পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●sや প্রবাসী పెYడి 33 চোরাবালির কথায় তাহার মনে হইল, এখন তাহার মরিয়া বাচিবার একটা পথ আছে। তাহার পক্ষে চোরাবালিতে ঝাপ দেওয়াই যে ভাল ! চোরাবালি আপনা হইতেই তাহাকে অতলে টানিয়া সমাধি দিবে ! এ সংসারে যে সকলেরই ঘৃণার পাত্র তাহার বাচিয়া থাকা অপেক্ষা মরা যে অনেক ভাল। আর সে মরিলে তাহার শিশুর পক্ষেও মঙ্গল, কারণ তাহার মা শিশুটিকে খুবই ভালবাসেন, কিন্তু সে নিজে বাড়ীতে থাকিলে তিনি সেই ভালবাসা কখনও দেপান না ! সে যদি চিরকালের মত এ সংসার হইতে বিদায় নেয়, তবে শিশুর ঠাকুরমা নিজের মার মত শিশুর যত্ব নিশ্চয়ঙ্গ করিবেন । হেলগা মোটেষ্ট বুঝিতে পারে নাই যে, তাহার বর্তমান গ্লানিময় জীবনের মাঝপানে আপাতত: এমন কিছু ঘটিয়াছে যে, সেজন্ত সকলেই তাহাকে প্রশংসার চক্ষে দেখে । ক্রমেই তাহার এই ধারণ বদ্ধমূল হইতে লাগিল যে, চোরাবালিই তাহার একমাত্র আশ্রয়স্থল ৷ এই কথা সে যতই ভাবে, ততই তার চোখের জলের ধারা কেবল বাড়িয়াই চলে | 擊 碑 華 তাহার পক্ষে কান্না থামান সহজ নয়। কয়েক মিনিট যাক্টতে-ন-যাইতেই তার কাল্লাচাপা শ্বাস আরও ঘন ঘন বহিতে আরম্ভ করিল। মেয়েদের চোখের জল দেপা অপেক্ষ আর অস্বস্তিকর জিনিষ যে কিছু আছে গুডমুণ্ড তাহা জানিত না । সে হয়ত তখনই সে স্থান ছাড়িয়া চলিয়া যাইত । কিন্তু তাহার মনে হইল যে, যখন এতট। পথ হাটিয়া আসা হইয়াছে তখন উদ্দেশুটাও সারিয়া যাওয়া আবশুক । সে কঠিন স্বরে প্রশ্ন করিল, “তোমার হইয়াছে কি ? ঘরে যাইতেছ না কেন ?” উত্তর দিতে গিয়া ভয়ে তরুণীর দাতে দাত লাগিয়া যাইবার জে হইল। সে বলে, “আমার সাহস হয় না।” —তোমার ভয় কিসের ? তুমি আদালতে বিচারকের কাছে এমন নিভীক ব্যবহার আঞ্জ করিয়াছ ! তা ছাড়া নিজের বাপ-মার কাছে আবার ভয় কিসের ? —ভারা বাহিরের লোকের চেয়েও বেশী নিষ্ঠুর । —কিন্তু ঠিক আজই তাদের রাগিবার কি কারণ আছে ? —এখন যে আমি কোন সাহায্যই পাইব না ! —তুমি এমন সাহসী মেয়ে যে নিজেই ত নিজের ও তোমার শিশুর জীবিকার্জন করিতে পার । হঠাৎ হেলগার মনে হইল যে, তার বাবা-মা হয়ত বা তাদের কথাবাৰ্ত্ত শুনিতেছেন এবং বাহিরে কে র্কাদিতেছে জিজ্ঞাসা করিতে পারেন। তাহা হইলে সমস্ত কথাই যে তাহাদিগকে বলিতে হইবে । তখন নিজেকে বাচাইবার জন্ত আর চোরাবলিতে যাইতে পারিবে না। একথা মনে হওয়ায় সে লাফ দিয়া দাড়াইল এবং গুড়মুণ্ডের পাশ কাটিয়া পলাইতে চেষ্টা করিল। কিন্তু গুডমুণ্ড তার চেয়েও বেশী দ্রুতগামী। সে চট করিয়া হেলগার হাত শক্ত করিয়া ধরিয়া বলিল, “ন, পলাইতে পারিবে না, আগে আমার কথা শোন ।” হেলগা আবেগে তীক্ষ দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিল, “আমাকে দয়া কর,—দয়া করিয়া অামাকে ছাড়িয়া দাও।” চাদের আলোতে এখন হেলগার মুখ পরিষ্কার দেখা যায়—তাহার মুখের ভাব দেখিয়া গুড়মুও বলিল, “তুমি কি তবে ডুবিয়া মরিতে চলিয়াছ ?" হেলগা উত্তর দিল, “যদি বা তাই করি, তাতে কি আসে যায় ?” এই বলিয়। সে পিছনের দিক হেলাইয়া" গুডমুণ্ডের চোখের উপর দৃষ্টিপাত করিল। আবার বলিতে লাগিল, “আজ সকালে তোমার গাড়ীর এক কোণে করিয়া আমাকে নিতে রাজী ছিলে না । কেহই ত আমার সঙ্গে মিশিতে চায় না । তোমার বুঝা উচিত, জীবনধারণ যার পক্ষে শুধু বিড়ম্বন মাত্র তার পক্ষে আত্মহত্যা করিয়া নিস্কৃতি পাওয়াটাই ভাল।” 彎 韃 事 শুভমুও কি করিবে ভাবিয়া পাইতেছিল না। সে ভাবিল, এ রকম ব্যাপার হইতে দূরে থাকাই ভাল। কিন্তু পরক্ষণেই তাহার আবার মনে হইল যে, নিরাশ যার জীবনে চরমে পৌছিয়াছে তাকে এক ফেলিয়া যাওয়াও সঙ্গত নয় । —এখন আমার কথা শোন। প্রতিজ্ঞা কর, আমি যাহা বলিতে চাই তাহা তুমি শুনিবে। তার পর তুমি যেখানে খুশী যাইও, যা খুশী করিও । “ইn,”—হেলগা স্বীকার করিল।