পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ს»&ს” প্রবাসী-ভাদে, ১৩৩e [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমাদের মন্তব্য প্রাচ্যে বৃটিশজাতি যে নিজের প্রভুত্ব হারাইতে বসিয়াছে একথা অবশু সত্য। ইহার কারণ শুধু উক্ত জাতির দোষই নহে; প্রাচ্যের নবজাগরণ ও জগৎসভ্যতার ক্রমবিকাশও এই এক জাতির দ্বারা অন্যান্য বহুজাতির উপর প্রভুত্বের বিরুদ্ধে দাড়াইতেছে। উপরে আমরা যে-সকল কথা জাপানী কাগজ হইতে সংগ্ৰহ করিয়৷ দিলাম তাহা হইতে আরও কয়েকটি কথা মনে হয় । প্রথম কথা এই যে, চীনের উপর প্রভুত্ব লইয়া জাপানে ও বৃটেনে খুব রেঞ্জারেশি চলিতেছে এবং সম্ভবতঃ উভয়ে উভয়কে ঘায়েল করিয়া লাভবান হইবার চেষ্টা করিতেছে । দ্বিতীয়তঃ চীনের বৃটিশ-বিরুদ্ধতার মূলে কতট রুশিয়ার কাৰ্য্য আছে আর কতটা জাপানী ষড়যন্ত্র আছে তাহ বলা শক্ত । চীনের বৃটিশ ও অন্যান্য পাশ্চাত্য জাতির উপর খাপ্পী হইলে, লাভ রুশিয়া অপেক্ষা জাপানের অধিক হইবে ; স্বতরাং চীনের বৃটিশ-বিদ্বেষের মূলে যদি জাপানের কারিকুরি থাকে তাহা হইলে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছু নাই । তৃতীয়তঃ, জাপানীরা চীনের ব্যাপারে বেশ খুণী হইয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে এবং ইহার সহিত সিঙ্গাপুরে বৃটিশের নৌবহরের কেন্দ্রস্থাপন-চেষ্টা একত্র করিয়া দেখিলে যাহা মনে হয় তাহা অতি সহজ কথা । ইতালী ও স্পেনের নূতন সন্ধি যে-দিন মুসোলানি ভূমধ্যসাগরের উপর ইতালীর অধিকার প্রগর করিয়া প্রকাশ্বে বকৃত দেন সেদিন হইতে ইতালী বৃটিশজাতির অপ্রীতির চক্ষে পড়িয়া যায় ; কারণ ভূমধ্যসাগরের উপর প্রভূত্বের উপর বৃটেনের ভারতের উপর প্রভুত্ব প্রায় সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে। যুদ্ধের সময় ফরাসীগণ ইংরেজদিগকে যখন ভূমধ্যসাগর হইতে তাহাদিগের সমস্ত নৌবহর লইয়া জাৰ্ম্মান "হাই সী ক্লীটের” বিরুদ্ধে উত্তর সাগরে গমন করিতে অনুরোধ করে এবং ফরাসীদিগের হস্তে ভূমধ্যসাগর রক্ষার সম্পূর্ণ ভার ছাড়িয়া দিতে বলে তখনও ইংরেজ সখা ফরাসীর হস্তে ভূমধ্যসাগর রক্ষার ভার দিতে রাজি হয় নাই । বৃটিশের সাম্রাজ্য-সম্পত্তি রক্ষা করিতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে ভূমধ্যসাগর ও স্ট্রয়েজের খাল নিজ হস্তে রাখা প্রয়োজন। এই কারণে বৃটেন ভূমধ্যসাগরে অন্য কোন জাতির আধিপত্য প্রাণ থাকিতে সহ করিতে পারে না । সম্প্রতি ইতাঙ্গী ও স্পেনের মধ্যে একটি সন্ধি হইয়া भिग्राप्रु। झाशब्र खेदक्ष्ठ अब्रष्णप्बग्न झारौँ प्रक्रि१ আমেরিকা ও