পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] তাহার অম্বুজ প্রকাশচন্দ্র এখন মধ্য-প্রদেশে আকোলায় জজিয়তী করেন। প্রকাশচন্দ্রের বয়স যখন সাল সতেরো বছর মাত্র তখন রমণী’ নাম দিয়া একটি বড় কবিতা ক্ষুদ্র বই আকারে ছাপিয়াছিলেন । কবিতার বইটি ছোট হইলেও মাধুয্যে অনেক স্থলে আমাদের দেশের শ্ৰেষ্ঠ কবি ভার যোগ্য আসন পাইবার অধিকারী । এবং পড়িবার সময় অনেক স্থানেই মনে হয় যে, লেখক নিশ্চয়ই পরিণত বয়স্ক । কিন্তু সত্যেন্দ্রনাথের পিসিমা ( প্রকাশ সদের জননী ) বলিয়াছেন, “তখন প্রকাশের বয়স যোল *হেরে বছরের বেশী নয়। কবিতাটির ছ এগুলি অনেক স্থানে শান্ত গরায়ান ও শ্রীসম্পন্ন। কিশোর-কবি প্রকাশচন্দ্র গেষ্ট ক্ষুদ্র কবিতা পুস্তিকার উপহারে লিথিয়াছেন— আtধ আলো আধ ছায়৷ মনের মতন কায়া, প্রেমের মতন মধু মণ, প্লমণি, তোমার ছবি যতনে একেছে কবি, দেখ দেখি ফুটেছে কেমন । তষ্ঠার পর ‘রমণী’ কবিতাটির সারস্থ হইয়াছে এ (-- 秀 ধরণ নয়ন-মণি রমণী রতন, কেমনে বুলিব তুমি যে কি ! কণ্টকী-লতিকা-কেলে কুসুম শোভন,— দাড়াও নয়ন ভরে দেপি! ইহার পর কয়েকটি ছত্র পাঠে মনে হয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ও প্রথিতযশা কবির লেখনী হইতে বাহির হইলে ও তাহার অগৌরব হুইত না । কিশোর কবি রমণীকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন,— তোম। ধ্রুব তার ধ্যালে বাঙ্গি প্রেম-তরী, তব স্থতি কবিতার ভাম| ৷ যখন মানসে আনি ও yধ প্রতিমাখনি কুগুমিত সমীর সাজে, সুখদ বসন্ত জাগে সদয়ের মাঝে ! আর একস্থানে— সৌন্দর্যের পূজা করি, সৌন্দধের দাস, সৌন্দর্ধ্য এ হৃদয়ের ধান, তাহারে নয়নে রাখি মত্ত বার মাস, মত্ত তাই উন্মাদের গান ! ఫి 棗 is সত্যেন্দ্র-প্রসঙ্গ 8లిసి কিশোৰ কবি যুক্তিতর্কেরও অবতারণা করিয়াছেন— রাপের কারণ যদি হাদয় চঞ্চল, রূপহীনে কেন পূজি তবে : ঘেীবন করিত যদি পরাণ পাগল অযৌবনে স্নেহ কেন রবে ? 率 岑 কবি ভক্তের ন্যায়ু তন্ময় হইয়। রমণীকে পূজার অর্ঘ্য সে ছত্ৰ কয়টি সুন্দর ও নিৰ্ম্মল — স্নেহময়ী, শুভানন, বলহীর বিভূষণ, ধর তুলি প্রেমের মৃরতি, বিদগ্ধা করক ধরা ও পদে অlরতি । • শেষের দিকে কয়েকটি লাইন উঠাইয়া দিয়া চহা শেষ করিলাম। এ কয়েকটি ছত্র এত উপভোগ্য যে, পাঠকের চি ও সরসতায় ভরিয়া ওঠে— তুমি য{ও দরে দরে নাম ধ’রে ডেকে ধীরে ধীরে বাজাইয়। বঁাশী, আমরাও পায় পায় চলি একে একে বঁশী-গানে আপল। উদাসী । দান করিতেন ।

সবশেষের চার ছত্ৰ— যতন করিয়ে আমি আঁকি তব ছবিখনি, তুমি তাহে ঢেলে দাও প্রাণ । প্রাণময়ী ধরণ ত উক পেমগান ৷ সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, সত্যেন্দ্রনাথ স্ববিখ্যাত পিতামঠের পৌত্র হইয়। তাহার নিকট হইতে কিংবা পিতার নিকট গুইতে বিশেষ কোন ও প্রেরণ না পাইলেও তাহার পারিপাশ্বিক অবস্থা ও সঙ্গ এমন ছিল যাহার দ্বারা তাঙ্গর সহজাত কবিত্বশক্তির উন্মেষ হইয়াছিল । এবং উত্তর কালে সেই শক্তি সথেষ্ট প্রখরতা লাভ করিয়া বিমল জ্যোতি বিস্তার করিয়ছিল । সত্যেন্দ্রনাথের দান শুধু বৰ্ত্তমানকে নয়, অনাগত ভবিষ্যতকে আপন করিয়া লইয়াছে। কবিগুরুর ভাষায়— অনাগত যুগের সাথেও ছন্দে ছন্দে নানা সত্রে বেঁধে গেলে বন্ধুত্বের ডোর, গ্রন্থি দিলে চিন্ময় বন্ধনে, হে তরুণ বন্ধু মোর, সত্যের পূজারি !