পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b-S প্রবাসী

  • SNరి 88

খ্ৰীষ্টাব্দে যখন কবিবর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমরা চীনদেশে যাই তখন ( নানকিনের নিকটে প্রকাও "জুসিয়া তুজ” (Tzu hsia Tung) grotto work fifásgth of ভারতীয় সব পণ্ডিতদের মূৰ্ত্তি। একেবারে চাদর গায়ে দেওয়া বাঙালী ভট্টাচার্ধ পণ্ডিতের মূৰ্ত্তি। আমাদের সঙ্গে শিল্পী ঐযুত নন্দলাল বস্থ ও অধ্যাপক শ্ৰীযুত কালিদাস নাগ ছিলেন। তাহারা বলিলেন, “এই সব মূৰ্ত্তি বাঙালী না হইয়া যায় না । নন্দলাল বন্ধ তাহদের সব স্কেচ নিলেন । কবিবর শ্রীরবীন্দ্রনাথকে পিকিং শহরে রাথিয়া আমরা তিন জন কয়েকটি স্থান দেখিতে বাহির হইলাম। নানা স্থান ঘূরিয়া ৫ই মে তারিখে আমরা বিখ্যাত কাইফং নগরে গেলাম। সেখানে একটি বিখ্যাত প্যাগোডা ১২ তলা উচ্চ । তাহা স্বং রাজাদের সময় ( ৯৬০—১২৮০ ) নির্মিত এবং মিং রাজাদের সময় ( ১৩৬৮—১৬৪৪ ) সংস্কৃত। মন্দিরটি বিরাট। তার গায়ে সব চীনা মাটির রং-করা ইট। সেই ইটের মধ্যে এক জায়গায় দেখি কীৰ্ত্তন চলিয়াছে, ঠিক বাংলা দেশের কীৰ্ত্তন। কীৰ্ত্তনীয়াদের কোমরে চাদর বাধা, কোচ কুলান, কারও কারও গাৱে চাদর, মাথায় কুটি, বাণী ধরিবার ভঙ্গীতে খোল-করতালে কীৰ্ত্তন চলিয়াছে। নন্দবাবু তাহার আলোকচিত্র তুলিয়া লইলেন। চীনদেশের ধৰ্ম্মমন্দিরে অহংদের সঙ্গে এদেশের দেবদেবী যথা মহাদেব, তার ভৈরব স্বন্দ বিনায়ক প্রভৃতির নানা মূৰ্ত্তি বিরাজমান । - ১২ই মে ( ১৯২৪ ) তারিখে পিকিনের নিকটে হ, তা স্থ ( W Th ss ) অর্থাৎ পঞ্চচূড়া মন্দির দেখিতে গেলাম। মন্দিরটি বাংলার পঞ্চরত্ন মন্দিরের ভঙ্গীতে তৈরি । দেখিয়াই চমকিয়া উঠিলাম। তারপর দেখি সেখানে আমাদের অক্ষরে লেখা সব মন্ত্র বা ধারণী। বুদ্ধমূৰ্ত্তিগুলি বাংলা দেশের মতই চাদর-মুড়ি দেওয়া । শেষে জানা গেল, খ্ৰীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে দক্ষিণ বঙ্গের এক ধনী বৌদ্ধ পাচটি স্বর্ণ নিৰ্ম্মিত বুদ্ধমূৰ্ত্তি ও সিংহাসন লইয়া এদেশে আসেন। র্তাহার নাম নাদি “পণ্ডিত” ( Bandida )। তখন সম্রাট ছিলেন মিং বংশীয় যু লে' (Yung L০) (1404–1424)। মূর্তিগুলি উহাকে উপহার দেওয়া হয়। তিনি সেগুলি এই মন্দিরে স্থাপন করান। এই মন্দিরটি সেই সাধুর নির্দেশ অনুসারে চীনদেশ ও তিব্বর্তী কারিগরদের দ্বারা রাজার ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত । কি দুঃখে তিনি বাংলা দেশ ছাড়িয়া এই স্বর্ণমূৰ্ত্তিগুলি রক্ষা করিতে এই দেশে আসিলেন তাহ বলিতে পারি না, তবে তিনি চীন দেশেই জীবন কাটাইয়া গেলেন । এই মন্দিরটি ১৪৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্রাট চেন স্থআর সময় পুনরায় নিৰ্ম্মিত হয়। ১৭৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দে চিয়েন লুজের সময় একবার সংস্কৃতও হয়। এইবার বোধ হয় যুদ্ধে ইহা নষ্টই হইয়া গেল। পিকিনে থাকিতে শুনিলাম এখানে এক জন বাঙালী আছেন। বড় আগ্রহ হইল তাহাকে দেখিতে । শেবে দেখি তিনি এক জন বিহারবাসী মুসলমান । তিনি তাহার বাঙালীত্বের কথা বলিলেন । পিকিনে সত্যই এক জন বাঙালী বহু পূৰ্ব্বে ব্যবসা করিয়া অনেক টাকা রাখিয়া মারা ধান। কিছু ভূসম্পত্তি ছিল ও তাহার উপর সিনেমা ও হোটেলও ছিল । তিনি উইল করিয়া যান যে কোন বাঙালী সেখানে ঐ সম্পত্তি চাহিলে তাহাকে যেন দেওয়া হয় । কিন্তু বাঙালী তখন কই ? এই খবর পাইয়া বিহারবাসী ঐ আবদুল বারি, চীনের ইংরেজ দূতের কাছে ঐ সম্পত্তি চাহিয়া তাহার পাসপোর্ট দেখাইয়া প্রমাণ করিলেন বিহার বাংলারই মধ্যে। তাই তিনিই ঐ বিপুল বিত্তের অধিকারী হইলেন। আমরা বাঙালী বলিয়া তিনি আমাদের সহায়তা করিতেও উংস্থক ছিলেন। এখানে বলা ভাল, চীনে শিখদের বাঙালী বলে । বেঙ্গল সেনার অস্তভুক্ত হইয়া যাওয়ায় এইটা ঘটিয়াছে। তবে সেখানে শিখদের আচরণ আমাদের পক্ষে গৌরবের কথা নহে । ১৯শে মে ( ১৯২৪ ) তারিখে আমরা চীনের স্ববিখ্যাত পণ্ডিত ভাক্তার হু লীর ( Hu Shih ) সঙ্গে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের Sinologue বিভাগের কাজ দেখিতে গেলাম। র্তাহারা চমৎকার সব কাজ করিতেছেন দেখিলাম। নানা কাজের মধ্যে দেখিলাম পুরাতন সরকারী কাগজপত্রের ৮• ০• বস্ত৷ ইহঁারা পুরাতন কাগজের দরে কিনিয় তাহার মধ্যে চমৎকার সব ঐতিহাসিক দরকারী कांग्रज*छ शाहेबांtइन । डांब्र भएषा क्रघ्नकछि छैशिtनत्र