পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ মাটির বাসা 8°N? মল্পিক-মহাশয় বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “কেন গো, ছেলে ত মন্দ নয় ? স্বস্থ, সবল, স্বভাব-চরিত্রও ভাল । দেখতে অবশু খুব স্বপুরুষ নয়, তা আমাদের মেয়েও ত ८ठभन्न छांकनॉशेtां श्माद्रौ किछू मञ्च ” গৃহিণী হাসিয়া বলিলেন, “তুমিও যেমন, চেহারার জন্তে মোটেও নয়। পঞ্চানন শহরেপন, সাহেবীয়ানা দেখতে পারে না, তাই নিয়ে শক্ত শক্ত কথা বলে, তাইতে মিনির রাগ। পাড়াগায়ে বিয়ে দিতে হ’লে তেমন ভাবে মানুষ করতে হয় বাপু ! তোমরা মেয়েকে একেবারে সাহেবী শিক্ষা দিচ্ছ, তার পর বিয়ে দিতে চাও একেবারে গোড়া হিন্দুর ঘরে, কাজেই মেয়ের মনে খটুকা বাধে, পছন্দ হয় না । এত বড়টি করাই অক্ষায় হয়েছে, তা গরীবের কথা বাসি হ'লে তবে মিষ্টি লাগে। বোঝ এখন ।” কৰ্ত্ত চিস্তিত মুখে নীরবে খাইতে লাগিলেন। গৃহিণী বলিলেন, “এখনই অত ভেবে আর কি হবে ? অাগে সম্বন্ধই ঠিক হোক, তার পর ও সব ভাবনা। বুড়ো কি বললে শুনি ?” মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “সে ত বলে দু-বছরের পড়ার খরচ দিতে, না-হয় এক হাজার টাকা পণ খোকে ধ’রে দিতে । আমাদের সম্বল সব কুড়লে-বাড়ালে হাজার-বারো শ বড় জোর হবে, সবই যদি পণ দিতে যায় তা বাকী খরচ কোথা থেকে আসবে ? মেয়েকেও ত শুধু শাখা-শাড়ী দিয়ে বিদেয় করতে পারব না ?” গৃহিণী বলিলেন, "ইঃ, হাজার টাকা পণ । মিন্সে নিজের বড় ছেলের বিয়েতে কত হাজার টাকা পেয়েছিল ? ন গায়ের রায়েদের মুরোদ কত তা আর আমি জানি না ? তাদের মেয়ে ত ? হাতে দু-গাছা কুলি আর গলায় সরু বিছে-হার পরিয়ে মেয়ে পার করেছে, পণ চার শ টাকা দিয়েছে, তাও বছর ঘুরতে। আমি আর জানি না ? আমার মামীর বাপের বাড়ী ঐ গায়ে।” কৰ্ত্তা বলিলেন, “সে কথারও উল্লেখ একটুখানি করেছিলাম, তোমার কাছে শুনেছি কিনা ? তাতে বললে, মেয়ে অতি সুন্দরী, অমন একটি এ গায়ে নেই, তাই দেখে, গিরি জেদ ধরাতে এ বিয়ে হয়েছে, না হ’লে শীতলের জন্তে নাকি অনেক ভাল ভাল সম্বন্ধ এসেছিল, দু-হাজার অবধি निद्र উঠেছিল " গৃহিণীর খাওয়াই বন্ধ হইয়া গেল। বঁ হাতখানা গালে রাখিয়া বলিলেন, “ম, মা, মা, কোথায় যাব ? ঐ মেয়ে হ’ল গায়ের সেরা সুন্দরী ? আমি আর তাকে দেখি নি ? এই একরত্তি থেকে দেখছি। ও যদি সুন্দরী, তা হ’লে আমি পদ্মিনী।” কৰ্ত্ত হাসিয়া বলিলেন, “আমার চোখে ত বটেই। তা বাপের বয়সী বুড়োকে সে কথা আর বলি কি ক’রে ?” গৃহিণী বলিলেন, “ন গো না, ঠাট্টার কথা নয়। কথায় বলে, যার রান্না খাই নি সে বড় রাখুনী, আর যাকে চোখে দেখিনি সে বড় রূপসী । তা এ যে চোখে দেখা মেয়ে ? এই মাঠ কপাল, কুংকুতে চোখ, চুলও নেই মোটে। রূপের মধ্যে গায়ের চামড়াটা একটু শাদ, এই আমাদের টিনির মত হবে। চিন্থর তার চেয়ে ঢের ছিরি অাছে, ষে ঘাই বলুক। চুল খুললে ত হাটুর নীচে পড়ে। বলব ত আমি বুড়ীকে ৷” কৰ্ত্ত বলিলেন, “থাক, এখনই কিছু বলতে ধেয়ে না, আমিই আগে একটু কথাবাৰ্ত্ত ভাল ক'রে কয়ে দেখি, তার পর দেখা যাবে।” খাওয়া দু-জনেরই চুকিয়া গেল। কৰ্ত্ত উঠিয়া গেলেন, গৃহিণী বাসন উঠাইয়া জায়গা নিকাইয়া তবে রান্নাঘর ছাড়িয়া বাহির হইলেন । গুইবার ঘরে গিয়া দেখিলেন মৃণাল তখনও অঘোরে ঘুমাইতেছে। তাহার মুখের দিকে চাহিয়া নিজের মনে বলিলেন, “এর চেয়ে নাকি কুসমী ছুড়ী দেখতে সুন্দর { কি বা কথার ছিরি । একে সাজিয়ে দাড় করালে রাজবাড়ীতে বিয়ে দেওয়া ষায় না ?” মৃণাল উঠিয়া দেখিল বেলা একেবারে গড়াইয়া গিয়াছে। চিনি, টিনি উঠিয়া গিয়াছে কখন। বাহিরে তাহাদের হুড়োছড়ির শব্দ আর মিহি গলার চীৎকারে দিক্‌ কঁাপিয়া উঠতেছে। রান্নাঘরের কাজও বিধিমত আরম্ভ হইয়া গিয়াছে। মুণাল তাড়াতাড়ি উঠিয়া চোখেমুখে জল দিয়া রান্নাঘরে গিয়া উপস্থিত হইল । বলিল, “বেশ মামীম, আমাকে ডাকতে হয় না ? এতখানি বেলা গড়িয়ে গেল, আজ সকাল থেকে আমার পড়াগুনে কিছু যদি इ'ल יין মামীম বলিলেন, “গুয়ে ਬੇ ন, তাই আর ডাকি নি।