পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] তাহারাও সম্ভবতঃ চিত্রলিপি হইতে উদ্ভুত। সিন্ধুদেশের প্রাচীন চিত্রলিপি যে ভারতীয় অন্যান্য কোন কোন তদপেক্ষ আধুনিক লিপির “পূৰ্ব্বপুরুষ” নহে, তাহা জোর করিয়া বলা যায় না। সীলমোহরে বৃষমূর্তির প্রাচুর্য্য “শৈব ধর্মের প্রাগৈতিহাসিক প্রকার-ভেদের অস্তিত্ব সূচনা করে কি না, তাহা অনুসন্ধেয় । বুষের ছবি যুক্ত দুটি সীল প্রস্তরমূৰ্ত্তি দুটির মধ্যে যেটির ছবি প্রকাশিত হইয়াছে ও সাহার প্রতিলিপি আমরা দিলাম, তাহা হইতে জোর করিয়া বলা যায় না যে, প্রাচীন সিন্ধুদেশবাসীরা আর্য্য ছিল না। ভারতবর্ষে পরবর্তী বহু যুগে প্রস্তর মূৰ্ত্তি বাস্তব মানুষের সদৃশ ( realistic ) ছিল না। এদেশে যে অসংখ্য বৌদ্ধমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে, তাহা ঠিক সেকালের কোন মাহুষের মত নহে, তাহী কল্পিত কোন না কোন আদর্শ অনুসারী। সিন্ধুদেশে প্রাপ্ত প্রাচীন দুটি মূৰ্ত্তিও ঠিক তাৎকালিক বাস্তব জীবিত মানুষের মত কি না, বলা নায় না। কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে, ঐরূপ মুখাবয়ব ভারতবর্ষে এখনও অনেক মানুষের আছে। তাহাদের মুখ আৰ্য্য চীচের বলিবেন কি না, সে আলাদা কথা । আমরা যে মূৰ্ত্তিটির ছবি দিলাম, তাহ চুণ পাথরের (linestoneএর) তৈরী। তাহার উপর মিহি শাদা আস্তর আছে । চোখ দুটি ঝিনুক-খণ্ড দ্বারা খচিত । পোষাকে যে ছিটের নক্স দেখা যাইতেছে,তাহা গৈরিক মাটীর রঙের। যৰ্ত্তিটির গোফ কামান। তখন বোধ হয় দাড়ী রাখা ও গোফ কামান ফ্যাশন ছিল। মূৰ্ত্তিটি যে কাহার, তাহ। বলিবার উপায় নাই । বিবিধ প্রসঙ্গ—অতি প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার অবশিষ্ট প্রমাণ २२© মোহেন-জো-দাড়াতে আবিষ্কৃত মানুষের প্রস্তরমূৰ্ত্তি এই প্রাচীন সিন্ধুদেশবাসীদের ধৰ্ম্ম কি ছিল, এখনও নির্ণীত হয় নাই । কাচের মত মস্তণ ও চিকুণ জিনিষের আস্তরে ঢাকা একটি নীল রঙের মৃণায় চিত্রিত ফলক পাওয়া গিয়াছে। তাহাতে একটি মূৰ্ত্তি (সম্ভবতঃ উপাস্ত দেবতার) সিংহাসনে বসিয়া আছেন । উপবেশন-ভঙ্গী পদ্মাসনের মত । র্তাহার দক্ষিণে ও বামে একজন করিয়া