পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] কষ্টিপাথর একটি তথাকথিত প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন е 3 করা ও প্রকাশ করার মধ্যে মহত্ত্ব আছে । আমাকে এইটেতেই সকলের চেয়ে নম্র করেছে যে, ভারতের যে-পরিচয় অন্ত দেশে আমি বহন করে নিয়ে গেছি কোথাও তা অবমানিত হয়নি। অামাকে র্যারা সম্মান করেছেন তারা আমাকে উপলক্ষ্য ক'রে ভারতবর্ষকেই শ্রদ্ধ। জানিয়েছেন। যখন আমি পৃথিবীতে না থাক্ৰব, তখনে যেন তার ক্ষয় না ঘটে, কেননা এ সম্মান ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে যুক্ত নয় । বিশ্বভারতীকে গ্রহণ ক’রে ভারতের অমৃতরূপকে প্রকাশের ভার আপনার গ্রহণ করেছেন । আপনাদের চেষ্টা সার্থক হোক, অতিথিশালা দিনে দিনে পূর্ণ হয়ে উঠুক, অভ্যাগতরা সম্মান পান, আনন্দ পান, হৃদয় দাম করুন, ইদয় গ্রহণ করুন, সত্যের ও প্রীতির আদান প্রদানের দ্বাব পৃথিবীর সঙ্গে ভারতের যোগ গভীর ও দূর-প্রসারিত হোক, এই আমার কামনা | ( শান্তিনিকেতন পত্র, ফাল্গুন ১৩৩২ ) শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খেলনা-শিল্প KKSDB BBB KKBD BBBKSgK BBBS SBB KKK L শু প্ৰতি চত শিল্প নাই । অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহরে অথবা বদ্ধিষ্ণু গ্রামে সূত্রধর, মালাকার, কাশী, কুস্তকাপ প্রভৃতি শ্রেণীর লোকের কয়েক প্রকার খেলনা প্রস্তুত করে এবং সেগুলি গ্রামা মেল ইত্যাদিতে পাওয়৷ যায় । বড় বড় সহরে অবং খেলন-প্রস্তুতকারী বিশেষ শিল্পী দুই চারি জন স্বছে ; কিন্তু পেলন-শিল্প অদ্যান্য শিল্পে নিযুক্ত ব্যক্তিগণের একটি উপঞ্জীবিক মাত্র। আবশ্ব)ক কায্যের অবসরে এবং বিশেষ বিশেষ পৃঙ্গ। পাৰ্ব্বণ উপলক্ষ্যে ইঙ্গার পুতুল তৈয়ারা করিয়া যৎসামান্য রোজগার করে। আজকাল বঙ্গদেশের মধ্যে কেবলমাত্র বীরভূম জিলায় ওষ্ঠ ও ধাতব এবং নদীয় জিলায় মাটির থেলন ভূরিপরিমাণে প্রস্তুত হইতে দেখা যায়। কয়েক বৎসর হইতে কলিকাত পটার্থী ওয়ার্কস্ প্রতিষ্ঠিত হইয় এদেশে পুতুল-শিল্পেরও অনেক উন্নতি হইয়াছে । , বৰ্ত্তমান যুগে যে-সমুদয় খেলনা প্রচলিত, সেগুলিকে মোটামুটি নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করিতে পীরা যায় :– চীনামটি ও কাচের খেলনা, কাষ্ঠপিণ্ড অথবা কাগজের থেলন, কাঠের খেলনা, ধাতু-নিৰ্ম্মিত খেলন. প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত খেলনা, যান ও যন্ত্রাদির প্রতিকৃতি, কাপড় ও বলতের খেলন, সেলুলইড খেলন, বৈজ্ঞানিক খেলনা । মনুষ্য ও পশ্বাদির প্রতিকৃতি এরূপভাবে প্রস্তুত করা হয় যে, সেগুলি তরুণ-তরুণীগণের পক্ষে যেমন চিত্তাকর্ষক, তেমনই শিক্ষণপ্রদ হইয় থাকে । জগতের সমস্ত উন্নতিশীল এবং সুসভ্য দেশেই খেলনাশিল্পের অল্পবিস্তর উন্নতি সাধিত হইয়াছে । কিন্তু এবিষয়ে জৰ্ম্মণীই সৰ্ব্বাস্ত্রগণ্য এবং তৎপরেই জাপান । বিগত মহাযুদ্ধের পুৰ্ব্বে জৰ্ম্মণীতে ১৪ কোটি মার্ক মূল্যের থেলন। উৎপাদিত হইত। অামাদিগের দেশে পেলনী-শিল্প স্বপ্রতিষ্ঠিত করিতে হইলে জৰ্ম্মণীতে খেলন-শিল্পের সংগঠন ও বিক্রয় প্রণালী সম কৃরূপে হৃদয়ঙ্গম করা উচিত। জৰ্ম্মণীর শিল্পিগণ এত দক্ষ **xt:E cą, sifaty II: #fà Esoitwa ( mass production ) করিতে তাহারা সমর্থ। কুটার-শিল্প হিসাবে জৰ্ম্মণীতে বহু পরিমাণ খেলনা প্রস্তুত হয়, তস্তিন্ন খেলনা প্রস্তুতের বড় বড় কারখানাও আছে । আমাদিগের দেশে বিভিন্ন সহরে যে তথা-কথিত Technical স্থলসমূহ আছে, সেগুলি সংখ্যায়ও যথেষ্ট নহে এবং মধ্যবিত্ত গৃহস্থের উপযোগী কলাবিদ্যা উক্ত স্কুলসমূহে উপযুক্তরূপে