পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়পাদ ঐবিধুশেখর ভট্টাচার্য অদ্বয় ও অজাতি পূর্বে যেরূপ আলোচনা করা হইয়াছে তাহাতে জানা গিয়াছে গ্রন্থকার বুদ্ধদেবকে নমস্কার করিয়া নিজের বক্তব্য বলিতে আরম্ভ করিয়াছেন। এখন দেখা যাউক তাহার বক্তব্য বা প্রতিপাদ্য কী। আমরা ইহাতে দেখিতে পাইব যে, তিনি একটি স্বপ্রসিদ্ধ বৌদ্ধমত স্বম্পষ্টভাবে অমুমোদন করিয়াছেন। আচার্যগণের দুইটি শ্রেণি আছে। এক শ্রেণি (সাম্বাপ্রভৃতি ) সংকার্যবাদী, অর্থাৎ তাহারা বলেন যে, উৎপত্তির পূর্বে কার্ধ নিজ কারণে সং অর্থাৎ বিদ্যমান থাকে { কেমন কোন অসৎ বস্তুর উৎপত্তি হইতে পারে না )। অপর শ্রেণি ( বৈশেষিক প্রভৃতিং ) অসৎকর্ষবাদী, অর্থাৎ তাহাদের মতে উৎপত্তির পূর্বে কার্য থাকে না, তাহ অসং। গৌড়পাদ পূর্বোক্ত দুইটি কারিকার পরে ইহাদিগকে উল্লেখ করিয়া বলিতেছেন— ”ভুতস্য জাস্তিমিচ্ছত্তি বাদিন: কোচদেব হি । অভূতস্যাপরে ধীর বিবদন্তঃ পরস্পরম্ "৩ কোন-কোন বাদীরাই বিদ্যমান বস্তুর উৎপত্তি ইচ্ছা করিয়া খাকেন, আর অপর পণ্ডিতগণ অবিদ্যমান বস্তুর ( উৎপত্তি ইচ্ছা করিয়া থাকেন ) । তাহার ( এইরূপে ) পরম্পর বিবাদ করেন '৩ ১ । দ্রষ্টব্য সা স্থ্য কারি কী ৯ ; শাস্করভাব্য-সহিত বে দা স্তু স্ব ত্র, ২. ১, ১৪-১৮ ; বৃহ দ। র ণ্য ক উপনি বৎ, SBBBBSS SSBBm D BBBS BBBY BBB সত্যুৎপত্তিদশনাং ।” বৌদ্ধদের মধ্যে বৈভাষিক সংকার্যবাদী। চ তু: শ ত ক, ৯.১৫ । ২ । দ্রষ্টব্য স্কা য় ক শ লী, বিজয়নগর-সংস্কৃত-গ্রন্থাবলী, ১৮৯৫, পৃ, ১৪৩ ইত্যাদি । বৌদ্ধদের মধ্যে সৌভ্রাস্তিক ও বিজ্ঞানবাটা অসংকার্যবাদ, চতুঃ শ ত ক, ৯, ১৫ । ৩। আলোচ্য মোকে ভূত ও অ ভূত শব্দের অর্থ শঙ্করাচার্ধ্য যথাক্রমে বিদ্যমান’ ও ‘অবিদ্যমান করিয়াছেন *** इंश ळेिक्शे श्ब्राह ; क्रुि शृद* (७, २७) धे छुझे نام-محسن اج আচার্য পরবর্তী কারিকায় আর এক শ্রেণির বাদীদের কথা উল্লেখ করিতেছেন যাহারা আ জা তি বা দ ঘোষণা করেন, অর্থাৎ যাহারা বলেন যে, কোন বস্তুর জাতি বা উৎপত্তি বলিয়া কিছু নুই। কারিকাটি এই— “ভূতং ন জায়তে কিঞ্চিদভুতং নৈব জায়তে। বিবদস্তোহদ্বয়া হেবমজাতিং খ্যাপয়স্তি তে।" ইহার অনুবাদ দেওয়ার পূর্বে ইহার পাঠসম্বন্ধে দুই একটি কথা বলা আবগুক। মা ও ক্য কা রিকা র ও তাহার শাঙ্কর ভায্যের বহু পুথিতে ও বহু সংস্করণে দ্বিতীয় অধের প্রথমে বি ব দ স্তো দ্ব য়া এই পাঠ দেখা যায়, এবং শাস্কর ভায্যে দ্বাঃ' শম্বই ধরিয়া তাহার অর্থ দেওয়া হইয়াছে "দ্ধৈতিন’। দ্বৈতী বলিতে দ্বৈতবাদী, এখানে ইহা দ্বারা পূর্ব কারিকায় উক্ত সাস্থ্য-বৈশেষিক প্রভৃতিকে লক্ষ্য করা হইয়াছে । এখানে অনুধাবন করিবার বিষয় এই যে, পূর্ব কারিকায় জাতিবাদের কথা উল্লেখ করা হইয়াছে ( কাহারও মতে এই জাতি ভূত বা বিদ্যমান বস্তুর, কাহারও বা মতে অভূত বা অবিদ্যমান বস্তুর ) । কিন্তু এই কারিকায় তাহার একবারে বিপরীত অজাতিবাদের কথা বলা হইতেছে । এমন কতক বাদী আছেন যাহার কাহারও জাতি বা উৎপত্তি মানেন না। অতএব ইহা দ্বার সুস্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে, পূর্ব কারিকায় যে সকল বাদীর কথা বলা হইয়াছে, এই কারিকায় উল্লিখিত বাণীরা তাহাদিগের হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন । ‘স্বপ্ন’ পদের দ্বারা যদি পূব কারিকায় উক্ত বাগিণকে (দ্ধৈতিগণকে অর্থাৎ সাঙ্খাপ্রভূতিকে ) লক্ষ্য করা হয় তবে ইহা বলা সঙ্গত হয় না যে, তাহার অজাতিবাদী, কেন” পূর্বেই দেখা গিয়াছে যে, তাহারা জাতিবাদী। শব্দের অর্থ তাহার মতে যথাক্রমে ‘পরমার্থ ও মাnt করিবার বিষয়