পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ মাটির বাস। 8ግ® মৃণাল বলিল, “না মামাবাবু, আমি এইখানেই থাকি। ঘরে ঢুকলে বক্‌বক্ ক’রে সবাই আমার মাথা ধরিয়ে দেবে।” তাহার মামাবাবু বলিলেন, “তা হ’লে এই ছাতাটা নে। যা ভিড়, গাড়ীতে উঠতে পারলে হয়। অনেক লোক যাচ্ছে এই গা থেকেই, পরে আরও কত উঠবে কে জানে ? বীরু আবার তেমন চটপটে মানুষ না, জায়গ-টায়গা ক’রে দিতে পারবে কি না কে জানে। নেহাৎ জায়গা না পাস ত বিছানাটার উপরই বসিস্ " মৃণাল গ্রামেরই এক ভদ্রলোকের সঙ্গে চলিয়াছে, তাহার নাম বীরেন্দ্র ভৌমিক। ভদ্রলোক বৃদ্ধ মাতাকে গঙ্গাস্বান করাইতে লইয়া চলিয়াছেন। মৃণাল বলিল, “দেখি কি করতে পারি, আগে ট্রেনে खेळे उ ?” ট্রেন লেট হইল বটে তবে খুব বেশী নয়, মিনিট পনর মাত্র । থামিবার আগেই দেখা গেল, ট্রেনের প্রত্যেকটি কামরা যাত্রীতে ভৰ্ত্তি । মাত্র এক মিনিট ট্রেন থামে, অভ দেখিয়া শুনিয়া উঠিবার সময় কোথায় । স্থতরাং বাল্প বিছানা লইয়া যাত্রীর দল প্রথম ষে গাড়ী পাইল, তাহাতেই উঠিয়া পড়িবার জন্ত পাগলের মত ঠেলাঠেলি করিতে লাগিল । স্ত্রীলোকের ভয়াকুল চীৎকার, শিশুর কান্নায় জায়গাটা ভরিয়া উঠিল। " মৃণালকে মল্পিক-মহাশয় এক রকম কোলে করিয়াই গাড়ীর ভিতর ঠেলিয়া দিলেন। তাহার সহযাত্ৰী ভদ্রলোক তখন বৃদ্ধ মাতা আর তাহার অসংখ্য পোটলা-পুটলি লইয়াই ব্যস্ত, মৃণালের তদারক করিবার তাহার সময় नांशे । কামরাটি একেবারে যাত্রীতে আর লটবহরে মাল গাড়ীর অবস্থা পাইয়াছে। বসিবার জায়গা ত নাইই, ভাল করিয়া দাড়াইবারও স্থান নাই। এ উহার গায়ে ধাক্কা দিতেছে, মাহুষের গায়ে বান্স-পেটরা উন্টাইয়া পড়িতেছে, এবং তাহ লইয়া তুমুল কলহ বাধিয়া যাইতেছে। মৃণালের বাক্স বিছান। জানলা গলাইয়া কোনও মতে “ इक३श निघ्न। उशिद्र भाभा छिछांना कब्रिtणन, “क् ि८ब्र, বসবার জায়গা কোনও মতে হবে না ?” মৃণাল কিছু বলিবার আগেই বীরেন্দ্র বলিলেন, “ভাত श्रयझे नाँ । श्रांभद्र! न|-श्ब्र नैiफ़िरञ्च ब्रहेणांभ, किरू दूफ़ौरक নিয়ে কি করি ?” মৃণাল এক কোণে দরজার কাছে দাড়াইয়া ছিল । গাড়ীতে ধাত্রী অবগু অসংখ্য এবং জিনিষপত্রও তদধিক, কিন্তু সবাই যদি নিজের নিজের জিনিষ যথাসাধ্য গুছাইয়! রাখে, এবং অন্ত লোকগুলির স্থবিধা-অন্ধবিধার কথা একটু ভাবে, তাহা হইলে ইহারই মধ্যে একটু ব্যবস্থা হইতে পারে। কিন্তু সে শিক্ষা ত পল্লীবাসী বাঙালী কোনও দিন পায় নাই, মেয়েরাই যেন আরও বিশেষ করিয়া পায় নাই । বসিতে পাইলেই তাহারা গুইতে চায়, কোন মতে নিজের এবং নিজের সাঙ্গোপাঙ্গের জন্ত বেণী জায়গা দখল করিতে পারাই যেন তাহাদের জীবনের এখন একমাত্র ব্রত । নিজের স্বজাতীয়াদের ব্যবহার দেখিয়া মৃণালের হাড়ে হাড়ে জাল করিতে লাগিল । অবগু, বাঙালী পুরুষগুলিও যে খুব চমৎকার কিছু ব্যবহার করিতেছিলেন, তাহা নহে । যে ধেখানে পারিস্থাছে গায়ের জোরে নিজে আগে চাপিয়া বসিয়াছে, সঙ্গের স্ত্রীকন্যা দাড়াইয়া আছে কি না সেদিকেও দৃষ্টি নাই। দৃষ্টি থাকিবেই বা কেন ? গৃহে যাহারা চিরকাল দাসীর ব্যবহার পাইয়া সন্তুষ্ট, বাহিরে তাহারা সম্মানের অtশ। রাখিবে কি করিয়া ভয়ে সঙ্কোচে জড়সড় হইয়া ষে যেখানে পারে দাড়াইয়া আছে। গাড়ী ছাড়িয়া দিতে মৃণাল নিজের বাক্সের উপর বিছানাট চাপাইয়া দিয়া সঙ্গের বৃদ্ধাকে বলিল, “আপনি এখানে বক্ষন ৷” তিনি বসিতে পাইয়া ত বাচিয়া গেলেন, অবশ্ন, জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এত পথ কি ক'রে দাড়িয়ে যাবে মা ?” মৃণাল বলিল, “লোকজন নামবেও ত মাঝে মাঝে তখন জায়গা ক’রে নেব।” অবগু লোক ৰে নামিবে কি না সে বিষয়ে বিশেষ সন্দেহ ছিল । পঞ্চানন এই গাড়ীতেই উঠিয়াছে, এবং একটা বেঞ্চে ८वं श्रोतौमि श्लेष्व। दश्लिक्ष! वttछ् । भू१ftणव्र . ङेष्छ् করিতেছিল তাহার টিকিটা ধরিয়া’ তাহাকে টানিয়া দাড় করাইয়া দেয়। ভগবান, এই মাহবট যেন তাহার জীবনে ধূমকেতুর মত উদিত না হয়। 數