পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8.6 প্রবাসী 包N●●● চাপিয়া সম্ভপণে উপরে গেল। চুড়ির রিনিঝিনি শৰ পাছে শোনা যায়, পাছে তাহ কোন গুরুজনের কানে গিয়া তাহার ব্যাকুল অভিসার-যাত্রাকে প্রকাশ করিয়া দেয়, এই ভয়ে তাহার সাবধানতার অন্ত রহিল না । - একটি একটি করিয়া সিড়ি পার হইয়া আসিতেছে, ক্রমশঃ ছাদের উপর জ্যোৎস্নালোক দেখা গেল, ঘরের খোলা জানালা দিয়া টেবিলের উপরকার ফুলের তোড়াটা দেখা যাইতেছে । আরও ..আরও কাছে।--কাহার উতলা দীর্ঘনিঃশ্বাস স্বগন্ধভারাক্রান্ত কক্ষের বায়ুস্তরকে বিবশ করিয়া তুলিয়াছে। হঠাৎ স্বনন্দার মনে হইল, এই পদে পদে বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিয়া, অলঙ্কারের শিঙ্কনের শব্দে অবধি লজ্জায় মরিয়া গিয়া এত ভয় এত পরাধীনতার মিলন, সে কি কোন মধুচন্ত্রিকার চেয়ে মাধুর্ঘ্যে এবং আকর্ষণে লেশমাত্র ছোট । সেই যে প্রথম দিন তিনি বলিয়াছিলেন, বিধিনিষেধের ছন্দে বাধিয়া সংসার ত তাহাঁদের মিলনকে কবিতা করিয়া তুলিয়াছে, সেই কথাটা তাহার মনে পড়িল । হনিমুনের অবাধ বিস্তৃতি ও স্বাধীনতা নাই বা থাকিল, তবু ছন্দের বন্ধন স্বীকার করিয়া এই যে মিলন, গভীরতায় ও নিত্যনূতনতায় কবিতার মতই তাহ অনবন্ত এবং কবিতার মতই তাহা বেগবতী । 8 কিন্তু বিধাতা স্বনন্দার মনের কোণের গোপনতম সাধও অপূর্ণ রাখিলেন না। অন্ত সব দিকে সে যথেষ্ট স্বর্থী হুইলেও, বোধ করি মাঝে মাঝে কখনও তাহার মনে হইত লতি আর লটিদের কথা। প্রকাও সংসারের সুনির্দিষ্ট স্বনিয়ন্ত্রিত ছন্দের তালে স্বনন্দার জীবন চলে। শচীকান্ত কলেজের ছুটিতে বাড়ী আসে। সারাদিনের পর রাত্রির অন্ধকারে লঙ্গচিকিত কম্প্রপদে শয়নকক্ষে তাহাজের দেখা হয়। এক অজান নূতন দেশে কেবল সে আর তাহার चांमैौ भूtथांभूषौ । cनथोरन बिन मॉड़े, ब्रांछि नांदे, नभtञ्चब्र ८कांन श्रांनिश्रख ना३, ८कॉन विषिनिtष५ मांझे। ८गघै। “যে কেমন বস্তু ধারণা করিতে পারে না, কিন্তু ধারণা করিতে সাধ যায়। এত দিন যাহা কল্পনার রঙে রঙিয়া ছিল, এবারে र्शा९७क बिन डांश गङा श्ध औीन। भब्रtभद्र इन्डि বাড়ীতে আসিয়া শচী জরে পড়িল । জর সামাঙ্ক কিন্তু বড়লোকের বাড়ীর চিকিৎসা, ডাক্তারের সহজে হাতছাড়া করিতে চাহেন না। তাহার বলিলেন, এখনও দুৰ্ব্বলতা যায় নাই, কোন স্বাস্থ্যকর জায়গায় হাওয়া বদলানো দরকার। শচীর বাবা ব্যস্ত হইয়া তখনই তাহার এক বন্ধুকে চিঠি লিখিয়া সাওতাল পরগণার স্বাস্থ্যকর এক শহরে ছোট বাসা ঠিক করিলেন। কথা ছিল, ঠাকুর-চাকর লইয়া শচী এক যাইবে, কিন্তু শেষ মুহূৰ্ত্তে সে মায়ের কাছে অনিচ্ছাসত্বেও এমন ভাবটা প্রকাশ করিয়া ফেলিল যে, অস্বস্ব শরীরে বাড়ীর লোক এক জন সম্বে না থাকিলে তাহার মন স্বস্থির থাকিবে না, এই জন্ত বৌমাকেও তিনি সঙ্গে দিলেন। নহিলে মায়ের মন মানে না। নদীর ধারে ছোট্ট শহরটি, রাঙা মাটির রাস্ত । চারি দিকে পলাশবন । মোটরে আসিতে আসিতে স্বনন্দ আনন্দে বিস্ফারিত হইয়া উঠিল । সঙ্গে কেবল এক জন চাকর আর উড়িয়া ঠাকুর আছে । মৃদ্ধস্বরে সে কহিল, "দেখছ বিয়ের এক বছর পরে এত দিনে এই আমাদের মধুচন্ত্রিক।” দিগস্তবিস্তৃত আকাশের দিকে চাহিয়া শচীকান্ড হাসিয়া বলিল, ”সত্যি ।” দিন পনর পরে – পূৰ্ব্বনি একটা পাহাড়ে বেড়াইতে গিয়া ফিরিতে রাত হইয়াছিল আর পথশ্রমে স্বনন্দ ক্লাস্ত ছিল, বেলা পৰ্য্যন্ত তাহার ঘুম ভাঙে নাই। শচী উঠিয়া বাহিরের বারান্দায় ঈজিচেয়ারে বসিয়াছে, চাকরটা আসিয়া বলিল, “বাৰু কয়লা কুছু আছে নাই। চায়ের পানি হামি কি লিয়ে করিব ?" ভোরের আকাশের দিকে চাহিয়া শচী মুণ্ডবিহ্বল হইয়া উঠিয়াছিল, হঠাৎ ভূত্যের এবধি প্রশ্নে অবাক হইয় তাহার দিকে চাহিল । চাকরটা আবার বলিল, “বহুমায়ঙ্গী এখন উঠে নাই, বাক্ষস খুলিয়ে আপনি পয়সা দিন, আমি কয়লা লিয়ে আসি ” ঠিক সেই সময় ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়া স্বনন্দ পাশের দরজা দিয়া বারামায় আসিল । আজ স্বর্ধ্যোয়ের আগে শচী উঠিয়াছে এবং এক বসিয়া স্বর্ধ্য উঠতে দেখিয়াছে, তাহাকে উঠায় নাই। এজন্য সহস্ৰবিধ অভিমান ও অমুযোগের বাণী মনে মনে আন্দোলন করিতে করিতে সে আসিতেছিল,