পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] “কোন নূতন আবিষ্কার এখন পৃথিবীর সব চাইতে কাজে লাগিবে ?” “যতদিন পৰ্য্যন্ত অধুন-আবিষ্কৃত যন্ত্রগুলি ঠিকভাবে ব্যবহার করিবার মত বুদ্ধিশক্তি মানুষ না লাভ করিবে ততদিন নুতন আবিষ্কারের প্রয়োজন নাই ।” এডিসনের এ উত্তর একটু কঠোর এবং ইহার নিজের কাজের সঙ্গেও এই কথার সামঞ্জস্ত নাই কারণ তিনি এখনও পৃথিবীকে নূতন জিনিষ দিতে চেষ্টা করিতেছেন-••••• আমি মিঃ এডিসনকে তাহার বর্তমান পথ্যের কথা জিজ্ঞাসা করতে তিনি উত্তর দিলেন “আমি খুব কম পরিমাণে আহার করি। সামান্ত এক্ টুক্র রুটি হইতে যে কত অধিক পরিমাণ শক্তি পাওয় যায় ভাবিলে অবাক হইতে হয় । আর কি খাই ? দেড় গ্লাস দুধ, বড় চামচের এক চামচ তৈরী ওট ; প্রত্যেক বেলায় একটি করিয়া সার্ডিন মাছ । ওজন সমান আছে—১৮৬ পাউণ্ড ।” ঈশ্লষ্ট তাহার খাদ্য তালিক এবং তিনি দুই বেল দিনের পর দিন ইহাই গাইয়া থাকেন । প্রত্যহ নিজেকে ওজন করার তাহার এক বাতিক আছে এবং এই ওজনের কম বেশী হিসাবে তিনি পাদ্যের পরিমাণ বাড়াঙ্গয় কমাইয় থাকেন । “ব ওমানের কলেজের শিক্ষা সম্বন্ধে আপনার মত কি ?” মাতেও ফালকোনে O8S তিনি কেবলমাত্র বলিলেন, “কোনো কাজের লহে ।” তাহার গবেষণাগারে স্কুল কলেজে শিক্ষা পায় নাই এমন সব লোকদের কার্য্য ও কলেজের শিক্ষিত ছাত্রদের কার্য্য দেখিয়া তিনি কলেজের শিক্ষার বিরোধী হইয়াছেন। “স্বজনীশক্তির উৎকর্ষত লাভ করিতে হইলে যুবকদের কি করা আবখ্যক এ সম্বন্ধে আপনি কিছু উপদেশ দিন ।” এডিসন গম্ভীর ভাবে উত্তর করিলেন, “যুবকের উপদেশ চাহে না । এবং স্বজনীশক্তি পরিশ্রম দ্বার আয়ত্ত্ব করা যায় না ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “গত পঞ্চাশ বছরে মামুষের কি মানদিক ক্ষমতার উন্নতি হইয়াছে ?” তিনি বলিলেন “হা, প্রতোকজাতির ভিতর সাধু, সৎ ও বুদ্ধিমান লোকের সংখ্য অল্পে অল্পে লড়িয়া চলিয়াছে । এই সংপধিক্যই আমাদের সভ্যতার পরিমাপ ; তবে ভগবান বোধ হয় খুব ধীর উন্নতির পক্ষপাতী।” “নুতন নুতন যন্ত্র সাহায্যে, স্বয়া, সমুদ্র ও নদী এবং আণবিক-শক্তিকে করায়ত্ত করিয়া মানুষ কি চরম সাচ্ছন্দ্য লাভ করিতে পারবে ?” এডিসন উত্তর করিলেন “যস্থ আবিষ্কারের শেষ নষ্ট । মানুষের শারীরিক ক্লেশ দিনে দিনে কমিতেছে ৷”— মাতেও ফাল কোনে• ঐ মোহিতলাল মজুমদার কসি কার পেটে-ভেট্টচে বন্দর থেকে বেরিয়ে যদি উওর-পশ্চিম মুখে বরাবর ভিতর দিকে যাও, তা হ’লে মনে হবে জমিট। হঠাৎ উচু হতে আরম্ভ করেছে ; বড়-বড় পাথরের ঢিপি আর গভীর খদ’ পার হয়ে, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আঁক-বাক পথ হেঁটে যেখানে এসে পৌছবে, সেখান থেকে এক রকম জঙ্গল আরম্ভ হয়েছে— দেশী ভাষায় তাকে ‘মাৰ্কী’ বলে । যারা ভেড়া চরিয়ে দিন গুজরান করে তারাই এখানে বাস করে,আবার যারা ফেরারী আসামী তাদেরও আডড এইখানে। এরকম জঙ্গল হওয়ার একটু কারণ আছে। ও-দেশের চাষার বনে আগুন লাগিয়ে জমিতে সার দেয়। ফসল কেটে নেওয়ার পর যে-সব গাছের শিকড় মাটিতে থেকে যায়, অথচ মরে না, সেইগুলো থেকে পরের বছর মোটা-মোটা ডাল গজিয়ে কিছু কালের মধ্যেই সাত-আট ফুট উচু হয়ে ওঠে। এই রকমের

  • Tatärz-Fr Prosper Mérimées TICT. ATT অবলম্বনে ।

ঝোপ-জঙ্গলকেই ‘মাৰ্কী’ বলে। হরেক রকমের গাছ গুল্ম লতা এক সঙ্গে জড়াজড়ি করে’ এমন ঘন হয়ে ওঠে যে, একখানা দা হাতে না করে” কেউ এর ভিতর পা বাড়াতে পারে না, জায়গায়-জায়গায় ঝোপ । এত বেশি যে বুনো ছাগলও তার ভিতর ঢুকৃতে পারে না । যার মানুষ খুন করে তারাও এই ‘মাকী’তে এসে বাস করে ; একটা ভালো বন্দুক, কিছু বারুদ আর গুলি থাকৃলেই হ’ল, আর তার সঙ্গে চাই একটা লম্ব আংরাখা, আর মাথায় দেবার কাপড়—তা’তে পেতেশোওয়া আর গায়ে-ঢাকা-দেওয়া, দুই কাজই চলে । যারা ভেড়া চরায় সেই সব রাখালের দুধ, পনির আর চেষ্ট নাট ফল দিয়ে যায়। এখানে আইনের ভয় নেই, মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনও এত দূর ধাওয়া করতে পারে না। কেবল, যখন গুলি-বারুদের পুজি ফুরিয়ে যায়, তখন শহরে যেতে হ’লে একটু বিপদের ভয় আছে। আমি যখন কলিকায় ছিলাম, তখন মাতেও ফাল