পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wDe 8 প্রায় একটি বর্গক্ষেত্র। একটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ প্রায় ১৫ ফিট ও অপরটির প্রায় ১৯ ফিট । এই গৃহে প্রবেশ করিবার জন্ত একটি অতি ক্ষুদ্র দরজা আছে। কিন্তু এই দরজ সর, ইহার বিস্তার ১ ফুট ৯ ইঞ্চি মাত্র। একজন লোক আড়াআড়িভাবে এই দরজা দিয়া ঘরে ঢুকিতে পারে। এই কোঠার অভ্যস্তরে তিন দিকের দেওয়ালে তিনটি কুলুঙ্গি আছে। বে ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপরে এই কোঠা দুইটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সেই পাহাড়ের ঢালুক্ষেত্রে কতকগুলি পুরাতন গৃহের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া বায়, ও বোধ হয় যে, যখন পাহাড়ের এই প্রদেশে কোনও সমৃদ্ধিশালী জনপদ বিদ্যমান ছিল তখন এই জনপদ যাইতে শত্ৰু কর্তৃক অতর্কিত ভাবে আক্রান্ত ন হইতে পারে, সেই হেতু প্রহরীদের আবাসের জন্য এই গৃহ দুইটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। Dolininএর সঠিত এই দুইটি গৃহের কোনও সম্পর্ক নাই । ( মানসী ও মৰ্ম্মবাণী, ফাল্গুন ১৩৩২ ) রেশমের চাষ বঙ্গ মহিলাগণের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত মহেশভল গ্রামের শ্ৰীমতী মৃণালিনী দেবী রেশম চাষের কর্ণধ্য আরম্ভ করেন। উাহার সুন্দর সুবর্ণময় গুটিকাগুলি দেখিলে এই কাযে তাঙ্কার যত্ন এবং কৌশলের বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। রেশম-কীট প্রতিপালনের জন্ত জাল প্রস্তুত বিধবাগণের অবলম্বনের উপযোগী একটি সহজ এবং লাভজনক ব্যবসায়। রেশমকীটের উপর পাতিয়া দেওয়ার জন্ত এই জালের প্রয়োজন হয় । এই জালের মধ্য দিয়া পতঙ্গের উতের পাত খাইতে উঠে । তথন সেগুলিকে আস্তে আস্তে জাল সমেত একটি পরিষ্কার পাত্রের উপর রাখা হয়। পত্রটি অপরিস্কার হইলে জালের সহিত কীটগুলিকে তুলিয়া লইয়। পত্রটি পরিস্কার করা হয়। যে-সকল জেলায় অধিক পরিমাণে রেশমের চাষ হয়, তথায় প্রচুর পরিমাণে এই জালের প্রয়োজন হয় । সরকার কর্তৃক পরিচালিত রেশমের কারখানাগুলিতেও এই জালের বথেষ্ট চাহিদা আছে । অতএব দরিদ্র বিধবার। এই জাল প্রস্তুতের কার্য্য অবলম্বন করিয়৷ বিশেষ লাভবান হইতে পারেন । বর্তমান সময়ে ফরাসী, ইটালী, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশের সর্বত্র অন্তঃপুরবাসিনী মহিলা, বিধবা এবং বালিকাগণ অতি শিশুকাল হইতেই রেশমকীটের প্রতিপালন এবং তৎসংক্রান্ত অস্তান্ত কার্য্য বিষয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত হয় । যখন সকল দেশের স্ত্রীলোকগণ এই কাৰ্য্য করেন, তখন বাঙ্গালী মহিলাগণ ইহা আরম্ভ করিতে বিরত হইবেন কেন ? বঙ্গদেশে নানা প্রকারের রেশমকীট পাওয়া যায়। এদেশের প্রত্যেক প্রকারের রেশমকীট হইতে অতি সুন্দর এবং আশ্চৰ্য্যজনক তত্ত্ব পাওয় যায়। চরকায় এক সের স্বত কাটিলে মাত্র ২< হইতে ২৮ • আন। মূল্যে বিক্রয় হয়। কিন্তু এক সের বেশম স্থতার মূল্য ১০ টাকা হইতে ১৪ টাকা । সাধারণতঃ য়-সিন্ধ, বা সাধারণভাবে গুটান সরু স্বতী ১৫ টাকা হইতে ৪৫ টাকা সের দরে বিক্রয় হয় । একমাত্র দক্ষিণ চীন ব্যতীত অন্ত স্থান অপেক্ষ বঙ্গদেশে বৎসরের মধ্যে অনেকবার রেশম উৎপন্ন করা যাইতে পারে। এক সময়ে বঙ্গদেশ রেশম-শিল্পের জন্ম বিখ্যাত ছিল । শীতকালে বঙ্গদেশে যে ৰাগ-শেম ( Raw silk ) প্রস্তুত হয়, তাহা জস্তান্য দেশের