পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা : প্রবাল e a عن একত্রে মিশাইয়া লইবে । মাত্রা ৩০-৬০ ফোট । ম্যালেরিয়৷ জ্বরে তুলসী পত্রের রস ১ তোলা ও আদার রস অৰ্দ্ধ তোলা ধু সহ সেবনে বেশ উপকার হয়। তুলসীর মূল পানের সহিত চিবাইয়৷ থাইলে রক্তমাশায় আরোগ্য ইয়া থাকে। কর্ণগুলে ইহার রস বিন্দু বিন্দু করিয়া প্রয়োগ করিলে ৰিশেষ উপকার 可1 রক্তপ্রস্রাব বা হিম্যাচুরিয়া রোগে তুলসীর রস চিনি সহ সেবনে তাহ নবারিত হইয় থাকে। তুলসীপত্রের রস প্রয়োগে প্রসবের পরবর্তী বেদন আরোগ্য হইয়৷ }াকে । জ্বল্পকালীন বমনে জলমিশ্ৰিত সিরাপ তুলসী অথবা মিছরীর সরবতের দহিত তুলসীপত্রের রস হিতকর । যমানী ও তুলসী নিয়মিতভাবে ব্যবহার করিলে ও বসন্তকালে প্রয়োগ করিলেও পাড়ার শাস্তি হইয় থাকে। দদ্র বা দাদ রোগে ইহার পত্র ঘর্ষণে উপকার হইতে দেখা গিয়াছে । অনেকে কাগজী বা পাতা লেবুর রসে পিষিয়া দাদে লাগাইতে বলেন। ছেলেদের হামজ্বরে তুলসীমঞ্জরী ও যোয়ান, ও আদা একত্রে বাটিয়৷ প্রয়োগ করিলে হাম বাহির হইয়া রোগী আরোগ্য হইয়া থাকে। তুলসীমঞ্জরী এক আণ, মেথি এক আন ও কুড় এক পাই ওজন করিয়৷ কিঞ্চিৎ জল দ্বার সিদ্ধ করিয়া সেই অবশিষ্ট কাথ পান করিলে হামজ্বর নিবারিত হয় । অনেক সময় তুলসীপত্র উত্তম বায়ু-নাশক হইয় অজীর্ণ, পেট-ফাপা, মনাগ্নি প্রভূতিতে উপকার করে । প্রত্যহ প্রতে তিনটি তুলসী পত্র, তিনটী গোলমরিচ একত্রে সেবন করিলে শরীরে প্রায় কোন ব্যাধি আক্রমণ করে না । বাড়ীর মধ্যে বেশী পরিমাণে তুলসী-বৃক্ষ রোপণ করিলে ম্যালেরিয়ার অী ক্রমণ হইতে অব্যাহতি পাওয়া যায় । ( স্বাস্থ্য-সমাচার, ফাস্তুন ১৩৩২ ) শ্রীরাখালচন্দ্র নাগ প্রবাল শ্ৰী সরসীবালা বস্থ তিন কেদারের গান-বাজনার দিকে ঝোক থাকলেও গৃহকৰ্ত্তার ও জিনিষটা মোটেই পছন্দসই ছিল না কাজে কাজেই কেদার বাড়ীতে মোটেই সঙ্গীতচর্চ ক’রে উঠতে পারেনি; প্রবাল এ-বিষয়ে বেশ পাকা হয়ে উঠেছিল। তার কাছ থেকে অবসর মতে কেদার একটু যা শিখতে পাৰ্বত কিন্তু কৰ্ত্ত। আবার তার বিনমুমতিতে ছেলেদের বাড়ীর বাইরে থাকা পছন্দ করতেন না। স্কুল কলেজের সময় ছাড়া সন্ধ্যার পর বাড়ীর বাইরে থাকা নিষেধ, অথচ এই সময়টাই গান বাজনার চর্চার জন্য প্রশস্ত। ছাত্রদের তী ছাড়া আর সময়ই বা কই ? বিয়ের পর থেকে হঠাৎ কৰ্ত্তার এসব কড়া আইন-কানুন শিথিল হ’য়ে যেতে লাগল । বর-বেশে মুখ দেখানোর টাকায় যখন কেদার” একটি ডোয়ার্কিনের ভালো বাজনা কিনে বসূল গৃহস্বামী একটুও প্রতিবাদ করলেন না বরং কেদারকে বললেন "প্রবালকে দিয়ে ভালো করে বাজিয়ে নাও । শেষে জুচ চুরির মাল না হয়, ও বিজ্ঞাপন ফিজ্ঞাপন কোনো কাজের না বাপু । কলকাতার লোকদের আমি হাড়ে হাড়ে চিনি।” কেদারের শয়নমন্দির ছিল দোতলার এক্কেবারে এক টেরে—তাতে কেদারের সঙ্গীত সাধনার বেশ সুবিধাই হ’য়ে গেল ; প্রবাল আবার তার ওপর রসানদিয়ে বলল “ভালই হোলোরে, কেদার, বউ এলে বউকেও শেখাতে পাবৃবি অথচ কেও জানতে পারবে না। প্রিয়ত্ৰত এসে কিন্তু কেদারের বড় বেশী খাটুনি বেড়ে গেল নিজের পড়াশুন৷ ত আছেই তার ওপর বধূর শিক্ষকতার আসন তাকে সাধ করে গ্রহণ করতে হ’লো। মোটে আখ্যান-মঞ্জরী প’ডে প্রিয়ত্রতা তার পাঠলীলা সাঙ্গ করেছে। কথার পিঠে যদি কেদার ফস্ ক’রে একটা ইংরেজী কথা কিছু ব’লে ফেলে তা হ’লেই ত সে হকচকিয়ে চেয়ে থাকে । আজকালকার দিনে এ সব বউ নিয়ে নেহাৎ হাড়ি হেঁসেলের কাজই চলে ভালো। কালিদাসের