পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশচন্দ্র বসুর পত্রাবলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লিখিত ( SS ) কলিকত ২১এ জুন, ১৯ • । 受牙&ー আমি তরঙ্গরেখার বি-বিন্দুর অধস্তম স্থান অধিকার করিয়া আছি। সুতরাং এরূপ অবস্থায় তরঙ্গের প্রভাব দূরে প্রেরণ করিতে ইতস্ততঃ করিতেছিলাম। ইচ্ছ। ইষ্টতেছিল, কোন প্রকারে এই অবস্থা দূর করি। বিলাত ইষ্টতে এখনও কোন খবর আসে নাই। দিব দিব করিয়৷ আর কয়দিন দেরী করিলেই আমার পারিসে যাওয়া না যাওয়৷ তুল্য। আমার প্রবন্ধ পড়িতে হইলে অন্তত: একম! সু পূৰ্ব্বে দিন স্থির করিতে হয়, নতুবা শেষ অবস্থায় সময় কোন প্রকারে পাওয়া যায় না। আপনি এসম্বন্ধে ত্রিশঙ্কুর স্বর্গগমন বলিয়া একটি কবিতা লিপূিবেন। স্বর্গ ও মৰ্ব্যের মাঝখানে থাকা অতিশয় স্বারামজনক । সে যাহা হউক, আপনার ও অঞ্চলে ২১ দিন যাইয়া স্নস্থ মন লষ্টয়া আসিতে অতিশয় ইচ্ছা হয় । পুরীর বর্ণনা শুনিয়া আমার মন সেখানে আছে। সমুদ্রগর্জন ও বাতাস ও ঢেউ আমাকে ঘেরিয়া আছে। এই কীর্ণ নগর ত্যাগ করিয়া প্রকৃতির মধ্যে নিজকে হারাতে চাহি । আপনার পুস্তক কবে বাহির হইবে ? দেরী হইলে তের লেখার পাতা পাঠাইবেন । সেইরূপ আরও অনেকগুলি গ্রাম্য কবিতা চাই । - আপনার শ্ৰী জগদীশচন্দ্র বস্থ পুঃ –লোকেনের কোন খবর পাওয়া গেল ? ( s२ ) ১৩৯ নং ধৰ্ম্মতল স্ট্রট শনিবার। সদ্বরেষু— উপরের ঠিকানা হইতে বুঝিতে পারিয়াছেন, যে, iffম পলাতক—প্লেগের অনুগ্রহে। আমার একজন ভৃত্য ছুটী লইয়। একদিন বড়বাজার গিয়াছিল । সেখান হইতে আসিয়া একদিন পরেই প্লেগ হয়। আর ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু বাড়ী ছাড়িয়া আসিয়া উক্ত ঠিকানায় আছি—কতদিন পলায়ন চলিবে জানি না। আমার কেমন মনে হইতেছে যে, কাগজগুলি লেখা শেষ হইল না। এখানে থাকিলে লেবরেটরীতে না আসিয়া থাকিতে পারি না, সুতরাং লিখিবার সময় পাই না । এজন্য মনে করিতেছিলাম, যে, দিন চার জন্য আপনাদের ওখানে থাকিয়৷ অন্ততঃ লেখাট। শেষ করিব । মঙ্গলবার কলেজ হইয়া তারপর সোমবার পর্য্যন্ত ছুটী । আপনি যদি থাকেন তবে আসিতে চেষ্টা করিব। লোকেনকে খবর দিয়া আনিতে পরিবেন কি ? আপনার শ্ৰী জগদীশচন্দ্র বন্ধ ( ১৩ ) ১৩৯ ধৰ্ম্মতলা ২৯এ জুন, ১৯ • • । সুহৃং— সেক্রেটারী অব ষ্টেটের মঞ্জর টেলিগ্রাম পাইয়াছি । আমাকে সত্বরেই রওয়ান হইতে হইবে। হয়ত এই বৃহস্পতিবার কিম্ব তার পরের বৃহস্পতিবার। পরে জানাইব । সম্মুখে অনেক আশা ও নৈরাশ্বের কারণ আছে । দেশ ছাড়িয়া বাইতেছি বলিয়। অবসাদে মন আক্রান্ত । এ সময়ে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাব চলিয়া চায়। কখনও মহীয়সী মাতৃদেবীর অনুজ্ঞা শুনিতে পাই । তাহীর ভূত্য পদধূলি মস্তকে লইয়া যাত্র করিবে । আপনার! আশীৰ্ব্বাদ করুন, ভৃত্য যেন কায়মনোবাক্যে সেবা করিতে পারে, তাহার ক্ষুদ্র শক্তি যেন বৰ্দ্ধিত হয় । তিনি যদি এই অধমকে ডাকিয়া থাকেন, তবে কি করিয়া সে কৃতজ্ঞতা