পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণরণ তপতী মুস্থ মৃদ্ধ হাসিতে লাগিল, কহিল—এত দাম বাড়িয়ে জিও না । শেষ পর্য্যস্ত ভার বইতে পারব না। উত্তরে সুবিমল কহিল—ন চাইতে যা পেয়েছি তা যদি नडून कtब्र शब्राप्ड श्ञ डाएउ झथ catणe cडांभाञ्च অতুযোগ করব না তপতী । —হঁ্যা ! বুঝেছি মশায়, তপতী হাসিয়া কহিল, চাষাভুষো লোকের আবার অত কবিত্ব কেন । তপতী পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে মুধিমলের মুখের প্রতি চাহিল এবং পরক্ষণেই হাতের পাখাটা নামাইয়া রাখিয়া পুনরায় কহিল,—হাত-মুখ ধুয়ে এসে । আমি আসছি । সুবিমল ইজি-চেয়ারে হাত-পা ছড়াইয়া পড়িয় রহিল, উঠিবার নামগন্ধ নাই। এমনি অনেক ক্ষণ কাটিল। তপতী ফিরিয়া আসিয়াছে। সুবিমল তেমনি চোখ বুজিয়া পড়িয়া আছে। তাহার এ ছলনাটুকু বুঝিয়া লইতে তপতীর বিলম্ব হইল না, দুই হাতে কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া মাথা নত করিয়া মৃদু কণ্ঠে কহিল, এখন হ’ল ত, এবারে চোখ খোল। কিন্তু সুবিমল নীরব। তপতী নিঃশব্দে খানিক হাসিয়া তরল কণ্ঠে কহিল, এমন কাঙাল কেন তুমি । এমনি অনাবিল নিঃসঙ্কোচ গতিতে তাহদের দিনগুলি চলিতে থাকে। গ্রামের লোকের উহার ঈর্ষার বিষয় কিন্তু তবুও তাহারা উহাদের ভালবাসে, উহাদের জীবন যাত্রাকে অনুভূতি সঙ্গোপনে অমুকরণ করিতে চেষ্টা করে, বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করিয়া সাধ্যমত আদর-আপ্যায়ন করে। অল্পবয়সী বেীরা বলে, তুমি ভাই বেশ আছ দিদি, নিজের ইচ্ছেমত চলতে ফিরতে পার। আমরা হ’লে এত দিনে ছি-ছি রব উঠত। তা ছাড়া, পারিও নে ভাই তোমাদের মত চলতে ফিরতে । তপতী ঠিক বুঝিয়। উঠিতে পারে না উহারা কি বলিতে চায় । বুঝিয়া দেখিৰার আগ্রহও তাহার নাই । মাঝে মাঝে সে কোমরে কাপড় জড়াইয়া বাড়ীর সংলগ্ন বাগানে স্বামীর সহিত মাটি কোপাইতে প্রবৃত্ত হয়, কখনও . বা স্বামীর পাশে গিয়া দাড়া, কৰ্ম্মরত তৃহার মুখের দিকে মুখ দৃষ্টিতে চাহিয়া থাকে। স্থবিমল কাজের ফ্লাকে *াকে তপতীর মুখের দিকে চাহিয়া দেখে, মুহূর্ভের জন্ত S* দৃষ্টিবিনিময় হয় । তপত খিল খিল করিয়া হাসিয়া ওঠে, বলে,—তোমার ফাইন হওয়া উচিত। জরিমানার একটা নকল সে মুখে বলিয়া যায়। স্থবিমল হাসিমুখে উত্তর দেয়—তথাস্ত । বাগানে ফুল ফুটিয়াছে, ফল ধরিয়াছে। স্থবিমলের প্রত্যেকটি উদ্যম অসামান্ত সাফল্য লাভ করিয়াছে। কিন্তু বাদরের উপদ্রবে কিছু রাখিবার উপায় নাই, রাধা ভাত হইত্তে আরম্ভ করিয়া গাছের ফুল-ফলটি পৰ্য্যস্ত। সুবিমলকে শেষ পৰ্য্যস্ত গ্রামছাড়া না করিয়া ছাড়িবে না। তপতী এত দিনু নীরবে সম্ব করিয়াছে কিন্তু আজ আর কোনমতেই সে নিজেকে সংবরণ করিতে পারিল না । চোখের সম্মুখে নিজের স্থষ্টির লাঞ্ছনা কোন মেয়েইবা সহ করিতে পারে । কবে গ্রাম্য মেয়েদের মত কলসী কাখে জল আনিতে গিয়া সে নাকাল হইয়াছে ! কবে সখ করিয়া গামল-ভরতি চাল পুকুর-ঘাটে ধুইতে গিয়া বানরের কিল-চড় খাইয়া আসিয়াছে। কি কুক্ষণেই সে জাহার-রত বানরকে বাধা দিয়াছিল-চালগুলি নষ্ট ত হুইলই, তাহার উপর বানরের হাতে . অপমান । তাহাও বরং সে নীরবে পরিপাক করিয়াছিল, কিন্তু আজি যখন তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত বাগানের অস্তিত্ব লোপ করিয়া দিল, তখন সে মরীয়া হইয়া উঠিল, স্বামীর কাছে আকুপূৰ্ব্বিক সকল ঘটনা ব্যক্ত করিয়া তপতী কহিল, ষে ক'রে হোক এর একটা বিহিত করা দরকার । সুবিমল গম্ভীর ভাবে তপতীর অভিযোগগুলি শুনিয়া হাসিয়া উঠিল । তপতী বিরক্ত হইল, তিক্ত কণ্ঠে কহিল, ভারী খুশী হয়েছ, না ? তাই এত হাসি ? —হাসছি না তপতী, কিন্তু, ভাবছি—হায়রে বাংলার নারী... কথাটা এমন ভঙ্গীতে স্থবিমল বলিল ষে, তপতীও না হাসিয়া পারিল না, কহিল, আজও তুমি একটু সিরিয়াস হতে শিখলে না। স্থবিমল এতক্ষণে সহজ কণ্ঠে কহিল, বাস্তবিক, এর একটা প্রতিবিধান করা দরকার, হতভাগাগুলোর উপদ্রব দেখছি দিন দিন মাহবকেও ছাপিয়ে উঠছে। তুমি মনে করে। मां ७ी निरञ्च श्रोभि भांथां घोंबांझे नि ।