পৌষ মৃত্যু পৰ্য্যস্ত হইয়াছে। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে হাওড়া জেলার বসন্তপুর গ্রামে ডাক্তার-হত্যার মামলা সংবাদপত্রে র্যাহারা পড়িয়াছেন তাহারাই এ-বিষয়ে অবগত আছেন। ১৯১৫ সালে যখন ষ্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাঙ্গটির স্মৃষ্টি হস্তু তখন আইন করিয়া সব প্রাইভেট মেডিক্যাল স্কুলগুলি তুলিয়া দিবার প্রস্তাব হয় এবং প্রকৃত প্রস্তাবে বহু দিনের স্থাপিত অনেক স্কুল উঠিয়া যায় এবং অনেক হাতুড়ে ডাক্তার ফ্যাকালটির পরীক্ষা উত্তীর্ণ হইয়া সাব-এসিষ্ট্যান্ট সার্জনদের সমপৰ্য্যায়ভুক্ত হয়। কিন্তু ডাক্তারদের দুর্ভাগ্যবশতঃ এরূপ কোন আইন এখন পৰ্য্যস্ত হয় নাই বা অদূর ভবিষ্যতে হইবে এরূপ সম্ভাবনাও দেখা যায় না । ব্রিটিশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ডা: এণ্ডারসন সম্প্রতি ভারতবর্ষ ভ্রমণ করিয়া ঐ একই মত ব্যক্ত করিয়াছেন । ভারতের ডাক্তারী ব্যবসায় নিরাশাব্যঞ্জক, কারণ এখানকার দর্শনীর হার খুব কম ও নানা প্রকার হাতুড়ে চিকিৎসার প্রাবল্য ও শহরের ডাক্তারদের সংখ্যাধিক্য । বৰ্ত্তমানে কলিকাতায় প্রাদেশিক চিকিৎসক-সম্মিলন হইয় গেল । সেখানেও পল্লীগ্রাম চিকিৎসার জঙ্গ কতকগুলি প্রস্তাব গৃহীত হইয়ছে। গ্রস্তাবগুলি সৰ্ব্বাংশে সমীচীন, কিন্তু আমরা জানি সেগুলি হয়ত কোন কাজেই আসিবে না। কারণ গবর্ণমেণ্ট ষে টাকা-পয়সা খরচ করিয়া বাড়ী ও বাগান তৈয়ার করিয়া দিয়া ও আরও কিছু সাহায্য করিয়া ডাক্তারদিগকে গ্রামে যাইতে প্রলুব্ধ করিবে এরূপ কল্পনা করিতে ইচ্ছা হয় না । গান 856 কলিকাতার বিখ্যাত ডাক্তার ক্রযুক্ত বিধানচন্দ্র রায় বিলাত হইতে ফিরিয়া আসিয়া যে মতামত ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহা হইতে জান। বায়ু সেখানকার গবর্ণমেণ্ট নানা উপাঞ্জে নূতন ডাক্তারদের পসারের মুবন্দোবস্তু করিয়ু দিধা থাকেন এবং তাছার মতে সেখানকার হেলথ ইনসিওরেন্স সোসাইটির মত সোসাইটি এখানে প্রতিষ্ঠিত হইলে ডাক্তারদের সুবিধা ও পল্পীস্বাস্থ্য-সমস্যার অনেক সমাধান হয় । পদীগ্রামের চিকিৎসার আর একটি অসুবিধা, ঔষধের অতিরিক্ত प्रा । গবর্ণমেণ্ট ইচ্ছা করিলে, টংচার ও এলকোহল সম্বন্ধীয় ঔষধের উপর ডিউটি তুলিয়া লইয়া হাসপাতাল ইত্যাদিতে ষে-মূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়ঃ সেই মূল্যে ডাক্তারদের ঔষধ পাওয়ার বন্দোবস্ত করিতে পারেন এবং ইচ্ছা করিলে কুইনাইন ও সিনৃকোন সম্পৰ্কীয় ঔষধাদির মূল্য কম করিয়া পল্লীচিকিৎসার অনেক সাহায্য করিতে পারেন । যাহা হউক, যদি বর্তমানে শুধু আইন করিয়া হাতুড়ে ডাক্তারদের চিকিৎসা বদ্ধ করা যায়, তবে অনেক ডাক্তার শহর ছাড়িয় গ্রামে গিয়। পল্লীর স্বাস্থ্যরক্ষার ও বেকার-সমস্যা-সমাধানের ভার নিজেরাই অনেকখানি গ্রহণ করিতে পারেন ।
- হাসপাতালে ছয় আন মূল্যে যে স্পিরিট পাওয়া যায় ডাক্তারদিগকে তাহা ছয় টাকা দিয়া কিনিতে হয়। ডিউটির জন্ত অনুরূপ অনেক ঔষধের মূল্যের আকাশ-পাতাল তারতম্য হয়।
গান জীবিজয়চত্র মজুমদার .তা’র কত-না বাধনে বেঁধে ৰায়, সম্বল তার পায় কি পাস্থ, যবে কেঁদে চায় মোর পানে । অস্তর যবে ক্লাস্ত, ভ্রাঙ্ক, সন্ধ্যার অবসানে ? হুরে নিতে চায় ব্যথার বেদন ; § গড়ে দিতে চায় জীৰ্ণ কেতন cबॉश्न नह्न बांटन । বুঝি না—জানি না, তবু কেঁদে চাও, মোহুের বঁাখনে মোরে বেঁধে যাও মাঙায়ে চেতনা প্রাণে
