পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سيBROb প্রবাসী °●88 প্রতিপক্ষের সহিত আপোব ৰুরিতে প্রস্তুত থাকিবেন। তাহার উপর বিশ্বাস করা যখন সত্যাগ্রহ-কৌশলের একটি অঙ্গ, তাহারই সহায়তায় শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান ভাঙা যখন তাহার লক্ষ্য, তখন প্রতিপক্ষ রক্ষানিষ্পত্তির কথা বলিলেই সত্যাগ্রহীকে আগাইয়া যাইতে হইবে । গান্ধীজী ১৯২৪ সালে বলিয়াছিলেন, “একথা সত্য যে সময়ে সময়ে লোকে আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়াছে। অনেকে আমাকে ঠকাইয়াছে এবং অনেকের মধ্যে যে শক্তি ছিল বলিয়া জামার ধারণা হইয়াছিল শেষ পৰ্য্যন্ত তাহার অভাব দেখিয়াছি। কিণ্ড তাহাদের অবিশ্বাস করি নাই বলিয়া কোনও দিন আমার অমুশোচনা হয় নাই। আমি যেমন অসহযোগ করিতে জানি তেমনই অপরের সহিত সহযোগিতা করিতেও পারি। আমার মনে হয় সংসারে কোনও লোককে অবিশ্বাস করার মত সাক্ষাৎ কোনও হেতু না পাইলে তাহাকে বিশ্বাস করাই সব চেয়ে ভাল। তাহাতে কাজেরও যেমন স্ববিধ হয় মানুষের প্রতি আমাদের অস্তরের বিশ্বাসও তেমনই প্রকটিত হয়। ইহার চেয়ে ভদ্র পথ আর কিছু নাই ।” "প্রতিপক্ষ যদি বিশ বার সত্যাগ্রহীর সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করে তৰু সত্যাগ্রহী একুশ বার তাহাকে বিশ্বাস করিবে । কেননা, মানুষকে বিশ্বাস করিয়া ভাল করাই সত্যাগ্রহের মূল নীতি।” ইহার দ্বারা শুধু ষে মানুষের প্রতি সত্যাগ্রহী অস্তরের শ্রদ্ধা দেখান তাহা নয়, যুদ্ধকৌশল হিসাবেও এই নীতির বিশেষ মূল্য আছে। যদি প্রতিপক্ষের সহিত আপোষ নাও হয় এবং পুনরায় সত্যাগ্রহ আরম্ভ করিতে হয় তাহা হইলে সমস্ত দোষ এবং দায়িত্ব প্রতিপক্ষের উপরে চাপান ৰায়। ইহা যুদ্ধে কম লাভের কথা নয়। গান্ধীজী সত্যাগ্রহীকে সেই জঙ্ক সৰ্ব্বদা নিজে নির্দোষ থাকিতে বলেন, যেন দোষ &tute stform of softoo & ( Always place your adversary in the wrong) I koto conforts সত্যাগ্রহের অন্ততম নীতি বলিয়া বিবেচনা করা যায়। ( e ) আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি স্বরাজ লাভের জন্ত জনগণকে শক্তি ও সংহতির পথে, ত্যাগ ও সাহসের পথে क८भ करभ जझेब्रा धाश्;७ शहेरद । हेशव्र छछ cवधन ভারতব্যাপী অসহযোগ বা সত্যাগ্রহের মত বিপ্লবাত্মক আন্দোলনের প্রয়োজন তেমনই জাবার স্থায়ী সংগঠনমূলক কাজেরও প্রয়োজন আছে । যিনি আইন-অমান্ত বা বর্তমান প্রতিষ্ঠানের সহিত অসহযোগ করিয়া স্বরাজ লাভ করিতে চান তিনি যে কোন আইনই মানেন না ইহা সত্য কথা নহে। আইনের প্রতি বিরাগবশে যে তিনি আইন অমান্ত করেন ইহা ভুল ধারণা। তিনি নৈতিক এবং কল্যাণকর আইনকে মানেন বলিয়াই অন্যায় এবং অকল্যাণকর আইনকে ভঙ্গ করার সাহস পোষণ করেন । সমগ্র মানুষের কল্যাণকর অবস্থা আনিতে চান বলিয়াই সাম্রাজ্যবাদ বা ধনতন্ত্রবাদের মত ক্ষুদ্র স্বার্থের প্রতিষ্ঠানের বিলোপ সাধন করিতে চান এই কথাটি সত্যাগ্রহী যেন সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখেন। আইন অমান্ত বা সত্যাগ্রহে উচ্চুম্বলতার স্থান নাই। ইহা শুধু ভাঙার কাজ নয়। বৃহত্তর একটি নৈতিক জীবন গড়িয়া তুলিবার চেষ্টাতেই সত্যাগ্রহীকে ভাঙনের কাজও করিতে হয়, এবং এই নৈতিক ও কল্যাণকর অাইন এবং প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলার শিক্ষা গান্ধীজীর মতে বুদ্ধিমানের মত সংগঠনমূলক কাজের ভিতর দিয়াই সব চেয়ে স্বচারু ভাবে দান করা যায়। সত্যাগ্রহ-সংগ্রামের মধ্যে সত্যাগ্রহী দ্বীয় আচরণের দ্বারা ষে-শিক্ষা ক্ষণিকের মধ্যে অপরকে দিয়া থাকেন যুদ্ধের অবসরকালে ধীর গঠনমূলক কাজের ভিতর দিয়া তিলে তিলে মৌমাছির মধু সঞ্চয়ের মত সাহস, ধৈর্ঘ্য এবং নিয়মান্থবর্তিত জনগণের অস্তরে সঞ্চিত করিবেন, ইহা সত্যাগ্রহের পঞ্চম কৌশল। এ সম্বন্ধে গান্ধীজী বলিয়াছিলেন, “আমি জানি অনেকে আইন-আমাগুের সহিত গঠনমূলক কাজের কোনও যোগ আছে বলিয়া স্বীকার করেন না । বারদোলির মত স্বল্পপরিসর ক্ষেত্রে যেখানে একটি বিশিষ্ট অস্কারের প্রতিকারের জন্ত সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে পূৰ্ব্ব হইতে গঠনমূলক ৰাজের প্রয়োজন নাই। কিন্তু স্বরাজের মত একটি অনির্দেশু এবং ব্যাপক বস্তলাভের জন্ত জনগণের পক্ষে সারা ভারতব্যাপী গঠনমূলক কাজের শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। ইহার দ্বারা জনগণের সহিত নেতাদের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠভাবে স্থাপিত হয় এবং জনগণ নেতৃবৃন্দকে একান্তভাবে বিশ্বাস করিতে ও অমুসরণ করিতে শিখে । অবিরাম সংগঠনমূলৰ কাজ চালাইয়া এই ভাবে পরস্পরের