ভূমধ্যসাগরে পূর্ণমাত্রায় বজায় রাখা। এই সন্ধির ফলে ইংলণ্ডের সংবাদপত্রমহলে হৈ চৈ পড়িয়া গিয়াছে। ইতালী এবং স্পেন যদি উভয়ে মিলিয়। ভূমধ্যসাগরে বৃটেনের আধিপত্য খৰ্ব্ব করিবার জন্ত উঠিয়াপড়িয়া লাগে তাহা হইলে বিশেষ গোলযোগের সম্ভাবন । এবিষয়ে এখনও পরিষ্কার সকল কথা জানা যায় নাই । যেটুকু গিয়াছে তাহাতে ইহা বুঝা যায় যে, উক্ত দুই জাতির উদ্দেশ্য মন্দ বলিয়াই বৃটেনের ধারণা। বৃটেন এবিষয়ে কি পন্থ। অমুসরণ করিবে তাহা এখনও বলা যায় না । নিজামের খবর কিছুকাল পূৰ্ব্বে খবর বাহির হয় যে, ভারত গভর্ণমেণ্ট হাইদ্রাবাদের নিজামের নিকট একখানি পত্র লিখিয়াছেন যে, তাহার রাজ্যে শাসনকাৰ্য্য শৃঙ্খলার সহিত হ তেছে না এবং এবিষয়ে নিজাম অবিলম্বে মনোযোগ না দিলে নিজামের কার্য্যকলাপের স্বব্যবস্থা যাহাতে হয় তাহার জন্য গভর্ণমেণ্ট একটি বিশেষ “কমিশন” নিয়োগ করিতে পারেন। নিজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, তাহার রাজ্যে চাকুরী বিক্রয় হয়, ঘুষ চলে এবং নিজাম নিজের ভাই, ভগ্নী, পুত্র ও অধীনস্থ জমিদার ও রাজবংশীয় লোকদের সহিত কুব্যবহার করেন । ইহা ব্যতীত নিজামের রাজ্যে করদাতার প্রপীড়িত, কৰ্ম্মচারীগণ মাসের পর মাস বেতন পান না, হাইদ্রাবাদের পোষ্টমাষ্টার জেনারেল লণ্ডন “টাইম্স" পত্রে মুসলমানদিগের সমর্থন করিয়া লেখালিখি করেন এবং নিজাম হাস্ক। ছুতা দেখাইয়া রাঘবেন্দ্র রাও শৰ্ম্ম প্রভৃতির ন্যায় পদস্থ ব্যক্তিদিগকে রাজ্যের বাহির করিয়া দিয়াছেন । এইসকল খবর বাহির হইবার পরে প্রকাশ পায় যে, গভর্ণমেণ্ট নিজামকে তেমন কড়া রকম কিছু লেখেন নাই। “বোম্বে ক্রনিকল” পত্রের একজন সংবাদদাতা খবর সংগ্রহ করেন যে, এত গোলমালের মূলে আর কিছুই নাই, শুধু নিজাম হাইস্রাবাদের বাসিন্দা ইংরেজ কর্তৃক নিযুক্ত "রেসিডেন্ট’ মহাশয়ের উপদেশ বিশেষ করিয়া ও নিয়মমত গ্রহণ করেন না বলিয়া এবং তাহার রাজ্যে অধিক ইংরেজ চাকুরী পায় না বলিয়াই ভারত-গভর্ণমেণ্ট র্তাহাকে এদিকে মন দিতে অকুরোধ করিয়াছেন। নিজামকে না কি বলা হয় যে, তাহার রাজ্যের ভিতরেই যখন বহু প্রকার শাসন-সংক্রাস্ত বিশৃঙ্খলা রহিয়াছে তখন তিনি যেন রাজ্যের বাহিরের ব্যাপার লইয়া বেশী নাড়াbাড না করেন এবং যেন রাজকাৰ্য্য উত্তমরূপ নিৰ্ব্বাহিত করিবার জন্ত কিছু ইয়োরোপীয় কৰ্ম্মচারী সংগ্রহ করেন । প্রথম অনুরোধটির মর্শ বোধ হয় এই যে, নিজাম বর্তমানে ষে-মুসলমানত্বের দাবীতে নিজ রাজ্যের বাহিরে নান৷ স্থানে অর্থব্যয় করিয়া থাকেন তাহ ষেন আর না করেন । এবং দ্বিতীয় অকুরোধটির অর্থ সহজবোধ্য।