-কথা S8) Chandra Sen 1 §:Giītws sir -7 fiwta oito af i Sirrah আকারে অবজ্ঞা-সূচক হইয়াছে। বাপু, বাবু শব্দ লুতন নয়। পুত্র পিতাকে বাপু, বাবু বলে, পিতাও পুত্রকে বাপু, বাবু বলেন । এইরূপ আরও আছে । যেমন কাক, দাদা এবং সংস্কৃতে তাত। আমার বাঙ্গালা শব্দকোব দেখুন। সাহেৰ শব্দ আবৃৰি সাহিব হইতে, অর্থ ভদ্রলোক । শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায় ‘বাবু’ ও ‘সাহেব' শব্দ পারসীক ভাষা হইতে বাঙ্গালী ভাষায় প্রবেশ করিয়াছে। পারসীক ভাষায় বাবু’ শব্দের প্রকৃত অর্থ হইতেছে এইরূপ—ৰাসহিত। ব ( খোসবু)=সৌগন্ধ। বাবু’ শব্দের অর্থ=সেীগন্ধের সহিত অর্থাৎ যাহার সৌগন্ধ (এসেগ প্রভৃতির গন্ধ নয়) যশ আছে, ठिनिहे 'बाबू । এই ‘বাবু’ শব্দের অর্থ অন্তরূপ। ‘বাবু শব্দ এবং শব্দগত অর্থের স্থান পারসীক ভাষার খুব উচ্চে । যিনি ঈশ্বর প্রিয়, বিনি थङ्कङ ऊांनी, रँीशंद्र यप्लांब्रांणि पूजद्र श्यांप्नद्र भउझे इछांश्छ। भएप्ल, তিনিই 'বাবু । ইহাই শব্দগত প্রকৃত অর্থ। ‘সাহেব' শব্দের অর্থ ও ‘বাবু’ শব্দের অর্থ পারসীক ভাষায় একই রূপ। কাজেই তাহার আর পৃথক্ বিশ্লেষণ দিলাম না । ব্যবহারের ভুলে এবং চলতি অর্থে এইরূপ বহু শব্দের অর্থের বিকৃতি ঘটিয়াছে। শ্ৰী যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কাব্য-কথা প্রতিভা ও কবিকল্পনা ( ২ ) শ্ৰী সত্যমুন্দর দাস ভিতরের বা বাহিরের যে কোনও বস্তু বা তথ্যকে একরূপ ভাবদ্ধৃষ্টির সাহায্যে অভিনব আকারে প্রকটিত করার যে কবিবৃত্তি –তাহারই নাম কল্পনা, ইহাই কবির কাব্য-প্রতিভা। এই কল্পনা সত্যের বিপরীত বা মিথ্যা নহে, কারণ বিজ্ঞানের সত্য কাব্যের সত্য নয়, একথাও পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। এই কল্পনারও সত্য-মিথ্যা আছে, তাহার প্রমাণ অন্যরূপ। যেখানে কবিদূষ্ট দুৰ্ব্বল, বা ভাণমূলক, সেখানে কাব্য শস্বের চারুচাতুর মাত্র, সেখানে সত্যকার কল্পনা নাই। কল্পনার মূলে কবির ব্যক্তিগত আন্তরিক উপলদ্ধি না থাকিলে, কাব্য কতকগুলি শব্দ ও অর্থগত অলঙ্কার-রীতির কসরৎ হইয়া দাড়ায় । উপমা প্রভৃতির মধ্যে কল্পনার অতি সরল ও স্বাভাবিক বিকাশ আছে, তাহার কারণ, একটি মাত্র উপমা বা উপমা-সমুচ্চয়ের দ্বারা যথার্থ কাব্যই গড়িয়া উঠে, উপমাই সেখানে বাণী অর্থাৎ অস্তগত ভাবের বাত্ময় রূপ—উপম৷ অলঙ্কার বা প্রসাধন নয় । তথ্যের সত্য কবির উপজীব্য নয় ; কবির नृष्टि ভাবানুসারী, এই ভাবদ্ধৃষ্টির শর-সদ্ধানে কৰি যে লক্ষ্যভেদ করেন, তাহা মানুষের দেহমনপ্রাণের সাড়ায় সত্য বলিয়া বিশ্বাস হয়। সাবিত্রী যমের হাত হইতে স্বামীকে ফিরাইয়া আনিয়াছিলেন—ইত যে তথ্য বা ইতিহাস নয় —কবিও তাহ জানেন, তথাপি একনিষ্ঠ প্রেমের যে শক্তি তিনি কল্পনায় উপলব্ধি করিয়াছিলেন তাহা এতই সত্য, যে, তাহাকে প্রকটিত করিবার জন্য তিনি যে কাব্য রচনা করিয়াছেন তাহা একটুও অতিরঞ্জিত বোধ হয় না । কল্পনার দ্বারা এই যে সত্য সন্ধান, মনে হয়, ইহার মধ্যেই স্বষ্টি-ধৰ্ম্ম রহিয়াছে । কাব্যপ্রেরণায় ও প্রত্যক্ষ কাব্যরচনায় ইহার লক্ষণ কি ? স্বষ্টি কথাটির প্রথম ও শেষ তাৎপৰ্য্যই বা কি ? এইরূপ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে কি দাড়ায়, এক্ষণে তাহাই দেখিতে হইবে । কবি যে স্রষ্টা, তিনি যে কিছু স্বষ্টি করেন—একথা নূতন নয়, আধুনিক কাব্যবিচারে ইহা একটি স্বতঃসিদ্ধ ধারণা। কিন্তু ইহার নানা অর্থ আছে। এই নানা অর্থের মধ্যে কোনটি শেষ পৰ্য্যস্ত কবি-কীৰ্ত্তির প্রধান লক্ষণ হিসাবে, কবির দিব্যপ্রযত্বের যথার্থ-ধারণারূপে গ্রহণ করা উচিত আমি সেই দিকেই লক্ষ্য রাখিয়া এই স্বষ্টিতত্বের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব । যাহারা Aesthetics ব। রসতত্বের উচ্চ অধিকার অক্ষুন্ন রাখিতে চান, তাহাদের