শিক্ষা দেওয়াও হয় না। VDS- খেলন প্রস্তুত কোন স্থানেই শিক্ষণ দেওয়া হয় না । যে খেলনাশিল্প আজকাল দেশে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লুপ্ত রহিয়াছে, তাহকে শৃঙ্খলার সহিত সংগঠনপুৰ্ব্বক বিকশিত করিয়া তুলিতে হইলে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান দ্বারা প্রথমেই শিল্পী প্রস্তুত কর। অবশ্যক । জৰ্ম্মণী ইহ সমাক্রপে বুঝিতে পারিয়াই খেলন-শিল্প শিক্ষা দিবার জন্ত কয়েকটি স্কুল স্থাপন করিয়াছে। এইরূপ স্কুলের মধ্যে তিনটি প্রধান এবং উহাধের প্রত্যেকের সহিত এক একটি প্রাথমিক (pronatatory) স্কুল সংযুক্ত রহিয়াছে। বিভিন্ন শ্রেণীর খেলনা প্রস্তুতের জন্ত আবগুক উপাদান পরীক্ষা ও নিৰ্ব্বাচন, প্রতিকৃতি গঠনের আদর্শ-রচনা, কাঠের কাজ, কী, চীনামটি প্রভৃতির ব্যবহার, পুতুলের অঙ্গ-যোজনা ইত্যাদি বিষয় এইসমস্ত স্কুলে শিক্ষা দেওয়া হইয় থাকে। এতদ্দেশে এই প্রকারের স্কুল স্থাপন করা আবগুক হইলেও উহা কর্ঘ্যে পরিণত করিতে কিছু সময়পাত অবগুস্তাবী । কিন্তু আপাততঃ যে সমস্ত টেক্‌মিক্যাল স্কুল আছে, তৎসমৃদয়ে বিশেষভাবে খেলনা প্রস্তুত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা সহজেই হইতে পারে। যদি প্রতি স্কুলে দেশীয় ও বিদেশীয় উৎকৃষ্ট খেলনা-সমূহের নমুন রাখা হয় এবং ছাত্রদিগকে কোন কোন বিষয়ে বিদেশীয় পেলনীর উৎকৰ্ষ আছে, তাহ৷ স্পষ্টরূপে বুঝাইয় দিয়া, কি প্রণালীতে কায। করিলে উক্তরীপ উৎকর্ষ লাভ করিতে পার। যায়, তাহা দেখাইয় দেওয়া হয়, তাহ হইলে সাধারণতঃ বুদ্ধিমান বাঙ্গালী বালক সহজেই ঐরাপ শিল্প কৌশল (techniq। ) আয়ত্ত করিতে পারে । এই প্রকারের কতিপয় সুদক্ষ খেলনা-শিল্পী প্রস্তুত করিতে চইলে তাহাদিগের সাহায্যে গ্রামে অথবা নগরে অনেকে আবার থেলনা প্রস্তুত শিক্ষা করিতে পারে । ( মাসিক বস্থমতী, ফাল্গুন ১৩৩২ ) শ্ৰীনিকুঞ্জবিহারী দত্ত একটি তথাকথিত প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন মিয়ানোয়ালি জেলা পঞ্চনদ প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত । এই জেলার বিবরণীতে একস্থানে লেখা আছে যে — ” Th. above, together with two scntrybox-liko buildings supposed to be dolmen midway between Nammal and Sakesar --comprise all the antiquities above ground in the district.” (Dist. Gazett. 24.p.) গত পূজার সময়ে শাকেশ্বরে যাওয়ার সুযোগ হইয়াছিল, এবং সেই সুযোগে এই dolinan দুইটি দেপার প্রলোভন সংবরণ করিতে না পারিয়া একদিন ইহাদিগকে দেখিতে গিয়াছিলাম ও সেখানে গিয়া যাহ। দেখিয়ছিলাম তাহ। এই ক্ষুদ প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করিতেছি । - শাকেশ্বর হইতে নামাল পৰ্য্যস্ত যে রাস্ত গিয়াছে সেই রাস্তার উপরে ঢোক মিয়ানি নামক গ্রামের নিকটে পাহারাওয়ালার ঘাটির স্তার গুহ দুইটি অবস্থিত। স্থানীয় লোকগণ এই গৃহ দুইটিকে “গুমতান’ আখ্যা প্রদান করিয়া থাকে ও যে ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপরে এই ক্ষুদ্র দুইটি কোঠ। নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সেই পাহাড়কে গুমতাওয়াল টেরি নাম দেওয়া হইয়াছে । কোঠ। দুইটি দেখিয় মনে হয় যে, জেলার বিবরণীতে ইহাদিগকে যে dolmon বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে তাহ ঠিক নহে ৷ গুহ দুইটি আকৃতিতে ছোট ও দুইটির গঠনই প্রায় একরূপ, গৃহের উপরে একটি গম্বুজ ও চারি কোণে চারটি ছোট মিনার। এই কোঠা দুইটির মধ্যে একটি বড় ও একটি ছোট এবং প্রত্যেকটির গৃহতল মাপে