পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সেরপুরের প্রাচীন মুর্তি : ግ ! জন করেন, আবার কল্পস্তের রুদ্র ব্রহ্মাকে স্বজন : করেন ; এইরূপ কল্পে-কল্প ব্রহ্ম, বিষ্ণু মহেশ্বর পরস্পরকে পরাজয় করিতে অভিলাষী হইয়া উৎপন্ন হন।* বৌদ্ধধৰ্ম্মেও এই ত্রিতত্ত্বের আভাস পাওয়া যায় । নেপালের রেসিডেন্ট হডসন সাহেব বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘ সম্বন্ধে । বলিয়াছেন—“দার্শনিক চক্ষুতে বুদ্ধ বা ধর্মের প্রাধান্য যথা- " ক্রমে ঈশ্বরবাদ ও অনীশ্বরবাদ স্বচিত করে । ঈশ্বরবাদের দিক দিয়া দেখিতে গেলে, বুদ্ধ বিশ্বস্বষ্টির মোক্ষকারণ ও ইহার মনোময় তত্ত্বের বিকাশ এবং অনাদি ধৰ্ম্ম এই স্বল্পরই ভৌতিক তত্ত্ব, ইহারই অনাদি গৌণ কারণ—সমতা সূত্রে বুদ্ধের সহিত সংযোজিত অথবা বিশ্বেরই গৌণ কারণ রূপে বুদ্ধ হইতে আবিভূতি ও বুদ্ধেরই নির্ভরশীল। সংঘ বুদ্ধ এবং ধর্মের ধোগ এবং তদুভয় হইতে আবির্ভূত। এতদুভয়ের কৰ্ম্মপ্রবণ সংঘশক্তির বিকাশ সৃষ্টির অতি সন্নিধ কৰ্ম্মময় কারণ, হষ্টির রূপ অথব৷ ই চারই প্রতিনিধি । অবিনশ্বরবাদের দিক্ দিয়া দেখিতে গেলে ধৰ্ম্মই সেই এক অনাদি দেবী স্তর সত্ত্ব, নৈসর্গিক কৰ্ম্মে কৰ্ম্মশীল ও নৈসর্গিক জ্ঞানে জ্ঞানশীল –বিশ্ব স্থষ্টির মোক্ষ ৪ ভৌতিক কারণ বুদ্ধ ধৰ্ম্ম হইতে আবির্ভূত, প্রকৃতির, কৰ্ম্মময়ী ও জ্ঞানময়ী শক্তি, প্রকৃতি হইতে পৃথকীকৃত ও তৎপরে প্রকতির উপর কার্য্যকরী ; প্রচ্ছন্ন স্থষ্টি ভিন্ন ভিন্ন আকারের রূপ ও সমষ্টি । এই আকার-সমষ্টিই বুদ্ধ এবং ধৰ্ম্মের সম্মিলন হইতেই সংঘ নৈসর্গিক উপায়ে অবিভূতি ।” + সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা ১৮শ ভাগ ৩য় সংখ্যায় ব্রহ্ম, বিষ্ণু, মহাদেব সম্বন্ধে অতি উপাদেয় প্রবন্ধ প্রকাশিত গুইয়াছে। তত্ত্বপিপাস্বগণের অবশ্য পাঠ্য । মঙ্গদেবের অনন্ত মূৰ্ত্তি ও অনন্ত ভাবের কথা মহাভারতে শ্বভিব্যক্ত হইয়াছে। যথা— "একবঙ্গে। দ্বিবক্তশ্চ ত্রিবন্থোহনেক বস্তু কং" হা পচ— মৃন্মুখে বৈ বহুমুখস্তিনেত্রে বহণীর্ষকঃ অনেক কটিপাদ-চ অনেকেদিরবঙ্গ ধুক্ ॥ অনেক পাণিপার্শ্ব-চ অনেকগণসংবৃত: ;

  • মহাশিবপুরাণ (বঙ্গবাসী সংস্করণ ২৮৭ *::) f J. A. S. B. 1836. P. 37.

সেরপুরে প্রাপ্ত বিষ্ণুর মৎস্তবতার মূৰ্ত্তি নানা তন্ত্রে আমরা শিবের নানামূৰ্ত্তির পরিচয় পাই । সারদাতিলক তন্ত্রের ১৯ ও ২০ পটনে তাহার নিম্নলিখিত প্রধান কয়েকটি মূৰ্ত্তির নাম লিখিত হইল। ঐ তন্ত্রে মূৰ্ত্তিগুলির ধ্যান বর্ণিত আছে। ১ । সদাশিব, * 2 । ঈশান, ৩ । তৎপুরুষ, ৪ অঘোর, ৫ । বামদেব, ৬ । সদ্যোজাত, ৭ । ই পাৰ্ব্বতী, ৮। মৃত্যুঞ্জয়, ৯ । মহেশ, ১০ । দক্ষিণমূৰ্ত্তি, ১১ । নীলকণ্ঠ, ১২ । অৰ্দ্ধনারীশ্বর, ১৩ । পঞ্চানন, ১৪ অঘোর, অপর রূপ, ১৫ । পশুপতি, ১৬ । নীলগ্রীব, ১৭ ৷ চণ্ডেশ্বৰ ।

  • সারদাতিলকবর্ণিত সদাশিবে ধ্যানের সঠিত বায়ু-পুরাণোক্ত ধানের ঐক্য দেপা মায় না ।

সরদা তিলেক—“সুস্থ পা পয়োদ মোক্তিকজবাবশৈমুপৈঃ পঞ্চভি স্বাক্ষেপঞ্জি ও মীশবিন্দুমুকূটং পূর্ণেন্দুকোটিপ্রভং। শূলং টঙ্ক পাণ বজ্রদচন্নাগেন্দ্র ঘন্টাঙ্কুশান পাশং ভীতিষ্ঠরন্দধান মতীশ কল্পোজ লং চিগুয়েৎ ॥ বায়ুপুরাণে- পঞ্চবক্তে বুষারূঢ় প্রতি বক্তোং ত্রিলোচনঃ। কপাল শূল থৰ্দ্ধাঙ্গী চন্দ্রমৌল সদাশিবঃ ।