পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&loe প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড চাৰী তা তীর ও কিছু কিছু জাৰ্ম্মান শিথিয়াছে। সেই জাৰ্ম্মানের জোরেই পল্লী পৰ্য্যবেক্ষণ করা সম্ভব হইতেছে। যদি “বোন জ্যোর্ণো”র বদলে “গুটেন টাগ” বলে তাঃ। হইলে সেই জাৰ্ম্মান পরিবারের ভিটে মাটি উচ্ছন্ন হইবাব বোল্‌জানো বা বোল্ৎসানে (আসল জাৰ্ম্মান নাম বোৎসেল) ইতালিয়ান গবমেণ্ট ত্রেস্তিনোকে পুরাপুরি ইতালিয়ান আদর্শে গড়িয়া তুলিবার জন্য হয়রাণ। আজ অমুক “জাতীয় উৎসব, কাল অমুক স্বদেশ-সেবকের জন্মতিথি, পরশু অষ্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে অমুক লড়াইয়ের ঘোষণা দিবস, অথবা অমুক দিন অমুক শহরে ইতালিয়ান পণ্টন প্রবেশ করিয়াছে, এইসবের স্মৃতি-রক্ষার জন্য “রাষ্ট্ৰয়” পালাপাৰ্ব্বণ যৎপরোনাস্তি । রোজই পল্লীতে পল্লীতে একট|মা-একটা কাণ্ড উপলক্ষে “জাতীয়” পতাকা উড়িতেছে অধিকন্তু কালে। কুৰ্বাপর ফাসিষ্ট যুবাদের ঘন ঘন গতিবিধি এবং সর্দারি লাগিয়াই আছে । ( , ) জাৰ্ম্মান ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ইতালিয়ান গবমেণ্টের “খাটি স্বদেশী” ইতালি সেবকদের এবং ফাসিষ্ট-সমিতির পাণ্ডাদের জুলুম খুব বেশী । গোট। ত্রেন্তিনে প্রদেশের লোক-সংখ্যা প্রায় সাত লtখ হইবে । তাহার ভিতর গাটি ইতালিয়ান নরনারী মাত্র চার লাখ । অপর তিন লাখ লোক রক্তে ভাষায়ু চেহারায় মায় চলের রঙে অষ্টিয়ান অর্থাং জাৰ্ম্মান। v. এই জাৰ্ম্মান রক্তওয়াল নরনারীদের উপর ইতালিয়ান দের হামলা এই পাঁচ বৎসরেও থামে নাই। কোনো - ইতালিয়ানের সঙ্গে রাস্তায় ঘাটে দেখা হইলে অভিবাদন রিবার সময় কোনো জাৰ্ম্মান পুরুষ বা স্বী ভুলিয়া হঠাৎ ঝুল| রেল ( বোল্‌জানে ) আশঙ্কা আছে। মারপিট, রক্তারক্তি, লুটপাট অনেক হইয়া গিয়াছে। জাৰ্ম্মানরা ভয়ে জড়সড় হুইয়া চব্বিশ ঘণ্টা মুমূধু ভাবে জীবন ধারণ করে । ভারত-সস্থানের পক্ষে এ এক নতুন দৃশু, কিন্তু “ঘাগী” গোলাম ভাঙ্গ গোলমদের জীবন-কথা বিনা বাক্য-ব্যয়েই বুঝি। লইতেছে। অষ্টিয়ানরা এতদিন ইতালিয়ানদের ঘাড়ে চাপির বসিয়াছিল। ১৯১৯ সাল হইতে আজ পর্য্যন্ত সেই পাপেব প্রায়শ্চিন্ত চলিতেছে । শাস্ত্রেই আছে “চক্রবং, পপি বৰ্ত্তন্তে” ইত্যাদি। প্রতিহিংসা লওয়া “মাতুম” মাত্রে স্বধৰ্ম্ম । (σ) পাহাড়-ভ্রমণের এক নয়। পস্থা আবিষ্কার করিয়াছি ঘণ্টা-পাচেকের বেশী একটানে রেলে চল বেকুকি আধাদিন রেলে কাটাইয়া আধাদিন রাখাল কিষাণদের সঙ্গে হামদদি চালানোই প্রকৃষ্ট পন্থা। রাত্রিযাপন । যথাস্থানে তৃতীয় শ্রেণীর মোসাফির,—বলাই বাহুল্য । র' দুইচার টুকরা, কিছু মাখন আর বড় জোর দুএকটা ডি সিদ্ধ পথের সম্বল। মাঠে মাঠে ফলের ত অভাব নাই-ই আর দুধের জন্য ভাবনাই বা কি ? “ওমা, আমার .ে ভাই তারা সবাই তোমার রাখাল তোমার চাষী ’ একদিন “আলবের্গোয়” বসিয়া “রিজক্তে|” ভj i খাইতেছি। তিনটি অষ্টিয়ান যুবা আসিয়া হাজির ৷ ইহা ।