তুলনায় উৎকৃষ্ট। শীত ঋতুতে অস্তান্ত দেশে রেশম-কীট প্রতিপালনের কার্য্য বন্ধ হইয়া যায় । কারণ ঐসকল দেশে পীতঋতুতে রেশম উৎপাদন নৈসর্গিক কারণে অসম্ভব। শ্ৰীহেমচন্দ্র দাশগুপ্ত প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাংলা দেশে যে কাচা রেশম প্রস্তুত হয়, তাহ বিশেষ মূল্যবান জিনিষ । সম্প্রতি জাপান ভাল রেশমের চাহিদা বুঝিতে পারিয়া প্রত্যেক উপযোগী ভূমিখওে এবং প্রত্যেক গৃহসংলগ্ন উদ্যানে তুতের চাষ এবং প্রত্যেক পরিবারে এক-একটি ঘর রেশম-কীট প্রতিপালনের জন্য নির্দিষ্ট রাখিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন । বঙ্গীয় মহিলাগণ এই কায্য শিল্পহিসাবে অবলম্বন করিয়া তাহীদের পরিবারস্থ বেকার যুবকগণের মধ্যে প্ৰবৰ্ত্তন করিতে পারেন। এই লাভজনক শিল্প-কায্যে তাহার দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিলে দেশের প্রভূত উপকার হইবে, তাহাতে কোণই সন্দেহ নাই । ইহা দ্বারা দেশের দারিদ্র্যসমস্যারও সমাধান হইবে । প্লেশম-শিল্প সংক্রান্ত জল প্রস্তুত প্রভূতি অস্ত্যন্ত কাৰ্য্যও বিশেষ উপযোগী । 象 রেশম-চাম এবং তৎসংক্রান্ত অদ্যান্য শিল্প-সম্বন্ধে অবশ্য-জ্ঞাতব্য বিষয় কলিকাতার ১২ নং আলিপুর রোডে রেশম বিভাগের স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট মিস এম, এল, ক্লেগহর্ণের নিকট জানাইলে সমস্ত সংবাদ অবগত হইতে পরিবেন। ( বঙ্গলক্ষ্মী, ফাল্গুন ১৩৩২ ) ( কুমারী ) অলিভ ক্লেগহর্ণ সংস্কৃত সাহিত্যে বিদুষী কবি সংস্কৃত সাহিত্যের সরস্বতকুঞ্জে যে-সকল বিহঙ্গিণীর মধুর কাকলী বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বে নীরব হইয়া গিয়াছে, তাহাদের মধ্যে “বিজ্জকা"র BBBBS BBBS BBBBJK BBBB BBBB BBBSYBS DB চণ্ডীকে লক্ষ্য করিয়া একটি কবিতা লিপিয়াছেন :-- “নীলোৎপলদলশ্যামাং বিজকাং মামু অজানত । বৃথৈব দণ্ডিন প্রোক্তং সৰ্ব্বশুক্ল সরস্বতী ॥” ইহাতে বিজ্জকার পাণ্ডিত্যাভিমান স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে । ইহীর দ্বারা আরও প্রমাণ হইতেছে যে, বিজ্জক দণ্ডীর উত্তরকালে আবিভূ ত হইয়াছিলেন। বিজ্জকার যে-কয়েকটি কবিতা কালের হস্তাবলেপ হইতে রক্ষা পাইয়াছে তাহ হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, এই সরস্বতীপদাকাঙিক্ষণ রমণীর হৃদয়ে কবিত্বের ভাওীর ছিল। কিন্তু বড়ই আক্ষেপের বিষয় যে, এই খামাঙ্গী বিদুষীর সম্পূর্ণ রচনা বৰ্ত্তমানে আর পাওয়া যায় না । , ভটমুকুল, ধনিক প্রভৃতি গ্রন্থকারগণ বিজ্জকার কবিতা উদ্ধৃত করিয়াছেন । বিঞ্জকাকে কোথাও বিজ্জকা কোথাও বা বিদ্যা নামে অভিহিত করা হইয়াছে। কোনও কোনও পণ্ডিহেয় মতে বিজক চালুক্যবংশীয় প্রসিদ্ধ দ্বিতীয় পুলকেশীর পুত্রবধু ছিলেন। পুলকেণীর জ্যেষ্ঠ পুত্র চন্দ্রাদিত্যের রাণী বিজয়ভট্টারিকার পাণ্ডিত্যের খ্যাতি আছে ; বিজ্জকা এই নামেয় সহিতও উহার নামের কতকটা সাদৃগু আছে ; আরও উগ্ৰহণকে ঐসকল পণ্ডিতের কর্ণাটী বিজয়ী বলিয়৷ মত প্রকাশ করিয়াছেন। রাজশেখরের শাঙ্গাধর পদ্ধতিতে কর্ণাটী বিজয়ার বৈদভী রীতির প্রশংসা আছে এবং তাঁহাকে কালিম্বাসের নীচেই স্থান দেওয়া হইয়াছে । "সরস্বতীব কর্ণাটী বিজয়াঙ্কা জয়ন্ত্যসেী। शां दिग्नडी क्रिीब्रां६ दांमः कालिकांमागमछब्र६ ई" रुffüौ विझन्त्री ७ भशंब्रॉ* विल्लग्न-डॉग्लोब्रिक जटिव्र ह७ब्रां पञनखर नरश् । किजु विख्छक, भशंब्रॉबै विछब्रडद्वैब्रिक झट्टैण्ड श्रृंitब्र मां ।