পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ চিন্ময় বঙ্গ gԵաve দুৰ্ব্বোধ্য কাগজ দিলেন। কয়েক টুকরা বাংলার জীর্ণধও। বাকী সব ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছে। নেপালের বঙ্গসীমা হইতে আগত দরখাস্ত হইবে। একটি হিন্দী অক্ষরে লেখা স্থলিখিত দরখাস্ত নষ্ট হয় নাই । লেখা—পর্গানা মেলাপুর কোতিপুর হইতে লেখা—শ্ৰীশ্ৰীশ্ৰীশ্ৰীঐ চীনরাজচক্রবর্তীকে ১৮২৮ সনে লেখা । নেপালের রাজার বিচারে অসন্তুষ্ট হইয়া চীন-রাজার কাছে আপীল । বাঙালী কোরিয়া জাপানে কোরিয়াতেও নাকি বাংলা তন্ত্র ধারণী বা মন্ত্র দেখা গিয়াছে। আমি নিজে সেখানে যাই নাই। জাপানে নারা ও হরিউজীতে যে সব চিত্র ও মূৰ্ত্তি আছে নন্দলাল বাবু বলেন সেগুলি বাংলার সঙ্গে মেলে, সেখানকার বহু বুদ্ধমূৰ্ত্তির আশেপাশে প্রাচীন বজাক্ষরে ধারণীর বীজ লেখা । কিয়োটোতে ওতানি ( Otani ) বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু আয়ুৰ্ব্বেীয় গ্রন্থ সংগৃহীত আছে। তাহার মধ্যে বহু বাংলা গ্রন্থও আছে। তাহা অামি নিজে দেখিয়া আসিয়াছি । নারাতে ও হরিউজিতে অসংখ্য হিন্দু দেবদেবীর মূৰ্ত্তি আছে। এখানে সিংহবাহিনী মূৰ্ত্তি দেখিলে মনে হয় যেন বাংলা দেশের কোন পূজার দালানে আসিয়াছি । ১৯২৪ সালে ৮ই জুন তারিখে আমি বিশেষ করিয়া জাপানে কোয়াসান (Koya San) তীর্থ দেখিতে গিয়াছিলাম । সেখানকার পর্বতের চুড়ায় নাকি দশ হাজার মন্দির আছে। মোট কথা, কোয়াসান হইল জাপানী বৌদ্ধদের গয়া-কাশী। এ তীর্থের আদিগুরু কোবো দাইশি ছিলেন তান্ত্রিক সাধক । তাহদের স্থগুিল ও যন্ত্র দেখিলাম বাংলার সঙ্গেই মেলে। তিনিও এই দেশীয় দক্ষিণাচার তন্ত্ৰ মতেই দীক্ষিত । এখানকার লোকেরা পরলোকগত আত্মীয়জনের শ্রাদ্ধ করেন এবং অস্থি পবিত্র কোয়া নদীতে নিক্ষেপ করেন। তাহার পরে সেখানে যে কাঠ পোতেন তাহা এই আমাদের • দেশেরই বৃষ কাঠ। তাহাতে যে সব অক্ষর লিখিয়া দেন তাহাও আমাদের দেশেরই মত, অথচ তাহারা নিজেরা তাহা বোঝেন না । শুনিয়াছি জাপানের নানা বিভাগে বাঙালী ঐবুত রাসবিহারী বস্থর যথেষ্ট প্রভাব আছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে ফিলিপাইনে বাঙালী অধ্যাপক উপেন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। তিনি শাস্তিনিকেতনে আমাদের ছাত্র ছিলেন। যবদ্বীপে, বালীতে, সুমাত্রায় ঘবদ্বীপ, বালী, স্বমাত্রা প্রভৃতি সকল দেশ চিরদিন ভারতবর্ষকে গুরু মানিয়া আসিয়াছেন । ষখন ভারতে সমুদ্রযাত্রা হঠাৎ বন্ধ হইল তখনও বহুদিন পৰ্য্যস্ত ঐ সব দেশবাসীরা ভারত হইতে গুরুদের আগমনের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন । বহু দিন চলিয়া গেল, ভারতীয় গুরুদের বেশ ও ভাষা তাহারা বিশ্বত হইলেন, তবু ভারতের দিকে মুখ করিয়া ব্যর্থ প্রতীক্ষায় দিন কাটাইতে লাগিলেন। এমন সময় আরব দেশীয় মুসলমান প্রচারকের প্রচার করিতে আসিয়া দেখিলেন ইহারা চীন ভারতীয় গুরু । তাই তাহারা বলিলেন, “আমরাই সে-দেশের সব শুরু ।” তখন লোকেরা তাহাদের স্বাগত করিলেন বটে, কিন্তু তাহাদের রীতিনীতি ভিন্ন রকম দেখিয়া সম্পূর্ণ স্বীকার করিলেন না। বলীদ্বীপবাসীরা মোটেই তাহাদিগকে স্বীকার করিলেন না। র্তাহারা বিশুদ্ধ শৈবই রহিয়া গেলেন। যবদ্বীপের পশ্চিমে এখনও কিছু শুদ্ধ হিন্দু আছে । তাহারা দুৰ্গম অরণ্যে ও পৰ্ব্বতে বাস করেন । কাহারও সঙ্গে মেশেন না। আমার ঘবদ্বীপবাসী ছাত্রদের কাছে এই সব কথা শুনিয়াছি। র্তাহারা তাই এখনও রামায়ণ মহাভারত লইয়া জীবন যাপন করেন। উৎসবাদিতে শিব-দুর্গ স্মরণ করেন । তবে বিবাহ ও শ্রাদ্ধের সময় ইস্লাম গুরুদের আশীৰ্ব্বাদ লইতে আসেন। এখনও তাহারা নিজেদের অৰ্জ্জুন বলরাম প্রভৃতির বংশ মনে করেন । কোথাও গানে, যাত্রায় বলরামের নিম্বা হইলে বলরাম-বংশীয় () মডুরাবাসীরা (Madura) cwffigi Exxx | সুমাত্রা, ঘবদ্বীপ ও বলীদ্বীপে যখন ভারতীয় সভ্যতা গিয়াছিল তখন সেই সব দেশের বিশেষ যোগ ছিল বাংলা দেশের সঙ্গে। ভি. আর. ভাণ্ডারকর মহাশয় এই ș«tfitw cwrs fut ffinitsa (Indian Autiquary,