পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ বিবিধ প্রসঙ্গ—লক্ষ্ণৌ প্রবাসী সুধীরকুমার সেন 8露@ আইনসমূহের ডাক্তার, উপাধি দিবেন, এবং তিনি তাহা গ্রহণ করিবেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বাৰু রাজেন্দ্রপ্রসাদকেও এই উপাধি দিবেন এবং তিনি তাহা গ্রহণ করিবেন। জৱাহরলাল গ্রহণ করিবেন না । ংবাদিকের ডক্টরত্ন লাভ এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় তাহার জুবিলী উপলক্ষ্যে কোন কোন ধনী দাতাকে এবং কোন কোন বিদ্বান বা রাজনৈতিক আন্দোলককে ডক্টর অর্থাৎ আচাৰ্য্য উপাধি দিবেন। তাহদের সঙ্গে সঙ্গে “লীডার” দৈনিক পত্রের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত চিত্বরাভরি যজ্ঞেশ্বর চিন্তামণিকেও এলএল-উী উপাধি দিবেন। তিনি প্রবেশিক পরীক্ষাত্তীর্ণও নগেন, কিন্তু খুব যোগ লোক। ভারতীয় সাংবাদিকের পক্ষে এই বোধ হয় প্রথম সুযোগ্য সাংবাদিক বলিয়া “আচাৰ্য্য” উপাধি লাভ ঘটিল। আমরা কিছু কাল পূৰ্ব্বে লিখিয়াছিলাম, ষে, কলিকাতা বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমুতবাঞ্জার পত্রিকা ও আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকদ্বয়কে এবং কোন বড় বাঙালী ব্যবসাদারকে এল এল ডী ও ডী-কম্ উপাধি দিলে “একট। নূতন কিছু” করা হবে । কিন্তু সাংবাদিককে ডক্টর করিলে অত:পর মৃ ন কিছু হইবে না। -* যতীন্দ্রমোহন সিংহ রায়বাহাদুর যতীন্দ্রমোহন সিংহ বিখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক ছিলেন। সাহিত্যক্ষেত্রে “উড়িষ্যার চিত্র” লিখিয়া তিনি প্রথম যশস্বী হন । তাহার পর তিনি ধৰ্ম্মবিষয়ক তর্ক-বিতর্কের বহি এবং উপস্থাসাদি লিথিয়াও খ্যাতিলাভ করেন। তিনি ধৰ্ম্মমতবিষয়ে পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণির মতাবলম্বী ছিলেন। তিনি আচারনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন, কিন্তু ভিন্নমত-অসহিষ্ণু ছিলেন না। তাহার “সন্ধি" উপন্যাসটি পড়িলে বুঝা যায়, তিনি সুব্যবস্থিত ও স্বনীতিনিয়ন্ত্রিত নারীপ্রগতি চাহিতেন। র্তাহার জন্ম নদীয়া জেলায়, কিন্তু তিনি বাস করিতেন ফরিদপুরে । সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরূপে তিনি তথাকার ব্যবসাবাণিজ্য সম্বন্ধে অভিজ্ঞ ছিলেন ও তাহার উন্নতির চেষ্টা করিতেন। পণ্ডিত হরিশ্চন্দ্র কবিরত্ন প্রেসিডেন্সী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক পণ্ডিত ইরিশ্চন্দ্র কবিরত্ব মহাশয় ৯৬ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিয়া‘३न। डिनि बूद वल्लाशौ श्रिणम । उँाश्व्र बब्बन ७ङ হইম্বাছিল, যে, তাহার অনেক বৃদ্ধ পুরাতন ছাত্রও জানিতেন না, যে তিনি বাচিয়া আছেন। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে শাস্তিনিকেতনে অধ্যাপক চারুচন্দ্র ভাট্টাচাৰ্য্য র্তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছিলেন, আর কিছুদিন পরে আমরা জীবিত এক বিদ্বানের শতবাৰ্ষিক উৎসব করিব । তাহা আর হইল না । কবিরতু মহাশয় “শব্দসার” অভিধান প্রণেতা পণ্ডিত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্বের পুত্র এবং স্বয়ংও কয়েকখানি পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি প্রবাসীতে কয়েকটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন । তখন র্তাহার বয়স ৯১ এর কাছাকাছি । লক্ষ্মেীপ্রবাসী অধ্যাপক হীরালাল চট্টোপাধ্যায় অধ্যাপক হীরালাল চট্টোপাধ্যায় এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্-এ পরীক্ষায় ইংরেজী সাহিত্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তাহার ইংরেজী সাহিত্যের জ্ঞান বিস্তৃত ও গভীর ছিল, এবং তিনি ইংরেজী লিখিতেন ভাল। তিনি অনেক কলেজে অধ্যাপকতা করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বশেষে অধ্যাপক ছিলেন, গোয়ালিয়রে ভিক্টোরিয়া কলেজে। তিনি লক্ষেীতে গঙ্গাপ্রসাদ স্মারক লাইব্রেরীর এবং গোয়ালিয়রে সেন্টাল লাইব্রেরীর উদ্যোক্ত ছিলেন। গোয়ালিয়রে থাকিবার সময় তিনি একটি বাংলা লাইব্রেরীর জন্য পুস্তকাদি সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করেন । সেখানে কোন কোন সম্রাস্ত মহারাষ্ট্রীয় মহিলা তাহার নিকট বাংলা শিখিতেন । এই বৎসর মে মাসে তিনি গোয়ালিয়রের কাজ হইতে অবসর গ্রহণ করেন । তিনি অতিশয় নম্র অথচ স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন। লক্ষ্মেীপ্রবাসী সুধীরকুমার সেন লক্ষ্মেীপ্রবাসী ঐযুক্ত স্বধীরকুমার সেনের মৃত্যুতে প্রবাসী বাঙালী সমাজের এক জন উদ্যোগী মানুষের তিরোভাব হইল। তিনি বিখ্যাত লোক ছিলেন না, কিন্তু যাহা করিয়াছিলেন, সেইরূপ কিছু প্রবাসী বাঙালীরা ও বঙ্গের বাঙালীরা—বিশেষতঃ বেকারেরা, করিলে আপনাদের উপকার ও দেশের কল্যাণ করিতে পারিবেন । তিনি লক্ষ্মেীতে মজবুত ও সুদৃশু জুতা ও বুট প্রস্তুত করিবার কারখানা খুলিয়া অনেক বৎসর হইতে চালাইতেছিলেন। তাহার জুতার কিছু কাটতি বাংলা দেশেও ছিল। বাঙালীর সকল রকম কারখানা ও ব্যবসাবাণিজ্যে প্রবৃত্ত হইলে স্বফল ফলিবে। জুতা সেলাই হইতে বিক্রি পর্য্যস্ত কোন কাজই তুচ্ছ বা নিন্দনীয় নহে। গোড় হিন্দুদের মতও এইরূপ মতের অমুকুল। স্বরাটে হিন্দু মহাসভার ষে অধিবেশন