পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখn ] গৌড়ের করিয়াছিলেন। প্রকৃতিপুঞ্জ অর্থ এখানে অবশ্য প্রজাসাধারণ বুঝিতে হইবে না, সামস্তরাজবর্গ অথবা ছোট-বড় ভৌমিক-বর্গ বুঝিতে হইবে। পরস্পরের সহিত বিরোধে রত সামন্তচক্র বিরোধ পরিত্যাগ করিয়া গোপাল-দেবকে রাজাধিরাজ-পদে প্রতিষ্ঠিত করিবার পূৰ্ব্বে তাহদের সকলকে অবশ্য ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ বিসর্জন করিতে এবং হিংসাদ্বেষ সংযত করিয়া লইতে হইয়াছিল । একাদশ শতাব্দ হইতে আর্য্যাবর্তের সামস্ত বা দেশনায়কবর্গের মধ্যে এইরূপ দূরদৃষ্টির, ত্যাগের এবং সংযমের অভাব হওয়ায় তাঙ্গর মুসলমান আগন্তুকগণের গতিরোধ করিবার জন্য যথাযোগ্য চেষ্টা করিতে পারেন নাই । সুতরাং আযাবৰ্ত্তের অধঃপতনের জন্য শুধু পৃথ্বীরাজ, জয়চন্দ্র, লক্ষ্মণসেন এবং তাহদের সেনাগণ দোষী নহেন, দোষী সেইসকল দেশনায়ক বা সামন্তবর্গ যাহার একজন রাজার পরাজয়ের বা—পলায়নের পর আর-একজন যোগ্য-ব্যক্তিকে রাজাধিরাজের পদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাহার নেতৃত্বাধীনে আক্রমণকারিগণের সম্মুখীন হইতে পারেন নাই । বস্তুতঃ, গৌড়ের, তথা আৰ্য্যাবৰ্ত্তের, ক্রমশঃ অধঃপতনের কারণ জননায়ক সামন্তগণের এবং, আরও এক স্তর নামিয়া বলা যাইতে পারে জনসাধারণের বুদ্ধির এবং চরিত্রের বলের অথবা আধ্যাত্মিক বলের অভাব । এ-দেশের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস সম্বন্ধে যে যৎকিঞ্চিং প্রমাণ পাওয়া যায় তাহার উপর নির্ভর করিয়া এতবড় একটা সিদ্ধান্ত গড়ন অনেকের নিকট দুঃসাহসের কার্য্য বিবেচিত ইষ্টতে পারে ; এই গণতন্ত্রের যুগে এমনও কথিত হইতে গারে যে এই অধঃপতন-ব্যাপারে জনসাধারণের কোন দোষ নাই—যতদোষ তাহীদের স্বেচ্ছাচারী, প্রজাপীড়ক, প্রজার স্বাধীনতা-নাশক নৃপতিবর্গের । রাজ্যের উত্থানপতন রাজার এবং রাজপুরুষবর্গের লীলাখেলা-মাত্র, ইহাতে জনসাধারণের দায়িত্ব নাই । কিন্তু শিল্পের উত্থান-পতনসম্বন্ধে এইরূপ বলা চলে না। ভাস্কৰ্য্য এবং স্থাপত্য প্রভৃতি শিল্প শুধু শক্তিশালী বা ধনী লোকের খেয়াল বলিয়। বিবেচিত হইতে পারে ম| শিল্পে গণচিত্তের ( mass mind ) অস্তনিহিত ভাবাভাবের আভাস পাওয়া যায়, এবং শিল্পের অধঃপতন 9) চিত্র নং ২ শেষ তীর্থঙ্কর মঙ্গলবার স্বামী (খৃষ্টীয় দশম শতাব্দ ) উত্থান-পতনের জন্য জনসাধারণ ৪ কতক-পরিমাণে দয়া, এ-কথা স্বীকাব না। কবিয়া উপশম নষ্ট । শিলের ইলিশন