পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০২ কারকের দ্রুত করুক ; আর ব্যবহার কৰ্ত্তার ধীরে করুক। তাহা হইলে ধন সৰ্ব্বদাই পৰ্য্যাপ্ত হইবে । মানব-প্রেমিক ধন ব্যবহার করেন আপনাকে উন্নত করিবার জন্য ; –অপ্রেমিক আপনাকে নিয়োজিত করেন ধন সংগ্রহের জন্য । ২১ । এরূপ কথনে হয় না যে, উচ্চতনের ( অর্থাৎ র্যাহারা উপরে আছেন ) মানবতা ভালবাসেন, এবং নিম্নতনের ন্যায়পরায়ণতা ভালবাসে নাই । এরূপ কখনো হয় না ষে, ( লোকে ) ন্যায়পরায়ণতা ভালবাসে ও তাহাঁদের কার্য্য সুসম্পন্ন হয় নাই । এরুপ কখনো হয় নাই যে, ( লোকের ) কোষ ও আয়ুধাগারের ঐশ্বর্যা, র্তাহার ( সম্রাটের ) ঐশ্বৰ্য্য হয় নাই । ২২। 'মঙ্গ-ই সিএন-এস্ বলিয়াছিলেন, “ধে অশ্ব ও যান রাথে সে মুরগীর ও শয়রের ছানা পালে না ; যে পরিবারে বরফ রাখে ( রাজ্যের বড় কৰ্ম্মচারীরা অস্ত্যেষ্টিক্রিয় ও পূজাদির জন্য ভাণ্ডারে বরফ সঞ্চয় করিতেন ) তাহারা গোরু ও ছাগ রাখে না ; ঘে-পরিবারে শত যান ( রথ ) আছে, তাহারা সংগ্রাহক লোভী মস্ত্রী রাখিবে না ; २ ० ॥ প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড লোভী মন্ত্রী রাখিবার চেয়ে ডাকাত-মন্ত্রী রাখা ভাল।” ( সেইজন্য ) বাকে বলা হইয়াছে যে “রাজ্যে লাভকে লাভ (সমৃদ্ধি) বলিয়া বিবেচনা করিও না ; ন্যায়পরায়ণতাকেই লাভ বলিয়া বিবেচনা করিবে ।” ২৩। রাজ্যবৃদ্ধ ( শাসক ) যখন অর্থ-সংগ্রহে আবিষ্ট হন, তিনি নিশ্চয়ই ইৗনব্যক্তির ( দ্বারা পরিচালিত হন ) । তিনি তাহাকে ( হীনব্যক্তিকে ) সৎ বিবেচনা করেন ; হীনব্যক্তি যখন রাজ্যপবিচালনা করেন, ( দৈব ) বিপদ, ( মানবীয় ) উৎপাত উভয়ই আসে। সংলোক আসিলেও ( তাহার স্থানে ) কিছুই করিতে পারে না । ( সেই জন্য ) বলা হইয়াছে, “রাজ্যে লাভকে লাভ (সমৃদ্ধি) বলিয়৷ বিবেচনা করিবে না। হ্যায়পরায়ণতাতেই লাভ বলিয়৷ বিবেচনা করিবে ।” [ মহা-শিক্ষার দশম পরিচ্ছেদ রাজ্যশাসন ও কিরূপে রাজ্য সুখ- ও শাস্থিপূর্ণ করিতে হয়—তাহাই ব্যাখ্য করিয়াছে । ] মহাশিক্ষা সমাপ আকাশ-বাসর শ্ৰী সজনীকান্ত দাস ললিতমোহনের শরীর ভাঙিয়া পড়িয়াছে ; এই অল্প বয়সেই কপালে ও চুলে বাৰ্দ্ধক্য দেপা দিয়াছে। বেচারা অনেক আশা করিয়াছিল ; কল্পনার রঙীন স্বপ্নে অনেক আকাশ-কুসুম, রচনা করিয়াছিল, কিন্তু এখন পর্য্যস্ত হতাশাই তাহার ভাগ্যে জুটিয়াছে। আশার ক্ষীণালোক তাহার মনে এখনো ধিকিধিকি জলিতেছে,—স্ত্রী অশোকার সহানুভূতি ও প্রীতি পাইলে সে এই ভগ্ন শরীরেই একবার উঠিয়া-পড়িয়া লাগিতে পারে। তাহার আন্তরিক বিশ্বাস যে, অশোক যদি এমন করিয়া তাহার প্রত্যেক কাজে বিরক্তি না দেখাইয়া তাহাকে সামান্ত মাত্র উৎসাহও দেয়, তাহা হইলে সে বাহিরের সমস্ত অনাদর অকাতরে সহ করিয়া এখনও সবলে মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পারে। কিন্তু, বেচারার ভাগ্যে এতটুকু উৎসাহ-বাক্যও আজ পৰ্য্যস্ত জটিল না । আজ পাচ বংসর হইল সে সসম্মানে এম্-এ পাশ করিয়াছে ; একটু চেষ্টা করিলেই প্রফেসারী হউক কি মাষ্টারী হউক কিছু-একটা ভালো চাকুরী সে সহজেই জুটাইয়া লইতে পারিত, কিন্তু সে তাহ করে নাই। কাব্য-সরস্বতী তাহার স্বন্ধে বহুদিন হইল ভর করিয়াছেন। বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সরস্বতীকে তাহার