পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ জণপণন ভ্ৰমণ

  • 82。

, , ...నిగr মালাবাসীদের গানবাজনা { অর্থাৎ ক্রীকান জাহাজে ) উপাসনা সাধারণের জন্ত হয়, অনেক জায়গায় কাপ্তেনরাই বাইবেল পড়ার ভার নেন।” শুনেছি কোথাও কোথাও প্রোটেষ্টান্ট ও ক্যাথলিক দুই রকম যাত্রীদের জন্তু আলাদা আলাদা ব্যবস্থা হয়। যার যেমন খুলী সে তেমন ভাবে যোগ দেয়, কেউ কেউ যায়ও না। আমাদের সহষাত্ৰিণী মিশনরী মেমরা নিজেরাই বসে বসে বাইবেল নিয়ে পড়লেন । যারা ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের ধার ধারে না তারা রবিবার ব'লে প্রাণপণে সাজল । বড় বড় বেলুন হাতা ও লুটিয়ে-পড়া লম্বা গাউনের কি ঘটা ! কে বলবে এরাই দিনে দুপুরে হাফপ্যান্ট ও সাতারের জাজিয়া পরে সর্বসাধারণের সামনে ঘুরে বেড়ান ? জাজ দুপুরে জমির দিকে পাহাড়গুলি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কয়েক দিন মাঝসমূত্রে ভাসছিলাম, আজ আবার জমি দেখা দিল। এখানে জল ঘন সবুজ, কিন্তু এই ক’দিনের মত স্বচ্ছতা আর ঔজ্জ্বল্য নেই, শেওলার মত ম্যাড়মেড়ে। " ধত্রিীরা বলছেন কাছের পাহাড়গুলি নাকি নিকোবার নীপপুৰ ৷ ৰক্ত বেল গড়িয়ে বিৰেল হয়ে আসতে লাগল ততই পাহাড় গাছপালা খুব স্পষ্ট হয়ে কাছে এগিয়ে আসতে লাগল। এত কাছে যে মনে হয় জলে ঝাপ দিয়ে সাতরে চলে যাওয়া যায়। পাহাড়গুলির উপরে নীচে বাড়ী, ঘন নারিকেল কুঞ্জ, সবুজ শস্তক্ষেত্র, জোড়া বাংলো সব পরিষ্কার দেখা যায়। একটা উচু টাওয়ার বোধ হয় বেতার ষ্টেশনের হবে । ১৮ই সকালে উঠে দেখি সমুদ্রকে আর সমুদ্ৰ ব'লে চেনা যায় না। জল হ্রদের মত স্থির, নদীর জলও এমন স্থির হয় না। কথায় যে বলে তেলের মত জল এ যেন ঠিক তাই । ঘন ভেলের সমুদ্র হাওয়ায় দোলে না পৰ্য্যস্ত। এটা বোধ হয় মলাক্কা প্রণালী। স্থির জলে মাঝে মাঝে মাছ লাফাচ্ছিল, ছোট ছোট উড়ুকু মাছও ছিল। বঙ্গোপসাগরে উদ্ভুকু মাছরা যেমন ঝাক বেঁধে উড়ে যায় আবার জলে ডুব দেয় এখানে তত নেই। সমুঞ্জের মাছ হওয়ার পক্ষে এদের আকার অভ্যস্ত ক্ষুদ্র, ছোট ছোট পার্শে মাছের মত দূর থেকে মনে হয় । , ১৯শেও জল নদীর মত ঠাণ্ড, রং ফিকে সবুজ। ছপুরে