পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৪ এ-সম্বন্ধে তাদের অতি সামান্ত জ্ঞানই ছিল। তাদের এই স্নেহ মাতৃপ্রতিমা গাভীটির প্রতিও বিস্তারলাভ করেছিল। কর্ডেরাও তার শিশু-পালকদের এই স্নেহ--জন্তুর ক্ষমতায় যত দূর সম্ভব ফিরিয়ে দিত। তাদের কল্পনাপ্রস্থত নানা রকম উদ্ভট খেলার সময় তারা যখন ওর প্রতি বিবিধ অত্যাচার করত তখন ও অসাধারণ ধৈৰ্য্যের পরিচয় দিত। তা ছাড়া ওর ব্যবহারে সব সময়েই একটা স্থচিন্তিত বিবেচনার পরিচয় পাওয়া যেত। অল্পদিন হ’ল রোজা ও পিনিনের পিতা যু্যান্টন এই চারণভূমিটির অধিকার লাভ করেছে, কর্ডেরাও সরস সতেজ তৃণগুচ্ছ ভোজনের স্থখলাভ করছে। কিন্তু এর আগে তাকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পথের পাশের সামান্ত ঘাস-পাত খেয়েই জীবনধারণ করতে হত। সেই অভাবের দিনে রোজ ও পিনিন তার জন্তে ভাল छांण छांद्रशं भूtछ वांद्र कब्रड-श्रीब्र थॉरनाद्र अरषषt१ রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে যে দুঃখ ও অপমান অনিবার্ষ্য তার হাউথেকে কর্ডেরাকে বাচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করত। তার পরে শীতকালে যখন গোয়ালে খড়ের অভ্যস্ত অভাব হ’ত, গাজরও অত্যন্ত দুপ্রাপ্য হয়ে উঠত তখন রোজা ও পিনিনের আদর-যত্বেই সে কোন রকমে বেঁচে থাকত। তা ছাড়া প্রত্যেক বার বাছুর হবার পর যখন এই প্রশ্ন উঠত যে কতটা দুধ গৃহস্থ পাবে আর কতটাই বা বাছুরের জন্ত থাকবে—রোজা ও পিনিন সব সময়েই কর্ডেরার পক্ষ গ্রহণ করত। স্থযোগ পেলেই তার বাছুর ছেড়ে দ্বিত ; সেও আনন্দে লাফাতে লাফাতে আশ্রয় ও আহারের সন্ধানে মায়ের বিশাল শরীরের তলায় লুকতো। তার মা তখন ঘাড় ফিরিয়ে সস্নেহ ও কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে উপকারী শিশু ছুটির निरक ८5tञ्च थांकड । এ-বন্ধন কখনও ছিন্ন হবার নয়, এ-তিও মুছে যাবার नध ! স্ন্যান্টন অনেক ভেবেচিত্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে তার ভাগই খারাপ—আরও অনেক গরু কিনে গোয়াল ভরিয়ে তোলার আশা তার আকাশকুহুম হয়েই রইল। নানা কষ্ট সঙ্ক ক'রে কোন রকমে এই একটি গঙ্ক কেনার পর আর গঙ্ক কেনা ত হ’লই না—উন্টে আরও প্রবাসী ১৩৪৪ এখন দেখা যাচ্ছে যে তার খাজনা বাকী পড়ে গেছে। এখন কর্ডেরাই তার একমাত্র সম্বল। যদিও কর্ডের পরিবারভুক্ত এক জন লোকের মত হয়ে গেছে এবং যদিও তার স্ত্রী শেষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে কর্ডেরাকেই তাদের ভবিষ্যতের প্রধান অবলম্বন বলে নির্দেশ করে গিয়েছিল—তবুও ওকে বিক্রি করতেই হবে ; তাছাড়া আর কোন উপায় নেই। গোয়াল থেকে মাত্র বঁাশের টাচের বেড়া দিয়ে আড়ালকরা শোবার ঘরে মৃত্যুশয্যায় শায়িত মাতা ক্লাস্ত বিষ্ণ চোখ দুটি কর্ডেরার দিকে ফিরিয়ে যেন নীরবে তাকে তার শিশুদের মায়ের স্থান অধিকার করতে—ধে-স্নেহ পিতার বোঝবার ক্ষমতা নেই সেই স্নেহ দিয়ে তাদের ঘিরে রাখতে— কাতর আমুনয় জানাচ্ছিলেন। স্থ্যান্টনও বুঝত জিনিষটা—সেই জগু সে কর্ডেরাকে বিক্রি করবার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে কোন কথা ছেলেমেয়েদের বলে নি । এক শনিবারের খুব ভোরে রোজা ও পিনিন যখন ঘুমিয়ে ছিল, সেই স্কযোগে সে কর্ডেরাকে নিয়ে বিষগ্নচিত্তে হাটের দিকে রওনা হ’ল । * ছেলেমেয়েরা জেগে উঠে তার এ রকম অপ্রত্যাশিত গমনে বিস্মিত হয়ে গেল। তবে তারা বুঝল যে, কর্ডের নিশ্চয় অত্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বে নেহাৎ বাধ্য হয়েই যু্যান্টনের সঙ্গে গেছে। তার পর যখন সন্ধ্যায় ক্লান্ত ও ধূলিধূসরিত দেহে গঙ্কটাকে নিয়ে ফিরে এসেও স্বাণ্টন তার অনুপস্থিতির কোন কারণ বলল না, তখন রোজা ও পিনিন ভয় পেয়ে গেল । গরুটা বিক্রি হয় নি। অপরিসীম মমতাবশতঃ ফ্ল্যান্টন এত বেশী দাম হেঁকেছিল যে কেউ ডা দিতে রাজী হয় নি। সে তখন মনকে এই ব’লে প্রবোধ দিল যে সে ত বিক্রি করতেই চেয়েছিল, কাজেই তার আর কোন দোষ নেই। লোকে যদি এখন কর্ডেরার উপযুক্ত মূল্য দিতে রাজী না হয়, ত সে কি করতে পারে ? রোজা ও পিনিন যেদিন থেকে আসন্ন বিপদের আভাস পেয়েছে সেদিন থেকে আর তাদের মনে বিন্দুমাত্র শান্তি নেই। যেদিন জমিদারের লোক এসে বাড়ী বেদখল হয়ে স্বাবে বলে ভয় দেখিয়ে গেল, সেদিন তাদের আশঙ্কা দৃঢ়ীভূত ह'ल । {