পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ তরাইয়ের তরুণী BS6 বিবাহ করিলে তাহার স্ত্রীও বাড়ীতে অধিকতর স্বখে থাকিবে।—পরে সে বলিল, “তুমি দেখিবে, মেয়েটি সত্যই বড় পছন্দসই ” ইহার উত্তরে মা বলিলেন, “ওর যত্ব করাও ত ভাল কাজ ।” অস্থস্থতাবশতঃ গুভমুণ্ডের মা স্থধ্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই শষ্যার আশ্রয় লইলেন। সে নিজে ঘোড়াগুলির তদারক করিবার জন্ত আস্তাবলে গেল। আকাশ বেশ পরিষ্কার, মৃদ্ধ বাতাস বহিতেছে, চাদের আলোয় চারি দিক উজ্জল । সে ভাবিল যে, আজ সন্ধ্যায়ই মার জন্ত খবরটা আনিতে গেরালালিতে গেলে ভাল হয় । কারণ, পরের দিন বৃষ্টি ন হইলে ক্ষেভের ফসল বাড়ীতে আনাইবার জন্য এত কাজ পড়িবে যে, নিজের বা বাড়ীর আর কাহারও পক্ষে চোরাবালিতে যাওয়া সম্ভব হইবে না । 籌 導 舉 এখন সে চোরাবালির থামার-ঘরের আঙ্গিনায় দাডাইয়া তেলুগার আগমন-প্রতীক্ষা কবিতেছে। বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়া গেল ; মাঝে মাঝে অতিক্ষীণ কয়েকটি শব্দ হইয়া নিস্তষ্কতার মধ্যে বিলীন হইয়াও গেল, কিন্তু কাহাবও পায়ের শব্দ নাই । শব্দগুলি যেন কাহারও দুঃখের অতি অস্পষ্ট অভিযোগ,—কেহ যেন রাল্প চাপাষ্টয় অতি কষ্টে দীর্ঘশ্বাস ফেলিতেছে ! সেই শৰ একষ্ট কণ্ঠ হইতে আসিতেছে বলিয়া মনে হইতেছে দেখিয়া গুড়মুগু সেদিকে অগ্রসর হইল। ঘরের নিকটবৰ্ত্তী হওয়া মাত্রষ্ট যেন দীর্ঘশ্বাস ফেলার শব্দটা খামির গেল কিন্তু কেহ যে ঘরের মধ্যে জ্বালানী কাঠের স্তপের উপর নড়াচড়া করিতেছে, সেটা বেশ স্পষ্ট। ঘরের মধ্যে মানুষটি ষে কে গুডমুণ্ড নিঃসন্দেহে তাহ অনুমান করিল —“ঠেলগ, তুমি বুঝি এখানে বসিয়া কাদিতেছে ?”—বলিয়াই সে দরজাটা অগিলাইয়া দাড়াইল, পাছে তরুণী তাহার সঙ্গে কথা না বলিয়াই পলাইয়া যায়। আবার নিন্তব্ধতা ! হেলগা বসিম্বা কাদিতেছে— Sউমুণ্ডের এই অকুমান সভ্য । খামাইয়া প্রকৃতিস্থ হইতে চেষ্টা করিল যেন গুডমুও মনে করে ষে সে ভুল শুনিয়াছে। ঘরের ভিতরটা অন্ধকার, তাই হেলগাকে দেখা গেল ন । তরুণী ইতিমধ্যে কাল্প . হেলগা সেদিন কুলকিনারাহীন নিরাশার সাগরে পড়িয়া হাবুডুবু খাইতেছিল। কান্না খামান তাহার পক্ষে সহজ নয় । সে এখন পর্যস্ত ঘরে গিয়া বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে নাই। কঠিন পাহাড়ে পথ বাহিয়া বাড়ী ফিরিবার সময় তাহার মনে হইয়াছে যে, এইবার ঘরে গেলেই সমস্ত কথা বাবা-মাকে বলিতে হইবে, যেমন প্যের মোরটেনসনের কাছ হইতে কোন সাহায্য পাওয়া যাইবে না। সেজন্ত তাহার বাবা-মা হয়ত এমন ব্যবহার করিবেন যাহার ভয়ে সে ঘরে ঢুকিতে সাহস করে নাই । সে মনে করিয়াছে যে ঘরের লোকের ন-ঘুমান পৰ্য্যস্ত বাহিরেই কাটাইবে ; কারণ তাহ হইলে শুধু পরদিন সকালবেলা নিজের দুঃখের কাহিনী তাহাদিগকে বলিতে হইবে । এই কথা ভাবিয়া সে এক-চালার জালানী কাঠের গুপে আশ্রয় লইয়াছিল। সারাদিন সেখানে বসিয়া সে ক্ষুধায় ও শীতের জালায় ভূগিতেছিল ; তাহার দুঃখ ও অপমানের আর অবধি নাই। সকল প্রকারের লক্ষণ ও অপমান তাহাকে অনেক ভোগ করিতে হইয়াছে—সারাট জীবন যে আরও কত বেশী দুঃখ তাহার জন্ত অপেক্ষা করিতেছে সেই সব কথা ভাবিয়া আর শেষ করিতে পারিতেছিল না । চরম নিরাশার দুঃখ তাহার ক্লাস্ত মনের উপর চাপিয়া বসিয়াছিল । সমাজে তাহার স্থান এত নীচে যে, কেহই তাহাকে দেখিতেও চায় না। এই সব ভাবিয়া সে কাদিতেfছল। হঠাৎ ছোটবেলার একটা ঘটনা তাহার মনে পড়িল,—সে এক বার বাড়ীর নিকটবৰ্ত্তী চোরাবালিতে আটকা পড়িয়াছিল, যতই সে উপরে উঠতে চেষ্টা করে ততই সে শুধু ডুবিয়াই যায়। গাছের ডালপালা যা সে তখন সম্মুখে পাইয়া ধরিয়া বঁচিবার জন্ম চেষ্টা করে সবই তাহার সঙ্গে ভূবিয়া যায়। এখনও তাঙ্গর অবস্থা ঠিক ঐকুপ! বাচিবার জন্য যাহার সাহায্য ভিক্ষা করিয়াছিল, সে ষে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া তাহাকে বঞ্চিত করিয়াছে । কেহই যে তাহাকে আশ্রয় দিতে চায় না । সেবার চোরাবালিতে ডুবিবার সময় এক গোপালক রাখাল তাহাকে টানিয়া বঁাচাইয়াছিল । কিন্তু এখন তাহাকে রক্ষা করিবে কে? তাহার মনে দৃঢ়বিশ্বাস হুইয়াছে যে, এইবার কেবল भृङ्गाइँ ज्राशाक् ७हे शैन अदर्श श्श्रउ भूखि निएउ गान्नु ।