পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইতালী-ভ্রমণ ჯახ-ტk কাজ করিতেছেন ; ২১শে সেপ্টেম্বর ১৯২৫ সালে সোসিয়া- যায় ; এমন কি উদারপন্থী রাজনৈতিক দলও (Liberal লিষ্ট নারী-সমিতি ও আন্তজাতিক নারীসঙ্ঘ মিলিয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করিয়া যে বিরাট মিছিল বাহির করেন তাহা জনসাধারণকে চমৎকৃত করে । সুইস জাতীয়নারীসঙ্ঘ যুদ্ধের আয়োজন, বৈজ্ঞানিক পৈশাচিকতা ও নব নব মীরণ অস্থাদির উদ্ভাবন-সঙ্গন্ধে খবর প্রকাশ করিয়া জনসাধারণকে সজাগ রাপিতে ও যুদ্ধবিমুখ করিতে চেষ্টা করেন । রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে এতটা পরিশ্রম ও ত্যাগস্বীকার করিলেও সুইস নারী এখনও পূর্ণ রাষ্ট্ৰীয় অধিকার লাভ করিতে পারেন নাই । ভোটে নারীর অধিকার এখনও স্বীকৃত হয় নাই ; সবুকারী কমিশন, শিক্ষাবিভাগ বা পৰ্ম্মসংসদে নারীর নির্বাচন খুবই কম জায়গায় দেখা বিবিধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইতালী-ভ্রমণ দক্ষিণ আমেরিকা হইতে ফিরিবার পথে ১৯২৫ সালের জানুয়ারী মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইতালা হইয়৷ আসিয়াছিলেন। ইতালীবাসীর। তখন র্তাহাকে প্রভূত সম্মান প্রদর্শন করেন ; ফ্লোরেন্স,টিউরিন প্রভৃতি বহুনগরে র্তাহাকে নিমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু শারীরিক অস্তস্থতানিবন্ধন তিনি এইসকল নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে সক্ষম হন নাই ; ইতালীতে পদার্পণ করার অল্পদিনের মধ্যে চিকিংসকের তত্ত্বাবধানে উহাকে স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে হয়। ১৯২৫ সালের জুলাই মাসে তাহার পুনরায় ইতালী যাওয়ার কথাবাৰ্ত্ত হয়, কিন্তু শারীরিক অমৃস্থতাহেতু তখনও তাহার যাওয়া ঘটে নাই । ইতিমধ্যে ইতালীর বর্তমান কর্ণধার বেনিটে। মুসোলিনী রোমের অধ্যাপক কালের্ণ ফমিকির হাতে বিশ্বভারতীকে বহুসংখ্যক মূল্যবান ইতালিয়ান গ্রন্থ party) নারীদের সভ্য মনোনীত করিতে ও তাঁহাদের সভা-সমিতির অধিবেশনে ডাকিতে নারাজ ! কিন্তু সুইস-নারী তাহাতে হতাশ হন নাই—ৰ্তাহারা বুঝিয়াছেন যে এই নৈতিক সংগ্রাম ও সমাজ সেবার মধ্য দিয়াই তার প্রশস্ততর কৰ্ম্মক্ষেত্রটি ক্রমশ জয় করিয়া লইবেন ; সার্থকত যত দূরেই থাক, এই মহান সংগ্রাম প্রতিমুহূৰ্ত্তে নারীসঙ্গাকে সেই গৌরবের অধিকারের জন্য প্রস্থত করিতেছে । আমাদের এই সংগ্রামের ইতিহাস আশা করি আমাদের ভারতীয় ভগ্নীদের উন্নতি-সাধন-পথে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করিবে । - ক طی প্রসঙ্গ উপহার স্বরূপ প্রেরণ করেন ; কালে। ফমিকি বিশ্বভারতীতে কিছুকাল অধ্যাপনা করিতে আসেন। কিছুদিন , পরে মুসোলিনী ডাক্তার জিউসেপ্নে টুচ্চি নামক অন্য একজন পণ্ডিতকে বিশ্বভারতীকে একটি নিপিল জাগতিক শিক্ষা ও মিলন কেন্দ্ররূপে গড়িয়া উঠিবার সহায়তা করিবার জন্য পাঠান। ১৯২৬ সালের মে মাসে রবীন্দ্রনাথকে র্তাহার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিতে দিবার জন্য বিশ্বভারতীর কৰ্ম্মসচিবদ্বয়, অধ্যাপক প্রশস্তচন্দ্র মহলানবীশ ও শ্রীযুক্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাহার ইতালী যাত্রার ব্যবস্থা করেন। এই বিষয়ে ইতালিয়ান গবর্ণমেণ্ট ও যথেষ্ট সাহায্য করিবেন বলিয়। উক্ত কৰ্ম্মসচিবগণকে জানান। ইতালিয়ান জাহাজ নেপলসের ক্যাপ্টেন ইতালিয়ান রাজসৰ্বকারের ভবিষৎঅতিথি বিশ্বভারতীর দলকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেন । , উহার যখন নেপলসে পৌছিলেন তখন বেনিটে। মুসোলিনী কবিকে ইতালী সরকারের তরফ হইতে অতিথি