পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిఏ8 তাড়াইয়াছিলেন । এরূপ মহিলা আরও অনেক গ্রামে ছিলেন, এবং সম্ভবতঃ এখনও আছেন । এই সেদিন ঢাকা জেলার শ্ৰীমতী হেমলা ডাকাতদের সহিত যুদ্ধে ভ্রাতাদিগকে উৎসাহিত করিয়া, অস্ত্র জোগাইয়া, মশাল দ্বারা আলো দেখাইয়া সরকারী পুরস্কার ও প্রশংসা পাইয়াছেন। এখন অস্ত্র-অাইন আগেকার চেয়ে কিছু সুবিধাজনক হইয়াছে । অতএব, আমাদের মনে হয়, বন্ত জস্তুর উপদ্রব যে-সব গ্রামে হইতেছে, তথায় প্রকৃত পুরুষ না থাকিলে শ্ৰীমতী হেমলার মত মহিলাদের হাতে অস্ত্র দিলে সুবিধা হইতে পারে । অস্ত্র-আইন অনুসারে অস্ত্র সংগ্ৰহ করিতে গ্রামবাসীরা না পারিলে, অন্ততঃ সকল গ্রামে প্রাপ্য কুঠার, টাঙ্গী, বর্ষ প্রভৃতি অস্ত্র গ্রামের হেমলাদের হাতে দিয়া পুরুষজাতীয় জীবের নিশ্চিন্ত মনে নিদ্রাসুখ ভোগ করিতে পারিবেন। নারীর রাষ্ট্রীয় অধিকার এপর্য্যস্ত আইন এই প্রকার ছিল, যে, যে-যে প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় পুরুষ নির্বাচকদিগের সমান যোগ্যতাবিশিষ্ট নারীদিগকে ব্যবস্থাপক-সভার সভ্য নির্বাচনের অধিকার দিবার প্রস্তাব গৃহীত হইবে, তথাকার ঐরুপ নারীরা নিৰ্ব্বাচনাধিকার পাইবেন। সম্প্রতি ভারত গবৰ্ণমেণ্ট এই নিয়ম করিয়াছেন, যে, প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় গৃহীত প্রস্তাব-অনুসারে সভ্যপদপ্রার্থী পুরুষদের সমান যোগ্যতাবিশিষ্ট নারীরাও সভ্যপদপ্রার্থী হইতে পারিবেন, এবং নিৰ্ব্বাচিত হইলে তাহারা ব্যবস্থাপক সভার সভ্যও হইতে পরিবেন। দেশের প্রকৃত ও সৰ্ব্বাঙ্গীন কল্যাণের জন্য আবশ্যক অনেক বিষয়ে পুরুষ সভ্যেরা যথেষ্ট মন দেন না। নারীরা সভ্য নির্বাচিত হইয়া অন্ততঃ এইরূপ বিষয়গুলিতে মনোযোগ করিলে তাহদের নূতন অধিকার লাভ সার্থক হইবে এবং দেশের প্রভূত কল্যাণ হইবে । বিশ্বভারতী বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠাগুলির মধ্যে বিশ্বভারতীর একটি ইংরেজী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হইল। গ্রীষ্মাবকাশের পর উহার নূতন বৎসর আরম্ভ হইবে, এবং তখন নূতন ছাত্র ও ছাত্ৰী লওয়া হইবে । শান্তিনিকেতনে ও শ্ৰীনিকেতনে শিক্ষার কিরূপ ব্যবস্থা ও স্বযোগ আছে, তাহা বিজ্ঞাপনে দৃষ্ট হইবে। তাহা আমরা স্বয়ং প্রত্যক্ষ করিয়াছি । সাধারণ শিক্ষার সহিত অন্যান্য নানুবিধ শিক্ষার বন্দোবস্তের একত্র সমাবেশ সেখানে প্রবাসী –জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড যেমন আছে, বাংলা দেশের অন্য কোথাও সেরূপ নাই । চীন, তিব্বতী, ফ্রেঞ্চ, জাৰ্ম্মান ও ইতালীয় ভাষা শিখিবার, এবং সঙ্গীত ও চিত্রবিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা শান্তিনিকেতনে আছে। গ্রন্থাগার উৎকৃষ্ট । ছাত্রীদের থাকিবার স্বতন্ত্র সুবন্দোবস্ত আছে। স্বাস্থ্য ভাল । বিজ্ঞান-শিক্ষার্থী আমেরিকানের ভারতআগমন-ইচ্ছা শুভ লক্ষণ বলিয়া এখানে একটি অতি ক্ষুদ্র ঘটনার উল্লেখ করিতেছি । ভারতবর্যের প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্র, দর্শন, সাহিত্য, শিল্প প্রভৃতির আলোচনার জন্য পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য বিদেশী পণ্ডিত ও বিদ্যার্থীদের এদেশে আগমন অনেক দিন হইতে চলিয়া আসিতেছে । কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান শিখিবার নিমিত্ত বিদেশীদের ভারত-আগমনের ইচ্ছা জগদীশচন্দ্র বস্ব মহাশয়ের বৈজ্ঞানিক আবিক্রিয়ার যশ বিদেশে বিস্তৃত হওয়ার পর উৎপন্ন হয় । অন্য কোন ভারতীয় বৈজ্ঞানিক তাহার সমান কৃতী ও যশস্বী না হইলেও, র্তাহ অপেক্ষ বয়ঃকনিষ্ঠ অন্য একজন বাঙালী বৈজ্ঞানিকের অধীন একটি শিক্ষায়তনে একজন আমেরিকান বৈজ্ঞানিক বিদ্যার্থী গবেষণার জন্য আসিতে চাহিয়াছেন । এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক বিভাগ অধ্যাপক ডাঃ নীলরতন ধরের অধীন । জার্ণ্যাল অব ফিজিক্যাল Cofitsos orgio Studies in Absorption foo অনেক প্রবন্ধ পাঠ করিয়া আমেরিকার ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যার্থী ও রাসায়নিক সহকারী লে-রয় ভি ক্লার্ক নামক একটি যুবক এলাহাবাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্ত আসিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন। ভারতবর্ষে আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চা বহু বিস্তৃত হইবার পর এরূপ সামান্ত বিষয়ের উল্লেখ অনাবশ্যক হইবে । কিন্তু এখন ইহার উল্লেখ নিম্প্রয়োজন নহে। ভারতীয় ও বৃটিশ ডাকমাশুল হ্রাসের চেষ্টা সস্তা ডাকম:শুল সভ্যতা বিস্তার ও অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের একটি প্রধান উপায়। ডাকমাশুল বৃদ্ধি করিলে যে ব্যবসাবাণিজ্য ও সভ্যতা বিস্তার কার্থ্যের প্রভূত অবনতি সাধিত হয়, একথা সৰ্ব্বজনগ্রাহ্য। ইংলণ্ডে যুদ্ধের সময় ডাক মাশুল বাড়ান হইয়াছিল, তাহার পর কিছু কমিয়াছে। বৰ্ত্তমানে বহু পুরাতন হারে চিঠি পত্র প্রেরণের বন্দোবস্ত যেন পুনৰ্ব্বার