পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مراجع প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম ও শু না। কিছু উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন অনেক চাকুরীতেই থাকে। এই সকল চাকুরীর জন্য উচ্চশিক্ষিত হিন্দু যথেষ্ট রহিয়াছে। মুসলমানের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার কম। স্বতরাং যদি জোর করিয়া কোন অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে শুধু র্তাহার ধৰ্ম্মের খাতিরে চাকুরী দিবার জন্য উপযুক্ততর ব্যক্তিকে চাকুরী না দেওয়া হয়, তাহা হইলে অতি ঘোরতর অবিচার করা হইবে । ম্যাটিকুলেশন ফেল মুসলমান চাকুরী পাইবে বলিয়া যদি হিন্দু গ্রাজুয়েট নিষ্কৰ্ম্ম বসিয়া থাকে, তাহা হইলে যে অসন্তোষের স্থষ্টি হইবে তাহাতে রাজ্যের মঙ্গল হইবে না । এই কারণে বঙ্গীয় মুসলমান পার্টির দাবী অতিশয় দূষণীয় এবং উহা অগ্রাহ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে ইংরেজ রাজের প্রজাদের পরস্পরের সহিত মনোমালিন্য ঘটাহয় রাজত্ব করার মে পস্থা আছে, সেই পন্থা অনুসারে মুসলমানের দাবী সাময়িকরূপে গ্রাহ হওয়া আশ্চর্যের বিষয় হইবে না। কিন্তু মুসলমানেরও দুয়োরাণী হইবার দিন আসিবে । চাকরী দেবার শ্রেষ্ঠ ও ন্যায্য উপায় হইতেছে সৰ্ব্বাপেক্ষ উপযুক্ত উমেদারকে চাকরী দেওয়া। এই উপযুক্ততার পরীক্ষা কি ভাবে হইবে, তাহ বিধিবদ্ধ করা হউক এবং হিন্দু, মুসলমান, দেশী খ্ৰীষ্টান, ইংরেজ সকলেই উপযুক্ততা দেখাইয়। চাকরী লউন । ফিকির করিয়া অথবা লোক-দেখান কাউন্সিলে আইন পাশ করাইয়া চাকরী লইয়। কোন ধৰ্ম্মসমাজের উন্নতি হইতে পারে না। রাষ্ট্র জনসাধারণের ধৰ্ম্মপ্রতিষ্ঠান নহে। রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ধৰ্ম্মের কথা তোলা এবং হিন্দুশাস্ত্রের অথবা মুসলমানের কোরানের নূতন সংস্করণ আইন পাশ করিয়া প্রচার কর। এক ধরণের কথা । ধৰ্ম্মসমাজ ও রাষ্ট্র আজ বহু কাল হইতে সভ্যজগতে পরস্পর বিচ্ছিন্নরূপে রহিয়াছে। এই বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে যাওয়া উন্নতির পথ ত্যাগ করিয়া অবনতির পথ অবলম্বন করার সামিল । ষে সকল স্বাধীন জীবিকা অবলম্বন করিতে হইলে শিক্ষা ও শক্তির বিশেষ প্রয়োজন হয় ও যে সকল জীবিকাতে হিন্দুগণের চাল চালিয়া সক্ষম হইবার কোনই সম্ভাবনা নাই, সে সকল জীবিকাতে দেখা যায় যে, হিন্দুগণেরই প্রাধান্ত । ইহাতে মুসলমানদিগের তুলনামূলক অক্ষমতা ব্যতীত আর কি প্রমাণ হয় ? নিম্নের তালিকা হইতে একথার সত্যতা প্রমাণ হইবে। জীবিকা হিন্দু মুসলমান ডাক্তারী কবিরাজী ও হাকিমী ১,৪১,৩২৫ ৩৪,৭১৮ আইন · 4e ,נטר é,७०२ ধৰ্ম্মযাজকতা ۹,هt,8 • ف se,ہیاج ہ সুতরাং দেখা যাইতেছে, শক্তি, সামর্থ্য ও ন্যায্য প্রতিযোগিতায় মুসলমানগণ হিন্দু অপেক্ষ অনেক কম সক্ষমতা দেখাইয়াছেন। এ ক্ষেত্রে তাহাদের আবদার করিয়া কাজ হাসিল করিকার চেষ্টা করা কপনও উচিত নহে। অধিকতম উপযুক্ততা দেখাইয়। যদি তাহারা বাংলার সকল চাকুরী ও সকল সম্পদের অধিকারী হন, তাহাতে কেহ আপত্তি করিবে না। করিলে তাহাকে হিংসুক ও দুষ্ট অপবাদ দেওয়া ন্যায়সঙ্গত হইবে। শুধু সংখ্যাধিক্য দ্বারা অধিকার বিচার চেষ্টা নিৰ্ব্বদ্ধিতার পরিচায়ক। হিন্দুদের মত মুসলমানদিগের নিজেদের ভিতরেও নিরক্ষর মুখের সংখ্যায় সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক, এবং তজ্জন্য তাহাদিগকে যদি অধিকসংখ্যক চাকুরী দেওয়া হয় ও মুসলমান গ্রাজুয়েটদিগকে বেকার বসাইয়া রাখা হয়, তাহ হইলে সম্ভবতঃ স্বয়ং স্যর আবদার রহিমও এরূপ ব্যবস্থার বিরুদ্ধবাদ করিবেন । হাইকোর্টের কৰ্ম্মচারী নিয়োগ ক্ষমতা বঙ্গীয় মুসলমান পার্টি চান যে, হাইকোর্টের উপর যেন আর মুন্সেফ প্রভৃতি নিয়োগ বা বিচার ব্যতীত অপর কোন কার্য্যের ভার না থাকে । ইহার অর্থ এই, যে, হাইকোর্টের বিচারকগণ মুন্সেফাদির নিয়োগকাৰ্য্য করিতে অক্ষম । ( অথবা তাহার কৰ্ম্মচারী নিয়োগ করিলে তাহীদের বিচার করার অভ্যাসের ফলে অপেক্ষাকৃত অনুপযুক্ত মুসলমানগণের অধিক চাকুরী লাভ অদৃষ্টে ঘটিবে না ) । যদি হাইকোটের জজের মুন্সফ প্রভৃতি যথাযথ মনোনীত করিতে না পারেন, তাহা হইলে কে পরিবে ? অতঃপর সম্ভবত মুসলমানগণ বলিবেন, যে, পুলিশ কমিশনারের দ্বারা শিক্ষা বিভাগের ও আবগারী বিভাগ দ্বারা জজ ও মুনসেফগণের নিয়োগ কাৰ্য্য সাধিত হইবে । পশুচিকিৎসা বিভাগ হইতে ইঞ্জিনিয়ারদিগের ও হাইকোর্টের জজদিগের নিয়োগ হইলে আরও উত্তম হইবে । এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য হইবে খিলাফত কমিটির হস্তে গভর্ণমেণ্টের ভার অর্পণ করিয়া সকলে বিদায় গ্রহণ করিলে । বাংলায় মুসলমান বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বাংলায় একটি মুসলমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিপক্ষে । আমরা কোম প্রকার ধৰ্ম্মসমাজসংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ইহা চাই না । অবশু এইরূপ