পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরাইয়ের তরুণী {ঐযুক্ত ডক্টর সেলম লীগেরলতের মূল হইডিশ উপস্কাল হইতে প্তাহার অনুমতি অনুসারে ইলক্ষ্মীশ্বর সিংহ কর্তৃক অনুদিত ] স্ত্রীসেলমা লাগেরলভ ও শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ \o গুণ্ডমূও সোজাঞ্জি আদালতে আসিয়া পৌছিয়াছে। তাহার মন আনন্দে ভরপুর, হেলগার কথা সে আর মোটেই ভাবিতেছিল না। বাড়ীতে ঠিক প্রথমেই হিলছরের সঙ্গে যে তাহার দেখা হইয়াছে এবং হিলছুরও যে তাহার স্বন্দর ঘোড়া ও চকচকে নতুন গাড়ী লক্ষ্য করিয়াছে, এই জন্ত তাহার বিশেষ আনন্দবোধ হইতেছিল। আদালতে বিচার দেখা গুডমুণ্ডের জীবনে এই প্রথম। সে ভাবিয়ছিল যে, আদালতে অনেক কিছু শুনিবার ও জানিবার আছে—সারাটা দুপুর সে সেখানেই কাটাইয়াছে। হেলগার মামলার বিচারের সময় লে সেখানে উপস্থিত ছিল। কি ভাবে হেলগা বাইবেল টানিয়াছে এবং আদালতের চাপরাশী ও বিচারকের সঙ্গে ব্যবহার করিয়াছে—সমস্তই সে দেখিয়াছে। মোকদ্ধমা শেষ হওয়ার পর বিচারক হেলগার করমর্দন করিতেছেন দেখিয়াই সে বাহির হইয়া গিয়াছিল। তার পর সে তাড়াতাড়ি করিয়া ঘোড়া দুইটিকে গাড়ীতে জুড়িয়া আদালতের দরজার পাশে দাড়াইয়াছিল। আদালতে হেলগার আচরণ তাহার কাছে খুবই নিৰ্ভীক বলিয়া মনে হইয়াছিল এবং সেজন্য সে তাহাকে সম্মান দেখাইতে চায়। কিন্তু তরুণী এত ভয়াতুর যে, গুণ্ডমূণ্ডের উদেশ্ব সে মোটেই বুঝিতে পারে নাই এবং গুডমূও তাহাকে সম্মান প্রদর্শনের জগু ধে জায়োজন করিয়াছিল, তাহা হইতে লে নিজকে * বঞ্চিত করিয়া রাখিল । সেদিন সন্ধ্যাবেলা গুড়মূও চোরাবালির কৃষিক্ষেত্রবাটিকায় গিাছিল। উক্ত পরগণার চারি দিকে কেবল পাহাড় ও বন ; উচু পাহাড়ের গাৱে পাইন-বনের মধ্যে চোরাবালির কৃষিক্ষেত্র-বাটিক অবস্থিত। শীতকালে বরফ পড়িয়া রাস্তাঘাট ঢাকা পড়িয়া গেলেই শুধু ঐখানে ঘোড়ার গাড়ী করিয়া যাওয়া চলে। সেজন্ত আজ শুভমুণ্ডকে সেখানে হাটিয়া যাইতে হইয়াছিল। কিন্তু পথঘাট এত জঙ্গলাকীর্ণ ও পাথুরে যে, হাটিয়া যাওয়া বেশ শক্ত কাজ। পথে কয়েক বারই সে বড় বড় পাথরে এমন হোচট খাইয়াছে যে, তাহার পা ভাঙিয়া যাইবার উপক্রম। এখানে-সেখানে আবার ছোট ছোট পাহাড়ী নদী পার হইয়া যাইতে হয়। সেদিন পরিষ্কার টাদের আলো না থাকিলে এরূপ পথ স্থাটিয়া ঐ কৃষিক্ষেত্রবাটিকায় পৌছা অসম্ভব হইত। অনেক বারই চলিতে চলিতে তাহার মনে হইয়াছে যে এই পথ বাহিয়াই ত হেলগাকে আজ যাওয়া-আসা করিতে হইয়াছে। ঐ পাহাড়ের গায়ে উচ্চভূমির মাঝখানে চোরাবালির কৃষিক্ষেত্র-বাটিকাটি অবস্থিত। পূৰ্ব্বে সে কখনও সেখানে যায় নাই কিন্তু সময় সময় নিজের কৃষিক্ষেত্র-বাটিক হইতে এই স্থানটা লক্ষ্য করিয়াছে বলিয়। তাহা এত ভাল করিয়া তাহার জানা ছিল যে, পথভুল হওয়াটা তাহার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল । চোরাবালির কৃষিক্ষেত্রের চারি দিকে দীর্ঘ বৃক্ষশাখার বেড়া, ডিঙাইয়া যাওয়া বেশ শক্ত কাজ। চারি দিকের মরুভূমির মত পাথুরে জমি হইতে কৃষিক্ষেত্রটাকে রক্ষা করিবার জন্ত যেন বেড়াটাকে অতিরিক্ত উচু করা হইয়াছে। তাহার উপরে ঢালু জায়গায় ছোট বাড়ীটি । ঘরের সামনের চালু উঠানটি সবুজ ঘাসে ভরা, ইহার নীচে