পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGI হইতে দ্বৈতে গিয়াছেন, এক চণ্ডীদাসের স্থানে দুই চণ্ডীদাস কল্পনা করিয়াছেন। কিন্তু দৈব ঘটনার ও গণিত আছে, এবং সে গণিত বলে বাসলী-পূজক, বড়ু, সঙ্গীসংবাদ, পদ, কত, চণ্ডীদাস নামধারী, বাকুড় বীরভূম অঞ্চলে, দুষ্ট ব্যক্তির থাক অসম্ভব । দুই কালে ধরিলেগু প্রায় অসম্ভব । ছাতন ও নান্ন রে ঋজ রেখায় ব্যবধান প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৬৪ মাইল ; দূর নইলে দুইজনে মিলিয়া যাইতে পারিতেন । * শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায়

  • এই মন্তব্য লিপিবার পর বাসলীর মন্দিরাদির ফটো লইতে ছাতন আবার গিয়াছিলাম। এবার চণ্ডীদাসের পিতামাতার নাম, তাঙ্গার কাল সম্বন্ধে এক প্রাচীন লিখিত প্রমাণ পাইয়াছি । সে প্রমাণ এখন বিচারাধীন আছে । পরে প্রকাশ করা যাইবে ।

করিম শ্ৰী গোপাল হালদার কিছুতেই কিছু হইল না--দায়রার জঞ্জ করিমের কম করিয়া তিন বৎসর জেলের হুকুম দিয়া বসিলেন । করিম বুঝিল না, এ কি করিয়া সম্ভব হইতে পারে । তাঙ্গার অপরাধ সে জানিত । সে রাত্রিতে গোপনে তার প্রতিবেশী গোলাম কাদের মিঞার প্রকাও পুকুর হইতে জাল ফেলিয়। মাছ চুরি করিতে গিয়াছিল । তা এমন একটা কিছু ভয়ানক অপরাধ বলিয়। সে অন্তত মনে করিতে পারিল না। সে অবাক হইল ভাবিয়া, যে, কি করিয়৷ গোলাম কাদের সাহেব তাহার নামে একটা মিথ্য •{{লিশ আনিতে পারিলেন । মিঞা সাহেব তাহাদের অঞ্চলের একমাত্র তালুকদার, তিনি ভদ্র এবং বড়-মানুষ, তার পর দুই বৎসর আগে দ্বিতীয় বার ‘হজ’ করিয়া আসিয়াছেন, তিনি কিন। অকুষ্ঠিত চিত্তে সমস্ত আদালতের মাঝখানে বলিয় গেলেন যে, করিম গভীর রাত্রে তার জেনানায় ঢুকিয়াছিল একটা অসদভিপ্রায় চরিতার্থ করার জন্য । অন্তত, এত বড় পরিবারের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ও তার এরূপ একটা মিথ্য অপবাদের আশ্রয় নেওয়৷ উচিত হয় নাই । তার পরে হাজী সাহেবের ওই প্রধান বাদিট। কি মিথ্যাটাই না বলিল করিম নাকি তৃতীয় বিবি সাহেবের কাছে কি সব বিশ্ৰী প্রস্তাব পেশ করিবার জন্য তাহাকে কতদিন কত লোভ দেখাইয়াছে, ফুসলাইয়াছে এবং ভয় দেখাইয়াছে ! করিম ভাবিল আর আবক্ হুইল, কি করিয়। এসব কথ। এবাদিট। বলিতে পারিল । কতদিন সে একে তার বিবি সাথিনার কাছে বসিয়া থাকিতে দেখিয়াছে, কতদিন সাখিন। তাহাকে আদর করিয়৷ কত জিনিস থাইতে দিয়াছে । আর সে কিন আজ এমন সব মিথ্য কথা বানাইয়। বলিয়। গেল । কিন্তু, সবচেয়ে তার রাগ হইল যখন সে হাজী সাহেবের মহুরী মামুদকে সাক্ষীর কাঠ-গড়ায় উঠিতে দেপিল । তাহার মাথায় একেবারে আগুন জলিয়৷ উঠিল । পারিলে সে ছুটিয়া যাইয়৷ সেই মুহূৰ্ত্তেই মামুদের টুটি চাপিয়া ধরিত। বজাত লোকট। তাহাকে বলিয়াছিল কিনা সাখিনাকে তালাক দিতে ! তার অপরাধ সে গরীব আর সাথিন সুন্দরী এবং যুবতী । তিন-তিনবার সে টাকার লোভ দেখাইয় তাহাকে এমনি করিয়া অপমানিত করিয়াছে । শেষবারে যখন করিম তাকে মারিতে উঠিয়াছিল, তখন মামুদ চুপ করিয়া উঠিয়া যাইবার সময় বলিয়৷ গেল, “এর মজাও টের পাবি "-—করিমের এসব কথা মনে পড়িল, আর সে একেবারে জলিয়। উঠিল। রোষে, ক্ষোভে এবং প্রতিহিংসায় উন্মত্ত হইয়া সে শুনিলই না মামুদ কি সাক্ষী দিল । কিন্তু তবু করিম হাকিমের সামনে মামুদের এই লজ্জাকর প্রস্তাবের কথাটা মুখ ফুটিয়া বলিতে পারিল না। তার বিশ্বাস এতে তার এবং সাখিনার দু’জনারই অপমান /*。