পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ8"。 প্রবাসী । ১৩৪৪ মুক্তিদান ক'রে নিজেদের দেশকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছেন। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রেও দেখেছি এই স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করবার জন্তে কত দুঃখ কত চেষ্টা কত সংগ্রাম হয়েছে। মামুবকে মঙ্গুস্থ্যোচিত অধিকার দেবার জন্তে পাশ্চাত্য দেশে কত লোক আপনাদের বলি দিয়েছে। বিভাগ স্থষ্টি ক’রে পরস্পরকে ধে অপমান করা হয় সেটার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যে আজও বিদ্রোহ চলছে । ওদেশের কাছে জনসাধারণ, সর্বসাধারণ, মানবগৌরবের অধিকারী, কাজেই রাষ্ট্ৰতন্ত্রের যাবতীয় অধিকার সর্বসাধারণের মধ্যে পরিব্যাপ্ত হয়েছে । ওদেশের আইনের কাছে ধনী, দরিদ্র, ব্রাহ্মণ, শূন্ত্রের প্রভেদ নেই। একতাবদ্ধ হয়ে স্বাত্তস্থ্যপ্রতিষ্ঠার শিক্ষা আমরা পাশ্চাত্যের ইতিহাস থেকে পেয়েছি । সমস্ত ভারতবাসী যাতে আপন দেশকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার পায়, এই ষে ইচ্ছে এটা আমরা পশ্চিম থেকে পেয়েছি । এতদিন ধরে আমরা নিজেদের গ্রাম ও প্রতিবাসীদের নিয়ে খও থও ভাবে ছোটোখাটো ক্ষুদ্র পরিধির ভিতর কাজ কবেছি ও চিন্তা করেছি। গ্রামে জলাশয় ও মন্দির প্রতিষ্ঠা ক’রে নিজেদের সার্থক মনে করেছি, এবং এই গ্রামকেই আমরা জন্মভূমি বা মাতৃভূমি বলেছি। ভারতকে মাতৃভূমি ক’লে স্বীকার করার অবকাশ হয় নি। প্রাদেশিকতার জালে জড়িত ও দুর্বলতায় অভিভূত হয়ে আমরা যখন পড়ে ছিলুম তখন রাণান্ডে স্বরেন্দ্রনাথ গোখলে প্রমুখ মহাশয় লোকেরা এলেন জনসাধারণকে গৌরব দান করার জষ্ঠে । তাদের আরব্ধ সাধনাকে যিনি প্রবল শক্তিতে দ্রুতবেগে আশ্চৰ্য্য সিদ্ধির পথে নিয়ে গেছেন সেই মহাত্মার কথা স্বরণ করতে আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি—তিনি হচ্ছেন মহাত্মা १iांकौ । - অনেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ইনিই কি প্রথম এলেন । তার পূর্বে কংগ্রেসের ভিতরে কি আরো অনেকে কাজ করেন নি ? কাজ করেছেন সত্য কিন্তু তাদের নাম করলেই দেখতে পাই, সে কত মান তাদের সাহস, কত ক্ষীণ র্তাদের कáक्ष्वनि । 毅 আগেকার যুগে ৰংগ্রেসওয়ালারা আমলাতন্ত্রের কাছে কখনো নিয়ে যেতেন আবেদন সিবেদনের ডালা, কখনো বা করতেন চোখরাঙানির মিথ্যে ভান। ভেবেছিলেন তারা যে, কখনো তাঁর কখনো স্বমধুর বাক্যবাণ নিক্ষেপ করে তারা ম্যাঞ্জিনী গ্যারিবল্ডীর সমগোত্রীয় হবেন । সে ক্ষীণ অবাস্তব শোধ নিয়ে আজ আমাদের গৌরব করার মতো কিছুই নেই। আজ যিনি এসেছেন তিনি রাষ্ট্রীয় স্বার্থের কলুষ থেকে মুক্ত। রাষ্ট্ৰতন্ত্রের অনেক পাপ ও দোধের মধ্যে একটি প্রকাগু দোষ হোলো এই স্বাথাম্বেষণ । হোক না রাষ্ট্রীয় স্বার্থ খুব বড়ে স্বার্থ, তবু স্বার্থের যা পঙ্কিলত, তা তার মধ্যে না এসে পারেই না। পোলিটিস্তান ব'লে একটা জাত আছে তাদের আদর্শ বড়ো'আদশের সঙ্গে মেলে না । তারা অজস্র মিথ্য বলতে পারে, তারা এত হিংস্ৰ যে নিজেদের দেশকে স্বাতন্ত্র্য দেবার আছিলায় অন্য দেশ অধিকার করার লোভ ত্যাগ করতে পারে না। পাশ্চাত্য দেশে দেখি এক দিকে তারা দেশের জন্যে প্রাণ দিতে পেরেছে, অন্ত দিকে আবার দেশের নাম ক’রে দুনীতির প্রশ্রয় দিয়েছে । পাশ্চাত্য দেশ একদিন যে মুষল প্রসব করেছে আজ তারই শক্তি ইউরোপের মস্তকের উপর উদ্যত হয়ে আছে। আজকে এমন অবস্থা হয়েছে যে সন্দেহ হয় আজ বাদে কাল ইউরোপীয় সভ্যতা টিকবে কি না। তারা যাকে পেটিফুটিজম বলছে সেই পেটিয়টিজমই ভাদের নিঃশেষে মারবে। ভারা যখন মরবে তখন অবশু আমাদের মতো নিজীব ভাবে মরবে না-ভয়ংকর অগ্নি উৎপাদন ক'রে একটা ভীষণ প্রলয়ের মধ্যে তারা মরবে । আমাদের মধ্যেও অসত্য এসেছে, দলাদলির বিষ ছড়িয়েছেন পোলিটিগুনের জাতীয় যার। আজ এই পলিটিক্স থেকেই ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যেও দলাদলির বিষ প্রবেশ করেছে। পোলিটিগুানরা কেজো লোক, তারা মনে করেন ষে কার্য উদ্ধার করতে হ’লে মিথ্যার প্রয়োজন আছে। কিন্তু বিধাতার বিধানে সে ছলচাতুরী ধরা পড়বে। পোলিটিপ্তানদের, এসব চতুর বিষয়ীদের জামরা প্রশংসা করতে পারি কিন্তু ভক্তি করতে পারি না । ভক্তি করতে পারি মহাত্মাকে—ধার সত্যের সাধনা আছে। মিখ্যার সঙ্গে মিলিত হয়ে.তিনি সত্যের সার্বভৌমিক ধমনীতিকে অস্বীকার করেন নি। ভারতের যুগসাধনায় এ একটা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। এই একটি লোৰ বিনি