পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

న8 ১৩৪৪ সরে পড়বার ফুরসৎ নেই। জীবধর বলতে লাগল-এ কি আরম্ভ করেছ, বাবা ? এক মায়ের পেটে না জন্মেও কানাই আর আমি চিরকাল ভাই ভাই ছিলাম । ক’খুচি আউশধান সব যে বরবাদ ক'রে দেয়— নন্দ আকাশ থেকে পড়ল। —কি হয়েছে সর্দার-খুড়ে ? জীবধর বলল—সে কি ? তুমি জান না কিছু ? কাছারি থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল। নায়েব বললেন—কে এসে নাকি নালিশ ক'রে গেছে। তুমি যে সেদিন কি সব বলে গেলে,—আমি ভাবলাম, তুমিই বুঝি খবর দিয়ে এসেছ ! নন্দরাম বলল—কি সৰ্ব্বনাশ, আমি খবর দিতে যাব ! তাতে ক্ষতিটা আমার না আর কারও ? অন্যায় ত হচ্ছেই, খবর দেবার লোকের অভাব কি ! কে গিয়ে লাগিয়ে এসেছে। তার পর উৎসুক কণ্ঠে বলল—কিন্তু বিচারট কি হ’ল, শুনি— জীবধর চিস্তিতভাবে বলল—বিচার হয় নি এখনও । একটা কিছু হবেই ত, তাই আরও ভাবনা লেগেছে। আমি দেখছি, জেতার চেলে আমার হারই ভাল। একবার ইচ্ছে হ’ল, চেপে যাই। কিন্তু রাজ-কাছারিতে দাড়িয়ে সবটাই ব’লে আসতে ছ’ল । কাল কানাইকে ডেকে পাঠাবে, শুনলাম। , পরদিন সত্যই কানাইয়ের ডাক হ’ল । ফিরে এল, খুব হাসি মুখ । নন্দ মুখ কাচুমাচু করে বলল—খবর কি, বাবা ? উত্তল হয়ে আছি। হি হি ক’রে হাসতে হাসতে কানাই বলল— হবে আবার কি, হবে ঘোড়ার ডিম । নায়েবের সঙ্গে রফা হয়ে গেল, নগদ আড়াই টাকা আর আড়াই সের মাখন । ব্যস ••• জীবধরের আবার কারসাজিট দেখ। থবর পেয়েছে, কাছারিতে ম্যানেজার এসেছে—তাড়াতাড়ি তার কাছে সাতখানা করে লাগান হয়েছে। আরে বাপু, ম্যানেজার এর করবে কি ? ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে গেলে হয় কখনও ? মায়েব তাই আরও রেগে গেছে । শুক মুখে নন্দ বলল—হ’ল কি তাই বলে- , . কানাই সগৰ্ব্বে বলতে লাগল-নতুন আবার বেৰি। וזכsאו* היואיזיאי הזוא ה"הזה" *"יל הייר কিন্তু নায়েব স্ব-ই বলুন এবং কানাইয়ের সঙ্গে তার যে-প্রকার রফাই হোক, ম্যানেজার উপস্থিত থাকায় শেষ পৰ্যন্ত হুকুম সম্পূর্ণ উন্ট রকম হয়ে গেল। ধান পাবে জীবধর, এমন কি কানাইয়ের দশ টাকা ফেরতও দিতে হবে না, গরুকে এতদিন যা খাইয়েছে, তাতেই টাকার শোধ হয়ে গেছে । হুকুমটি এখনও জানাজানি হয় নি । তেঘরার গাঙে নৌকা-বাইচ ছিল। এই বাইচের বড় নামডাক, ধে দল জেতে তাদের পিতলের ঘণ্ড বখশিশ দেওয়া হয় । জীবধর দুলিকে নিয়ে বাইচ দেখতে গিয়েছিল । কাছারির নকুল-বরকন্দাজও গিয়েছিল সেখানে ; সেই চুপি চুপি জীবধরকে হুকুমের কথাটা বলল। চুলি আর বেশীক্ষণ থাকতে দিল না ; কেবলই বলে-বাড়ী চল, বাড়ী চল— বাড়ী এসে খবরটা ঢাক পিটিয়ে জাহির ক’রে নন্দরামের সামনে দিয়ে জাক ক’রে বেড়িয়ে আসবে—এই তার মতলব । বাপে মেয়েয় ফিরছে। সন্ধ্য। গড়িয়ে গেছে। বাড়ী যাচ্ছে, তা দুলি যেন নাচতে নাচতে চলেছে। দেহাতির চরের কাছাকাছি এসে বলল—চল ন বাবা, ক্ষেতের দিক দিয়ে ঘুরে যাই একটু— —উ হ, রাত্তির বেলা • । জীবধর মাথা নাড়ল । কিন্তু কে কার কথা শোনে ! কানাই যেদিন ধান পাওয়াবার চুক্তি করে নিয়েছে, সেই দিন থেকে দুলি ক্ষেত্তभूथ श्य नि । আজ সে কিছুতে শুনল না । জীবধরকে এক রকম জোর ক’রে নিয়ে চলল । গেয়োবনের মধ্যে যেন কিসের আওয়াজ । দুলি হাক দেয় কে ? কোন সাড়া নেই, চারিদিক চুপচাপ | দুলি বলে—বাবা, মাহুষ আছে ওখানে— জীবধর বলে— আছে, আছে । মাছ ধরছে কারা ... অারে অারে চললি ঐ জঙ্গলের মধ্যে ম্যাচ ম্যাচ ক’রে ? এমন ডাকাত মেয়ে দেখি নি ত! জঙ্গলের মধ্য থেকে দুলি চীৎকার আরম্ভ করেছে---বাবা দেখ–দেখসে. এসে গয়লার কাও । আমি তখনই জানি— 蟻 # জীবধর গিয়ে দেখে, চোর বামালমৃদ্ধ ধরা পড়েছে। হাতে কোদাল, কোদাল দিয়ে নন্দরাম বাধ কাটছিল। আর