পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

س9g\8 এবং তাঙ্গ সঞ্জিয় সকলকে দেপাইতেন। শৈশবে এইরূপে তাহার কল্পনাবৃত্তি খোরাপ পাইয় প্রসারতা লাভ করিয়াছিল । ছেলেবেলায় তাহার অlর একটি খেল ছিল । তিনি বাড়ীর সকলকে নিমন্থণ করিয়া পাওয়াইতেন । পিতার নিকট হইতে টীক চাহিয়া খাবারের যোগাড় করিতেন । "1রপর পাইয়ু বলিতেন, ‘ম! তোমার নেমশ্বর,’ ‘পিসিম তোমার নেমস্কন্ন’ চাকর দাসীরা ও নিমস্থিত হইত এবং সকলেই আহাৰ্য্য হইতে অশ পাইত । এবিষয়ে শিশু সত্যেদের গিন্নিপনা ও উদারত অতুলনীয় ছিল । রচিত পুরাণে স্মৃতিতে’ ફેફ সংে ন্দ্রনাথের পিসিমার “আমার জন্ম ভূমি’ কবিতাটি সরল সৌন্দধ্যে ভর । সত্যেন্দ্রনাথের পিতৃভূমি চুপী গ্রাম লক্ষ্য করিয়া লেখ । দুই চারিটি ছত্র এই দীর্ঘ কবিত৷ তই ই তুলিয়— দিলাম।— · চৈ 2ত্যুের জন্মস্থান সেই যে নদীয় ধাম টুপী গাম ছিল ১tর কাছে : এমন শাপ্তির স্থান নহে বুঝি কোনও গ্রাম লগী দলী স তত বিরাঞ্জে । গ্রামবাসীর বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় কবি লিপিয়াছেন— ল। চাহে পরের ধৰ্ম্ম, না করে পরের কৰ্ম্ম, আপনার বৃত্তি লয়ে থাকে : স্বীলৈকের রীতি নীতি কুলবধু স্ব প্রকৃতি বালিকার শিক্ষ। সেই থেকে । সেই চুপী গ্রাম গঙ্গা-গর্ভে লুপ্ত হইয়াছে। গঙ্গা চুপী গ্রাম ভাঙ্গিয়া লইতেছেন— দত্তদের সিংহদ্বার বিপুল পৰ্ব্বতাকার আলসই হ’ল মুহূত্তে কে, দেউল প্রাচীব আদি প্রসাদ অমরাবতী দিনে দিনে দলে গেল ঢেকে । চুপী গ্রাম হল নাশ– গঙ্গার গর্ভেতে বাস লুপ্ত হ’ল মম জন্মস্থান, ধ্বংস হল কত জীব অস্ত ধান বুড়া শিব ( গ্রামের বিগ্রহ ) জাহ্নবীর বাড়াইতে মান । প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড কবিতাটির শেষ ক’টি ছত্ৰ— তামার সে জন্মভূমি জগতে প্রধান, আমার সে জন্মভূমি স্বরগীয় স্থান, নদায়ার সহোদর। পুণ্য চুপীগ্রাম— শত কোটা তারপদে করি যে প্রণাম। জন্মভূমি মহিয়সী। পুর্গাদপি গরিয়সী প্ৰণিপাত চরণে তোমার । ঘদি পুল জন্ম ঘটে, চুপী গ্রাম গঙ্গা-তটে জন্ম যেন লভি পুনৰ্ব্বার । সে কালের ঘরোয় লেখাপড়া-জানা মেয়ের পক্ষে এ-কবিতা লেখা সামান্য কতিত্ব নয় । সত্যেন্দ্রনাথের প্রসঙ্গে এই ছত্রগুলি তুলিয়া দিবার প্রধান সার্থকতা এই যে, সত্যে দ্রনাথ যে কবিহদয়ের সংস্পশে শৈশব কাটাইয়াছিলেন তাহার পরিচয় ইহাতে পাই । দেখ গেল সত্যেন্দ্রনাথ শৈশবে তাঙ্গার পিসিমার - তাঙ্গর মতি। ৬ মেনকামুন্দরীর দ্বারা প্রভাবিত হইয়াছিলেন । ইহার পবই তাহার পিসতুত দুই ভাইএর প্রভাব সত্যেন্দ্রনাথের উপরে পড়ে। ‘অশপাথারে’র ভূমিকায় সত্যেন্দ্রনাথ তাহার দুই পিসতুত ভাই শ্ৰীযুক্ত পূৰ্ণচন্দ্র ঘোষ ও শীঘূক্ত প্রকাশচন্দ্র ঘোষের পরিচয় দিয়াছেন । সত্যেন্দ্রনাথের পরলোক গমনের পর তাহার মাতুল শীঘুক্ত কালীচরণ মিত্র যে-প্রবন্ধ লিখেন (প্রবাসী, শ্রাবণ, ১৩২৯) তাহীতেও পূর্ণচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্রের নাম উল্লেখ করিয়! লিখিয়াছেল-- ‘বালকের আমুরোধে প্রকাশচন্দ্রকে নিত্যই হয় এক নুতন ক্ষুদ্র কবিতা লিখিয়া, নয় একখান ছবি আঁকিয় দিতে হইত । নিজস্ব সম্পত্তি ভাবিয়া বালক তাহা লইয় গৃহ-প্রাঙ্গণ আনন্দ-মুখরিত করিয়া তুলিত। পূৰ্ণচন্দ্র বালক সত্যেন্দ্রের প্রথম শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন ।” পূর্ণচন্দ্র গত যুগের সামযিক পত্রাদিতে বিশেষত সাহিত্য-কল্পদ্রুম, অনুসন্ধান প্রভৃতিতে বহু রচনা প্রকাশ করিয়াছেন ।