পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ শ্ৰীশুকনানকজন্মোৎসৰ ●した একটি বিশ্বস্ত শিখকে বলিলেন, “একটি উচ্চ স্থানে আমার আসন কর। নিকটে একটি তাম্বুতে পাঁচটি ছাগ বাধিয়া রাখ। কাহাকেও একথা বলিও না।” পরদিন নববর্ষের দিনে তিনি সকলকে লইয়া উৎসব জমাইয়া বসিলেন । তার পর ঘোষণা করিলেন, “আমার জন্ত তোমাদের মধ্যে কেহ কি মাথা দিতে পার ?" চারি দিকে মহা হৈচৈ পড়িল । কেইষ্ট উত্তর দেয় না। শুরু দ্বিতীয় বার ঐ কথাই বলিলেন । কেইষ্ট অগ্রসর হয় না । তৃতীয় বার গুরু যখন ঐ কথা বলিলেন, তখন লাহোরবাসী দয়ারাম অগ্রসর হইলেন। গুরু তাহাকে লইয়া তাম্বুর মধ্যে বসাইয়া, একটি ছাগকে বলি দিয়া, রক্ত-ঝরা খড়গ লইয়া বাহিরে আসিলেন । সকলে ভাবিল, দয়ারামের মুগুচ্ছেদ হইয়া গেল। সকলের হৃদয় কাপিয়া উঠিল। তবু গুরু বলিলেন, “আর কে আছ ?” তার পর দিল্লীর ভক্ত ধরমদাস অগ্রসর হইলেন । তাহাকেও ঐ ভাবে তাম্বুর মধ্যে বসাইয়া, গুরু ছাগ ছেদন করিয়া বুহুঙ্কর খড়গ লইয়া বাহিরে অসিলেন। সকলে ভাবিল গুরুর হইল কি ! তবু গুরু ডাক দিলেন, “আর কে আড়, কে আমার জন্ত শির দিতে পার ?” ক্রমে দ্বারকার মূছকমটাদ, বিদরের সাহিবটাদ, জগন্নাথধামের ভক্ত হিন্মস্থ একে একে গুরুর কাছে গেলেন ও গুরু ঠিক সেই প্রকার করিলেন । বাহিরের লোক ভাবিল পাচ জন নিহত হইগেম । গুরু তখন এই পাচ জনকে উজ্জল বেশভূষায় স্থসজ্জিত করিয়া বাহিরে জানিয়া নিজ আসনে বসাইলেন। বলিলেন, "তোমরা যখন আমার, আমিও তখন তোমাদের । আমরা এখন অভেদ মূৰ্ত্তি। গুরু নানকের সময় গুরু অঙ্গদ এক একজন মাঞ্জ সাচ্চ বীর শিখ ছিলেন । এখন আমি তো পাচ জনকে পাইলাম। আর চিন্তা কি ? এখন আর ভয় নাই । এই ধৰ্ম্ম এখন জগতে স্থপ্রতিষ্ঠিত হইল।” সকলে তখন বলিল, “জয় জয় ভাই পঞ্চবীরের, জয় জয় শিখধর্শ্বের। আমরা যদি আত্মোৎসর্গ করিতাম उदय अॉयब्रNG थछ ह्हें डांभ * শুক্ল বলিলেন, “এত দিন গুরুর চরণোদকই ছিল দীক্ষার পেব্য । এখন হইতে খালসাই গুরু । তাই এখন আর ॐ** *ांचथचकांलद्रन छद्रथं★ांहल हड्रेरय मां । षांलनांब्र | পবিত্র জলই হুইবে দীক্ষ-ৰারি।” তিনি লৌহ পাত্রে ' জল রাখিয়া তাহাতে শর্কর মিশাইলেন । এই পঞ্চ বীর পঞ্চ কুপাণ দিয়া তাহ নাড়িলেন । সঙ্গে সঙ্গে গুরু নানকের *জপঞ্জী* গুরু অমরদাসের “আনন্দ ও গুরু গোবিন্দের “সৱৈস্থা” কয়েকটি উচ্চারণ করা হইল। এই রসের নাম হুইল অমৃত । ইহাই হইল নব পাছল। মাধুর্ব্যরসের সঙ্গে বীররস যুক্ত হইল। গুরু বলিলেন, “এই পাহলে যাহাম্বের দীক্ষ তাহারা প্রত্যেকে হইবে সিংহ ।” দিল্লীতে বাদশার কাছে সংবাদদাতার খবর দিলেন, *গুরু আজ বলিল্লেম, এই নববর্ষের দিন হইতে শিখধৰ্ম্ম সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম ও জাতির কাছে তাহার দ্বার মূক্ত করিয়া দিল । সকল জাতি এক হইয়া গেল, উচ্চ নীচ ভেদ আর রহিল না । তীর্থ শাস্ত্র বেত সব ছাড়িয়া দিয়া এই ধৰ্ম্মকে দৃঢ় ভাবে আশ্রয় কর । চতুর্বর্ণ সমানভাবে এই দীক্ষা লও । আহারে বিহারে কেহ কাহাকেও জার ঘৃণা করিও না।” তিনি তথম এই অমৃতে পঞ্চশিয্যের দীক্ষা দিলেন। তাহাদিগকে বীরের ও সাধকের নব নীতির উপদেশ দিলেন । - তার পর গুরু গোবিন্দ বলিলেন, “এইবার তোমরা পাচ জন আমাকে এই দীক্ষা দাও, আমারও তো এই দীক্ষা পাওয়া প্রয়োজন ।” শিষ্যরা বলিলেন, "এ কি কথা গুরু ? আপনি কেন আমাদের কাছে দীক্ষার জন্ত বিনত হইতে যাইবেন ?" গুরু গোবিন্দ বলিলেন, “আমি বিধাতার সন্তান, তার ইচ্ছাতেই এই দীক্ষা প্রবর্তিত হইল । যে কেহ এই দীক্ষায় দীক্ষিত সে-ই খালস । এখন হইতে খালসাই গুরু, গুরুই খালসা । কাজেই আমাতে ও তোমাতে কোন প্রভেদ তো নাই। আমি তোমাদিগকে গুরুর সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিলাম।” অগত্য র্তাহারা গুরুকে দীক্ষা দিলেন । তাহার নাম হইল গোবিন্দ সিংহ। আরও বহু লোক দীক্ষা গ্রহণ করিলেন। সৰল মওলাই গুরু হইল। - জগতে এই দীক্ষা একেবারে অভিনব ব্যাপার। সমস্ত निश:मब्र धtषा इंशtड नृङन नाष्ट्रिय अनिङ श्ण। चारण